অনেক সময় আমাদের কানে আসে, অমুক আমার অগোচরে আমার নিন্দা করছে, কুৎসা করছে; মানুষের কাছে আমার দোষ বলে বেড়াচ্ছে। শুনে আমাদের গায়ে যেন জ্বালা ধরে যায়। যদি শক্তি থাকে তাহলে তো তাকে শায়েস্তা করি;]তা না পারলে আমরাও তার নিন্দা-কুৎসা শুরু করি। আর যদি কিছু না পারি তাহলে মনে মনে তার ধ্বংস কামনা করি। কেন আমরা এমন করি? কারণ আমরা মনে করি, সে আমার মর্যাদাহানি করছে। মানুষের সামনে আমাকে লজ্জিত করছে। আমার সামাজিক সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আমি যদি এভাবে চিন্তা করি যে, সে তো আমার উপকার করছে! কারণ গীবত ও নিন্দা-কুৎসা করে সে তার নেক আমলগুলো আমাকে দিয়ে দিচ্ছে, আর আমার গোনাহগুলো নিজের আমলনামায় নিয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে বড় উপকার আর কী হতে পারে! হযরত হাসান বছরী এরূপ চিন্তা করতেন বলেই খুশী হয়ে তাঁর নিন্দা-কারীর নামে হাদিয়া পাঠিয়েছিলেন।