একটি গল্প। পড়েছি সেই ছোট্ট কালে। এখন কত কিছু পড়ি, কত কিছু শিখি, মনে থাকে না; দু’দিনেই ভুলে যাই। অথচ শৈশবের অনেক পড়া, অনেক শেখা এখনো যেন জ্বলজ্বল করছে স্মৃতির পাতায়।
গল্পটি কি সত্য ঘটনা, না মানুষের উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা, জানি না। তবে গল্পের ভিতরের শিক্ষাটুকু সত্য এবং চিরন্তন সত্য।
কিছু মানুষ থাকে; তাদের কোন বোধ থাকে না, বিচারক্ষমতা থাকে না। এমনকি ক্ষুধা পেলে যে খেতে হয়, পিপাসায় যে পানি পান করতে হয়, তাও তাদের বুদ্ধিতে কুলায় না। তাদের তা মনে করিয়ে দিতে হয়। এধরনের লোককে বলা হয় হাবা-গোবা।
গল্পের বর্ণনায় আছে, হাবা-গোবা একটি লোকের পিপাসা পেলো। সে বালতি নিয়ে কুয়ার ধারে গেলো, পানি তুললো, কিন্তু পিপাসা দূর হলো না। ভাবলো কুয়ার পানিতে দোষ আছে। তাই ঘটি নিয়ে গেলো পুকুরে। পানি তুলে আনলো, কিন্তু পিপাসা দূর হয় না। ভাবলো, পুকুরের পানিতেও কোন দোষ আছে। এবার সে কলস নিয়ে গেলো নদীতে এবং কলস ভরে পানি নিয়ে ঘরে ফিরলো, কিন্তু পিপাসা দূর হয় না। লোকটি অবাক হয়ে ভাবে, দোষটা তাহলে কোথায়? এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলো। মুখ হা করে সে আকাশের দিকে তাকালো, কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি ভিতরে গেলো, আর আশ্চর্য, তাতে পিপাসা দূর হলো! এই গল্পের সত্যটুকু কবে আমরা নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে পারবো?