চলতে চলতে অনেক দূর যেতে হলো আমাকে। সেখানে ছিলো অদ্ভুত নির্জনতা; ডাক দিলে সাড়া দেয়ার কেউ নেই; বিপদে পড়লে উদ্ধার করার কেউ নেই। এমন নির্জনতায় ভয় পাওয়ার কথা, তবু আমার মনে ভয় ছিলো না। কারণ নির্জনতার মাঝেও নিঃসঙ্গতার অনুভূতি আমার ছিলো না। কেউ যেন ছিলো আমার সঙ্গে, কিংবা ভিতরে আমার অন্তরে। যেতে যেতে আরো অনেক দূর গেলাম এবং দেখতে পেলাম, একখন্ড ভূমি। সবুজ বা উর্বর নয়। কিন্তু আমার সঙ্গের, কিংবা আমার ভিতরের কেউ যেন আমাকে বললো, ‘এ ভূখন্ড সবুজ বা উর্বর নয়, তবে তাতে রয়েছে সবুজের সম্ভাবনা। ঐ যে দেখো দূরে বয়ে যায় স্বচ্ছ পানির ঝর্ণা! তা থেকে সবুজ তুমি তৈরী করে নাও না! তুমিও যদি চাও তৈরী সবুজ ভূমি, তাহলে ঊষর ভূমি কীভাবে হাসবে সবুজের হাসি! আমি বললাম, এ ঊষর ভূমিতে আমি ঘাম ঝরাবো, ফসল ফলাবো এবং সবুজের সম্ভাবনা থেকে তৈরী করবো সবুজের গালিচা। তারুণ্যের উদ্দীপনায় শুকনো ভূমিতে আমি ঘাম ঝরালাম এবং আমার শক্তি ও শ্রম নিবেদন করে অনেক বীজ বপন করলাম। অপরিচিত ভূমি আমার ঘাম ও শ্রমকে সম্মান জানালো এবং বীজগুলোকে অঙ্কুর- রূপে ফিরিয়ে দিলো। ঝিরঝির বয়ে যাওয়া ঝর্ণার পানি বললো, আমি তোমাকে সাহায্য করবো। ঊষর ভূমি একসময় সবুজ হলো। বাতাসের দোলায় সেই সবুজের আন্দোলন আমাকে মোহিত করলো এবং .- সুন্দর স্বপ্নটা ভেঙ্গে গেলো। সব সবুজ মুহূর্তে হারিয়ে গেলো। কিন্তু বুকের ভিতরে জেগে ওঠা উদ্দীপনাটা রয়ে গেলো। আমি প্রতিজ্ঞা করলাম, স্বপ্নের সবুজকে আমি ফিরিয়ে আনবো আমার জীবনে এবং আমি তা পারবো। কারণ এখনো মনে হয়, কেউ রয়েছে আমার সঙ্গে, কিংবা ভিতরে আমার অন্তরে!
পুষ্প একটি আন্দোলন যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ঈমান ও উম্মাহ্ কে সামনে রেখে মাতৃভাষা চর্চায় ও সাহিত্য সাধনায় যারা আত্মনিয়োগ করতে চায় তাদের পথ দেখানো।
এ যুগের কলম-জাদুগরদের মোকাবেলায় মুসার আছা হাতে যারা মাঠে নামতে চায় তাদের সাহস যোগানো।
যারা চায় আমার কলমের কালিতে লেখা হোক উম্মাহর আগামী দিনের সৌভাগ্য, তাদের চলার পথে আলো ছড়ানো।
আর এখনো যারা ঘুমিয়ে আছে সম্ভাবনার দুয়ার বন্ধ করে গাফলতের চাদর মুড়ি দিয়ে, তাদেরকে ঘুম থেকে জাগানো।
হে বন্ধু! এ পথ চালায়, এ সংগ্রাম সাধনায় তুমিও আমাদের সঙ্গী হও। আমরা চলে যাবো, তোমাদের রেখে যাবো। তোমরাই হবে আগামী দিনের দিশারী, ভবিষ্যতের কান্ডারী।