দুর্বল অসহায় নারীর উপর বিভিন্নভাবে পাশবিক নির্যাতন বর্তমান সমাজে যেন নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন কতটা ভয়াবহ তা কিছুটা অনুমান করা যায় জাতীয় দৈনিকগুলোতে একবার চোখ বুলালেই।
সম্প্রতি পাশবিক নারিনির্যাতনের একটি ঘটনা দেশের বিবেকবান মানুষকে আবারও বিচলিত করেছে। যে যার অবস্থান থেকে সবাই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন এবং নরপশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। কিন্তু বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের কেউ এমন কোন কার্যকর পথ বাতলাতে পারছেন না যাতে এই বর্বরতা ও পাশবিকতার চিরতরে মূলোৎপাটন হয়ে যায়।
দেশের আলিমসমাজের পক্ষ হতে আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় নারিজাতির উপর যে কোন নিষ্ঠুরতা, পাশবিকতা ও বর্বরতার বিরুদ্ধে নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করছি এবং অপরাধিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছি। সেই সঙ্গে সরকার ও দায়িত্বশীল মহলের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহবান, পাশবিক ও অপাশবিক সর্বপ্রকার নারিনির্যাতনের পিছনে ক্রিয়াশীল কারণগুলো চিহ্নত করুন এবং তা দূর করার চেষ্টা করুন, যাতে নারিজাতির নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত হয়। আমাদের মতে ইসলামী শিক্ষার অনুপস্থিতি, ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থা, পর্দাহীনতা এবং ইসলামী শাস্তিবিধান কার্যকর না করা, এগুলোই নারিনির্যাতনের প্রধান কারণ। সুতরাং এ দৃষ্টিকোণ থেকে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের এগিয়ে আসা আমরা আশু কর্তব্য বলে মনে করি।
এ প্রসঙ্গে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, একশ্রেণীর গণমাধ্যম নারিনির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনাকে পুঁজি করে ইসলাম ও ফতোয়ার বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে উঠে পড়ে লেগে যায়। তারা বোঝে না, বা বুঝতে চায় না যে, গ্রাম্য বিচারকে ফতোয়া নাম দেয়া যায় না এবং শরীয়তের যথাযোগ্য অনুমোদন ছাড়া কেউ ফতোয়া প্রদানের অধিকারও রাখে না।