রাখাইন রাজ্যের রাষ্ট্রবিহীন ইন্দো-আর্য জাতিগোষ্ঠীর রোহিঙ্গারা এখন সত্যিকারের গণহত্যার শিকার। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর যা কিছু নৃশংসতা তা সম্পূর্ণরুপে অং সান সূ চীর জ্ঞাতসারেই ঘটছে। সুতরাং তিনি এর দায়-দায়িত্ব কোনভাবেই এড়াতে পারবেন না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, মিয়ানমারের আইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগত সংখ্যালঘু হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। অথচ অষ্টম শতাব্দীতে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ইসলামের আগমনের সময় রোহিঙ্গারা সেখানে ছিলো বলে ইতিহাস চিহ্নিত করেছে। চলাচলের স্বাধীনতা, শিক্ষা ও চাকুরিতে প্রবেশের অধিকার থেকে রোহিঙ্গাদের বঞ্চিত করা হয়েছে ১৯৭৮, ১৯৯১ ৯২, ২০১২-১৫ ও ১৬-১৭সালে এই জনগোষ্ঠীকে বারবার সামরিক দমনাভিযানের শিকার হতে হয়েছে, কিন্তু এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে এখনো বিশ্ব- সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে কার্যকর কোন নিন্দা-প্রতিবাদ আসেনি। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ হতে পাওয়া তথ্যেও এটা সুস্পষ্ট যে, মিয়ানমার সরকার রাখাইনে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তাই তারা মুসলিম রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন ও উচ্ছেদের লক্ষ্যেই বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে। হাজার হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে। গোটা পরিবারকে জীবিত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে ভস্ম করা হয়েছে। পাঁচ বছরের শিশুদেরও শিরোñেদ করা হয়েছে। ব্যাপকহারে নারীদের গণধর্ষণ করা হয়েছে। সীমান্তে লস্থমাইন পঁতে রাখা হয়েছে। লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি -র উদ্যোগে পরিচালিত এক সমীক্ষার উপসংহারে বলা হয়, ‘কয়েক দশকের নির্যাতনের পর রোহিঙ্গারা গণহত্যার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। সরকারিভাবে স্বীকৃত ১৩৫টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে একমাত্র রোহিঙ্গাদেরই মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও সরকার টার্গেট করেছে। এটা কেন? যুক্তিসঙ্গত কোন উত্তর নেই। মিয়ানমারে যা ঘটছে তা সাত- দশকেরও বেশী সময় ধরে ফিলিস্তিনে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার বেদনাদায়ক স্মৃতিকেই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। মোস্তফা কারকুইতি (প্রেসিডেন্ট, ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন, লন্ডন) মিয়ানমারের সামরিক জান্তার দাবী, রোহিঙ্গা নামে আরাকানে কেউ কখনো ছিলো না, যা আছে তা হলো ‘বাঙ্গালী’ অনুপ্রবেশকারী। সুতরাং তাদের বিতাড়নই হলো একমাত্র সমাধান। ইতিহাস কী বলে? তথ্যউপাত্তের কী রায়? শত শত বছর আগে অবাঙ্গালী মোঘল শাহজাদা শুজা তার পরিবার ও লোকলস্কর নিয়ে আরাকানে অবস্থান করেছিলেন। তাই ইতিহাস ও তথ্য-উপাত্তের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে পুরো জনগোষ্ঠীকে বাঙ্গালী বলে চালিয়ে দেয়া এত সহজ হবে না। যেখানে গলিত লাশের রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব সেখানে জীবন্ত জনগোষ্ঠীর পরিচয় চাপা দেয়া কীভাবে সম্ভব?! তাছাড়া সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ভৌগোলিক, ধর্মীয় ও পরিবেশগত কারণে মানবসভ্যতার শুরু থেকে আবাস-সন্ধান চলেই আসছে। পৃথিবীর কোন জনগোষ্ঠী এর ঊর্ধ্বে নয়।তাই কোন জনগোষ্ঠীর অধিকার থাকে না অন্যজনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করার মিস্টার জেনারেল নিজেও কী তার চৌদ্দ গোষ্ঠীর আবাসস্থলের ভৌগোলিক বিবরণ দিতে সক্ষম?! তাহলে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে কেন এ অন্যায় দাবী? ধরে নিলাম মিয়ানমারের সামরিক জান্তা মিন অং লাইং- এর বয়স পঞ্চাশ চলছে। কিন্তু রোহিঙ্গারা তো তার বয়সের বিশত্রিশ গুণেরও বেশী সময় থেকে আরাকান তথা মিয়ানমারে বাস করছে!! একটা প্রাচীন বটবৃক্ষ দেখে এর আয়ুষ্কাল সম্পর্কে বলা হয়, আমি দেখেছি, আমার বাবা দেখেছে, দাদা, পরদাদারাও দেখে এসেছেন, তখন কোন রকম ‘যাচাই-বাছাই’ ছাড়াই প্রমাণিত হয়ে যায় প্রাচীন-কাল থেকে বৃক্ষটি সেখানে উপস্থিত। এখন কেউ যদি ঐ প্রাচীন বৃক্ষের বিস্ততৃ স্থান দখলের মতলবে কেটে ছেটে প্রায় সবচিহ্ন মুছে বলতে চায়, ‘কোথায় বটবৃক্ষ?!’ তাহলে কানমলা ছাড়া আর কী হতে পারে এর শাস্তি?! রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে জান্তা তো এ অপরাধই করছেন। আমরা শুধু বলতে চাই, আরকানের জনপদকে মুসলিম- শূন্য করে বৌদ্ধদের জন্য নিরঙ্কুশ করতে চান? কিন্তু আগামীকাল তা দখল করার জন্য অদূর বা সুদরূ ভবিষ্যতে আরো অধিক শক্তির অধিকারী কোন জালিম গোষ্ঠীর আগমন হতে পারে। অসম্ভব কিছু তো নয়!! প্রফেসর ইউসুফ হারুন *** যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর বর্বর অভিযানের জন্য জেনারেলরাই দায়ী। তিনি বলেন, রাখাইনে যেসব সহিংসতার খবর আসছে, বিশ্ব তা দেখেও চুপ করে থাকতে পারে না। তিনি আরো বলেন, যেসব অভিযোগ আসছে এর দায় তো কাউকে না কাউকে নিতেই হবে। যুক্তরাষ্টের ৪৩জন আইনপ্রণেতা বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতিসঙ্ঘ রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার বাহিনীর পরিচালিত নিধন অভিযানকে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ বলে আখ্যায়িত করেছে। জাতিসঙ্ঘের দু’জন উপদেষ্টা এ ধরনের নিষ্ঠুর অপরাধ এখনই বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।
*** আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নোবেল পুরস্কার জয়ী ড. ইউনুস বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাখাইনে পরিচালিত নৃশংসতার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করছে, ঠিক আছে। তবে এর পুরো দায় ডিফেক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সূ চীর। এই নৃশংসতাকে সূ চী বৈধতা দিয়েছেন। ড. ইউনুস বলেন, বিশ্বব্যাপী সূ চীর একটা মর্যাদা ছিলো। এখন তিনি একেবারে উল্টে গেছেন। বিশ্ব এখন ভিন্ন রূপ দেখছে। তিনি নিজ দেশের মানুষের গণ- হত্যায় নিজের নাম জড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি তাকেই শতভাগ দায়ী করবো। কারণ তিনিই তো নেত্রী। তার যা বলা উচিত তা যদি তিনি বলতে না পারেন তাহলে তো তার পদত্যাগ করা উচিত। নেতাকে তার জনগণের পক্ষে অবস্থান নিতেই হবে। তিনি বলতে পারেন, সেনাবাহিনী তাকে চাপে রেখেছে। তাহলে তো তার পদত্যাগ করা কর্তব্য। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রশ্নে ড. ইউনুস বলেন, বাংলাদেশের যে অঞ্চলে রোহিঙ্গাসঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে আমিও সেই চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষ। এই রোহিঙ্গারা সেখানে জন্মগ্রহণ করেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম সেখানে বাস করেছে। দেশ যখন াস্বধীন হয়েছে তখন তারা য়স্বংক্রিয়ভাবেই দেশটির নাগরিক হয়ে গেছে। তারা দেশটির রাজনীতিতে অংশ নিয়েছে। নিজেদের প্রতিনিধি সংসদে পাঠিয়েছে। তাদের প্রতিনিধি মন্ত্রী-সভায়ও াস্থন পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে ১৯৮২ সালে মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা বললো, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। তাদের সব অধিকার কেড়ে নেয়া হলো। এটা কি কোন সভ্য দেশের কথা হতে পারে?! সর্বশেষ রোহিঙ্গাসঙ্কট নিয়ে সূ চীর সঙ্গে কথা হয়নি জানিয়ে ড. ইউনুস বলেন, সর্বশেষ নির্বাচনের সময় যখন তার সঙ্গে দেখা হয় তখন তাকে আমি রোহিঙ্গাসঙ্কট নিয়ে বলেছিলাম। উত্তরে তিনি বলেছেন, সেনা- বাহিনী সম্পর্কে আমাকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে নির্বাচিত হলে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের স্বার্থে পদক্ষেপ নেবো। যদি সূ চীর সঙ্গে সরাসরি দেখা হতো তাহলে তাকে কী বলতেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনুস বলেন, আমি তাকে বলতাম, আপনার তো অবস্থান নেয়া উচিত। বছরের পর বছর আপনি গৃহবন্দী ছিলেন, অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন একটা আদর্শের জন্য। এখন সেটার কী হলো?! এটা কি তাহলে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য? বাকি সবার থেকে আলাদা হয়ে শুধু সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকার জন্য? সেনাবাহিনী আপনাকে কী করবে? আবার গৃহবন্দী করবে? সূ চী নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য কি না, এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত, তার আজকের অবস্থা তখন হলে কিছুতেই তাকে এ পুরস্কার...।
*** মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১৯৯০ সাল থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী বহু রোহিঙ্গা নারীকে যৌনদাসী হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। এছাড়া রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ, এমনকি শিশুদের কাছ থেকেও বাধ্যতামূলক শ্রম আদায় করছে সেনাবাহিনী। কেউ আপত্তি করলেই নেমে আসে লোমহর্ষক নির্যাতন। ২০১৫ সালেই প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে দাবী করা হয়, রোহিঙ্গাগণহত্যার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।
*** ইইউ কমিশনের ত্রাণ কার্যক্রমের প্রধান ক্রিস্টোস স্টাইলিয়ান্ডেস বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর রীতিমত জাতিগত নিধনযজ্ঞ চলছে। তিনি আরো বলেন, জাতিসঙ্ঘ মহাসচীব গুতেরেসের সঙ্গে আমি একমত যে মিয়ানমারের এ পরিস্থিতি জাতিগত নিধন।
*** রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিচালিত জাতি- গত নিধনযজ্ঞে নীরবতা বা সমর্থনের অপরাধে সূ চী একের পর এক সম্মাননা হারাচ্ছেন। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো সিটি কাউন্সিল সূ চীকে দেয়া ফ্রিডম অব দ্য সিটি পুরস্কার প্রত্যাহার
করে নিয়েছে, যা একটি নযিরবিহীন ঘটনা। কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এছাড়া আমাদের কোন উপায় ছিলো না। গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় ২০০৯ সালে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছিলো।এদিকে এই অপরাধের কথা উল্লেখ করে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেফিল্ড শহরের কর্তপৃক্ষ।এছাড়াও গতমাসে সূ চীকে দেয়া ফ্রিডম অব অক্সফোর্ড খেতাব প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে অক্সফোর্ড সিটি কাউন্সিল। একই সঙ্গে অক্সফোর্ডের একটি কলেজ তাদের মূল ভবনের প্রবেশদ্বার থেকে সূ চীর প্রতিকৃতি সরিয়ে নিয়েছে। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া সম্মানসূচক ডিগ্রীও বাতিলের দাবী উঠেছে, যা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। *** শান্তিতে নোবেলজয়ী দক্ষিণ- আফ্রীকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ডেসমন্ড টুটু। রোহিঙ্গানিপীড়ন বন্ধের পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের নেত্রী শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সূ চীকে সম্প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। এজন্য তিনি দীর্ঘ দিনের নীরবতা ও নিভৃতবাস ভঙ্গ করে সূ চীকে খোলা চিঠি লিখেছেন গত বৃহস্পতিবার, ৭ই সেপ্টেম্বর। তিনি বলেন, বার্ধক্য আমাকে গ্রাস করেছে। আমি এখন জরাগ্রস্ত। সবকিছু থেকে অবসর নিয়েছি। ঠিক করেছিলাম, সার্বজনীন বিষয়ে প্রকাশ্যে আর কিছু বলবো না। কিন্তু আজ তোমার দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের গভীর সঙ্কটে সেই নীরবতা আমি ভাঙ্গছি। ক্যান্সারে আক্রান্ত ৮৫ বছর বয়সের এই সাবেক আর্চবিশপ সূ চীর উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘হে আমার বোন, রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছাই যদি তোমার নীরবতার কারণ হয়ে
থাকে, তার জন্য তাহলে সত্যি বড় বেশী মূল্য দিতে হচ্ছে। আমরা প্রার্থনা করি, তুমি ন্যায়- বিচারের পক্ষে মুখ খুলো। মানবতার পক্ষে কথা বলো। টুটরু খোলা চিঠি বিশ্ববিবেককে প্রচ-রকমের নাড়া দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম যেমন টুটরু প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে, তেমনি সূ চীর প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কারের ঝড় বয়ে চলেছে।
*** শেষপর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাঈ মুখ খুলেছেন রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূিত প্রকাশ করার জন্য। তার বক্তব্যের ভাষা ছিলো যথেষ্ট কোমল ও সৌজন্যপূর্ণ। তারই মত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী মিয়ানমারের নেত্রীর কোন সমালোচনা বা নিন্দা ছিলো না, ছিলো শুধু কোমল একটা আহ্বান। সংযমের মধ্যে কীভাবে কঠোর হতে হয় এবং শান্ত ভাষাও কীভাবে হতে পারে তলোয়ারের মত ধারালো তা তিনি শিখতে পারতেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী, তার দাদার বয়সী ডেসমন্ড টুটরু কাছ থেকে। বিবিসি জানায়, মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলমানদের সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ‘তালেবানের নৃশংস হামলার শিকার’ মালালা ইউসুফজাঈ। রোহিঙ্গাদের হয়ে কথা বলার জন্য তিনি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সূ চীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একটি দেশে বসবাসের অধিকার ও নাগরিকত্ব হারানোর পর কী ঘটতে পারে তা ভেবে দেখা উচিৎ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের।