মুহররম ১৪৩২ হি: (১৮)

টেকনাফ ও তেতুলিয়া (স্বদেশ)

বাঁধনির্মাণে ভারতের প্রতিবাদ!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অবাক হওয়ার মত বিষয় বটে! এত দিন পরিস্থিতি ছিলো এক রকম; অর্থাৎ ভারত তার ভূখন্ডে নদীতে বাঁধ দিয়ে একতরফা বাঁধ নির্মাণ করতো, আর বাংলাদেশের জনগণ এবং কোন কোন সরকার তার প্রতিবাদ করতো। ভারত সরকার অবশ্য সেই সব প্রতিবাদের থোড়াই পরোয়া করতো! ফারাক্কা বাংলাদেশের অর্ধেক এলাকা মরুভূমিতে পরিণত করেছে, বাকি অর্ধেকটা মরুভূমি করার আয়োজন সম্পন্ন করছে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে। অবশ্য জনগণ যাই ভাবুক, বর্তমান সরকার ভাবছে, ভারত আমাদের কোন ক্ষতি করবে না। তাছাড়া কথিত টিপাইমুখ বাঁধ নাকি বাংলাদেশের উপকারই করবে!

বাংলাদেশ নদ-নদীগুলোর সর্বশেষ ভাটির দেশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভারতের যে কোন বাঁধ নির্মাণের কারণে বাংলাদেশ বহুমুখী বিপর্যয়ের শিকার হয়।

কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এবার স্বয়ং ভারত বাঁধ নির্মাণের জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে। খবরে প্রকাশ, চীন ঘোষণা করেছে, তারা ভ্রহ্মপুত্র নদীতে দু’টি বিশাল বাঁধ নির্মাণ করবে। ভারত ইতিমধ্যে চীনের এ সিদ্ধান্তের জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে। কারণ ভারত নাকি তাতে পানির ন্যায্য হিস্সা থেকে বঞ্চিত হবে। চীন সরকার ভারতীয় প্রতিবাদকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে নিজ সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ভারত বলেছে, ভাটির দেশকে তার ন্যায্য হিস্সা থেকে বঞ্চিত করার কোন অধিকার উজানের দেশের নেই।

হুবহু একই প্রতিবাদ একই ভাষায়, একই যুক্তিতে বাংলাদেশ করে এসেছে যুগের যুগ ধরে, কিন্তু উজানের দেশ ভারত তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি, তাই ফারাক্কার অভিশাপ এখনো আমরা ভোগ করে চলেছি। সর্বশেষ ভাটির দেশ হিসাবে আমরা চীন ও ভারত উভয় দেশকে বলবো, উজানে বাঁধ নির্মাণ করার আগে ভাটির দেশের স্বার্থ দেখা উচিত।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা