দেশের টালমাটাল শেয়ার- বাজারের সর্বশেষ খবর হলো, দুই মাসের ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারিদের সত্তর হাজার কোটি টাকার মূলধন উধাও হয়ে গেছে। পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহীত তার ভুল সিদ্ধান্তের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনিয়োগকারিদের বুঝে শুনে কাজ করার ‘মশওয়ারা’ দিয়েছেন।
‘আওয়ামি লীগ এলেই পুঁজি বাজারে ধ্বস নামে’, একথা শুনতে হয়, কবুল করে নিয়ে অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, আগামী এক থেকে দেড়মাসের মধ্যে বাজারে নতুন শেয়ার আসবে, তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন দরপতন হয় তখন আমাদের হাতে অস্ত্র ছিলো না, এখন আমাদের হাতে সিডিবিএল আছে। তাই বেনামী কারবার কিছুটা হলেও ধরা যাবে। তিনি অবশ্য বলেননি, লুটপাট হওয়া সত্তর হাজার কোটি ঢাকা কীভাবে উদ্ধার হবে এবং সর্বস্বান্ত বিনিয়োগকারিদের ভাগ্যের কী হবে?
প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, যারা শেয়ারবাজারে যান তারা জেনেশুনেই যান যে, বাজার উঠতেও পারে, আবার নামতেও পারে। বাজার সবসময় ওঠবে, এটা মনে করা ঠিক নয়।
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, বাজার ওঠা-নামা করা, আর বাজরে ধ্বস নামা একজিনিস নয়। শেয়ার- বাজারের মূলধনের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব মূলত সরকারের। কারণ দেশের আইনে এটা অবৈধ কোন লেনদেন নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু সাদমাটা ভুল স্বীকার, বা মামুলি পরামর্শ দ্বারা সত্তর হাজার কোটি টাকার দায় সরকার এড়াতে পারে না। বিনিয়োগকারিদের ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অপরাধিদের শাস্তি-বিধান সরকারেরই দায়িত্ব।