নফসের একটা বড় রোগ হলো ক্রোধ এবং হিংসা। কেউ যখন কষ্ট দেয় এবং আমার মনে হয়, সে আমাকে অন্যায় ভাবে কষ্ট দিয়েছে! তখন ভিতরে ক্রোধ জেগে ওঠে! প্রতিশোধ গ্রহণের স্পৃহা প্রচণ্ড রূপ ধারণ করে। ইচ্ছে হয় লোকটাকে টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলি! টুকরো টুকরো করে...মানুষ যখন ক্রোধে উন্মত্ত থাকে তখন তো কোন উপদেশই চিন্তা করার মত অবস্থা থাকে না।
কিন্তু যখন ক্রোধ থাকে না, স্বাভাবিক অবস্থা থাকে তখন হাদীছের উপদেশগুলো স্মরণ করা দরকার যে, ক্রোধের পরিণতি কী! তখন প্রতিজ্ঞা করার দরকার যে, ইনশাআল্লাহ্ কারো প্রতি আমি ক্রুদ্ধ হবো না! ক্রোধের মুখে কোন কাজ করবো না। তখন ধীরে ধীরে ক্রোধের পরিমাণ কমে আসবে ইনশাআল্লাহ্!
কারো ভালো অবস্থা দেখে মনে যখন হিংসা হয় তখন মনের তো ইচ্ছা হয় এটাই যে, তার সুখশান্তি শেষ হয়ে যাক।তখন আমার কর্তব্য হলো, বুকের মধ্যে ছুরি চালিয়ে হলেও তার জন্য কল্যাণের দু‘আ করা। তাহলে ....