শাবান ১৪৩১হিঃ (১৭)

টেকনাফ ও তেতুলিয়া (স্বদেশ)

মৌলবাদের ক্রম সম্প্রসারণ

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
পুলিশমহলে হঠাৎ করেই যেন রিমান্ডের ডিমান্ড খুব বেড়ে গেছে। আগে তারা অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদু’দিনের রিমান্ড চাইতেন। এখন তাদের ডিমান্ড সাতদিনের নীচে নামে না। আদালতও যেন রিমান্ড মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ‘ফারাগদিল’। রিমান্ডের উদ্দেশ্য কী? সহজ কথায় উদ্দেশ্য হচ্ছে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটন। কিন' বর্তমানে রিমান্ডের অর্থ হচ্ছে সর্বপ্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে অভিযুক্তের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা। দেশের জনগণের কাছে রিমান্ড এখন ভয়ঙ্কর শব্দ। আমরা জানি না, রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় কতটা যুক্তিযুক্ত এবং এর আইনগত ভিত্তিই বা কতটুকু! তাছাড়া মানবাধিকারের দৃষ্টিতে এটা অপরাধ কি না! তবে বাস-াবতা এই যে, পুলিশি হেফাযতে মৃত্যু এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক গত ছয়মাসে ১৫ জন মানুষের মৃত্যু ঘটেছে পুলিশি হেফাযতে। অর্থাৎ তারা অপরাধী কি না তা প্রমাণিত হওয়ার আগেই তাদের সর্বোচ্চ সাজা হয়ে গেলো। এমন রাজনৈতিক নেতবৃন্দ এবং সাংবাদিক, সম্পাদকগণও রিমান্ডের ভয়াবহ নির্যাতন থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। আইন প্রয়োগকারী সংস'া কি আইনের ঊর্ধ্বে! তাদের দ্বারা হত্যাকাণ্ড সঙ্ঘটিত হওয়া কি অপরাধ নয়? পুলিশ রিমান্ডে নেবে, জিজ্ঞাসাবাদ করবে, অপরাধ ও অপরাধীকে সনাক্ত করতে চেষ্টা করবে, তাতে শানি--কামী জনগণের কোন আপত্তি নেই, থাকার কথাও নয়। কিন' আমরা আশা করবো, রিমান্ডে শুধু জিজ্ঞাসাবাদই করা হবে, জিজ্ঞাসা বাদ দিয়ে শারীরিক -মানসিক নির্যাতন করা হবে না। মনে রাখতে হবে, আইন সবার জন্য।
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা