আরাকানের মযলূম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর গত ২২শে আগস্ট থেকে যে নৃশংসতা শুরু হয়েছে তার অজুহাত হিসাবে মিয়ানমারের শাসকচক্র রোহিঙ্গাদের তথাকথিত সশস্ত্র সংগঠন আরসা-এর কথিত হামলার কথা প্রচার করছে। তাদের মতে ২৪ আগস্ট আরসার সন্ত্রাসীরা একযোগে পঁচিশেরও বেশী পুলিশ ফাঁড়ি ও সেনাছাউনীতে হামলা চালিয়েছে। তো সন্ত্রাসীদের দমনের জন্যই সেনাবাহিনীর বর্তমান অভিযান।কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল দু’টি কারণে মিয়ানমারের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রথমত চব্বিশে আগস্ট যেখানে আনান কমিশনের রিপোট পেশ করার কথা সেখানে হুট করে এই হামলা আরসার পক্ষ হতে কিছুতেই চিন্তা করা যায় না। তাদের জন্য তো রিপোর্ট প্রকাশ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করাই যুক্তিসঙ্গত যে, আগে দেখি, কমিশনের রিপোর্টে কী আছে!দ্বিতীয়ত এ হামলা তাদের পক্ষেই সম্ভব যারা আনান কমিশনের রিপোর্ট-এ কী আছে, জানেন এবং রিপোর্টের প্রতি তারা খুশী নন। তাই এর বাস্তবায়নকে বানচাল করতে চান।কথিত হামলা থেকে আরসার তো কোন ভাবেই উপকৃত হওয়ার সুযোগ নেই। এর সবটুকু ফায়দা তে যাবে সামরিক জান্তার ঘরে। তাই এটাই স্বাভাবিক যে, জান্তাই এ হামলার নাটক সাজিয়েছে কল্পিত আরসার নাম ব্যবহার করে। তাছাড়া আরসার হামলা যদি সত্যও হয় সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হবে, যতজন রোহিঙ্গা মুহাজিরীনের সঙ্গে কথা হয়েছে, প্রত্যেকেরই একই বক্তব্য, আরসা নামের কোন কিছুর কথা আমরা কখনো শুনিনি। বিবিসির সন্ধানী প্রতিবেদনেও প্রমাণিত হয়েছে যে, আরসা নামের কোন সংগঠনের অস্তিত্বের তেমন কোন আলামত নেই। রোহিঙ্গারা মনে করেন, পুরো বিষয়টা সামরিক চক্রের সাজানো নাটক।