আলআকছা, বাইতুল মাকদিস এবং ফিলিস্তীনের জিহাদ ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস যদি লেখা হয় তাহলে সবার আগে যে মহান মুজাহিদ ও সিংহপুরুষের নাম আসবে তিনি হলেন ফিলিস্তীনের প্রধান মুফতী আলহাজ সৈয়দ আমীন আলহোসায়নী রহ.।
১৮৯৩ খৃস্টাব্দে বাইতুল মাকদিসের অতি প্রভাবশালী এক সৈয়দ পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। এই পরিবারে পরপর তিনজন প্রধান মুফতীর পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন। প্রথম হলেন তাঁর দাদা মুসতাফা, তাঁর পিতা তাহির এবং তার বড় ভাই কামিল। পরবর্তী জীবনে তিনি নিজেও প্রধান মুফতীর পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন। সুতরাং সহজেই বোঝা যায়, পরিবারটির ধর্মীয় মর্যাদা ও সামাজিক প্রভাব কত বিপুল ছিলো। বস্তুত সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে এমন ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বাইতুল মাকদিসের আর কোন পরিবারের প্রতি ছিলো বলে মনে হয় না।
একটি স্মৃতিচারণমূলক লেখায় হযরত আলী মিয়াঁ রহ. তাঁর সম্পর্কে বলেন, ‘যখনই তাঁর নূরানী ছুরত দেখতাম মনে হতো, আসমান থেকে কোন ফিরেশতা নেমে এসেছেন!’ আল-আকছা, বাইতুল মাকদিস এবং ফিলিস্তীনের প্রতি মুহাব্বাত Ñএটাই তাঁর সারা জীবনের বৈশিষ্ট্য। আলআকছার জন্যই যেন তিনি বেঁচেছিলেন, বাইতুল মাকদিসের জন্য জিহাদই ছিলো তাঁর জীবনের মাকছাদ, ফিলিস্তীনের জন্য জানমাল কোরবান করা, এতেই যেন ছিলো তাঁর জীবনের প্রশান্তি। আলী মিয়াঁ লিখেছেন, ‘সারা জীবন তিনি মুসলিম উম্মাহর পবিত্র ভূমি ফিলিস্তীন এবং মুসলমানদের প্রথম কেবলা বাইতুল মাকদিসের জন্য জিহাদ করেছেন। যে পাক স্যরযামীনের হিফাযতের জন্য কুদরত সবসময় সিংহহৃদয় শাসক, সুলতান এবং জানবায মুজাহিদীনকে নির্বাচন করেছে তাদের মুবারক সিলসিলা হযরত উমর ফারূক রা. থেকে শুরু হয়ে, ছালাহুদ্দীন আইয়ুবী এবং তারপর সুলতান আব্দুল হামীদ পর্যন্ত এসে খতম হয়েছে সেই সিলসিলায় যদি এই শেষ যুগে আরেকটি নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে নিঃসন্দেহে সেই নামটি হবে আলহাজ্ব মুফতী আমীন আলহোসায়নী রহ.।
তাকে দেখলে মনে হতো যেন একটি অগ্নিগোলা ছুটে চলেছে ফিলিস্তীনের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত, সব মুসলমানের মুর্দা দিলে জিহাদের আগুন জ্বেলে দিতে।’
ফিলিস্তীন, আলআকছা ও বাইতুল মাকদিসের জন্য জিহাদ, এই ছিলো তাঁর দিনরাতের চিন্তা, সকাল-সন্ধ্যার অস্থিরতা। এমন অস্থিরতা কারো মধ্যে আসতে পারে শুধু ঈমানের উৎসধারা থেকে। আর ঈমান তো তাঁর কলব ও রূহকে সুসিক্ত করে রেখেছিলো। হযরত আলী মিয়াঁ বলেন, ‘ফিলিস্তীন ছিলো তাঁর জন্য সন্তানের মত। অন্যদের জন্য ফিলিস্তীন ছিলো একটি জাতীয় সমস্যা, যার সমাধানের জন্য তারা ত্যাগ ও আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত, কিন্তু আমীন আলহোসায়নীর জন্য ফিলিস্তীন ছিলো পারিবারিক ও ব্যক্তিজীবনের কোন শোকাবহ ঘটনা।’
হযরত আলী মিয়াঁ আরো লিখেছেন, ‘ফিলিস্তীন সম্পর্কে সারা জীবন তিনি একটি বিশ্বাস ও প্রত্যয় লালন করেছেন। তা এই যে, ফিলিস্তীন সমস্যার বিভিন্ন দিক রয়েছে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, বিভিন্ন দিক রয়েছে এবং সেগুলোর নিজস্ব গুরুত্ব ও মূল্য অবশ্যই রয়েছে এবং আমাদের চিন্তায় ও বিবেচনায় সেগুলো অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু আলহাজ্ব আমীন আলহোসায়নী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তীনের বিষয়টিকে বাইতুলমাকদিসের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতেন। ফিলিস্তীন সমস্যা তার কাছে এজন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো এবং জীবন-মরণের সমস্যা ছিলো যে, ঐ ভূমিতে রয়েছে মুসলিম উম্মাহর প্রথম কিবলা আলআকছা ও বাইতুল মাকদিস; এ জন্য যে, এ পবিত্র ভূমি হচ্ছে মি‘রাজে নবীর পহেলা মানযিল। প্রত্যেক লেখায় এবং বক্তৃতায় তিনি তাঁর এ চিন্তা ও চেতনার কথা তুলে ধরতেন। এ বিষয়টি বিভিন্ন মঞ্চে তিনি এতবার বলেছেন এবং এতভাবে বলেছেন যে, শুনতে শুনতে সবাই যেন ‘বোর’ হয়ে যেতো। তিনি চাইতেন ফিলিস্তীনের নেতা ও জনতা কারো চিন্তাচেতনা থেকে এটা যেন গায়েব না হয়ে যায়। এটাকে তিনি ‘কাউমি খোদকুশি’ (জাতীয় আত্মহত্যা) এর সমতুল্য মনে করতেন। তাঁর সময়েও এমন বহু আরবনেতা ছিলেন, যাদের কাছে আলআকছা বা বাইতুল মাকদিস কোন আকর্ষণের বিষয় ছিলো না। তাদের কাছে ফিলিস্তীন সমস্যার গুরুত্ব এজন্য ছিলো না যে, সেখানে রয়েছে মুসলিম উম্মাহর প্রথম কেবলা বাইতুল মাকদিস ও আল আকছা। হয়ত কোন উপলক্ষে, কোন বক্তৃতামঞ্চে বাইতুল মাকদিস ও আলআকছা শব্দটি উচ্চারণ করারও তাদের কখনো তাওফীক হতো না। হয়ত এমন আরবনেতৃত্ব সম্পর্কেই হাদীছ শরীফে এসেছে, ‘একজন আরব সরদার এমন হবে যার হাতে আরবদের বরবাদি সম্পন্ন হবে। তার অবস্থা এমন হবে যে, বাইতুল মাকদিসে পদার্পণ করা তার নছীবে হবে না।’
আমীন আলহোসায়নীর ঘটনা ছিলো একেবারে অন্যরকম। তিনি মুহূর্তের জন্য ভুলতে পারতেন না, বাইতুল মাকদিসের কথা। ঐ বাইতুল মাকদিস যা হযরত ওমর রা. এর হাতে বিজিত হয়েছিলো, যার চাবি গ্রহণের জন্য তিনি মারকাযে খিলাফত মদীনা থেকে সফর করে শামে হাযির হয়েছিলেন। বাইতুল মাকদিসের চিন্তা তাঁকে যেন মুহূর্তের জন্য স্থির হতে দিতো না।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন ফিলিস্তীন বৃটিশ কর্তৃত্বে চলে যায় এবং ইহুদীরা ঢলের মত ফিলিস্তীনের দিকে আসতে শুরু করে তখন আরবদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এই আরববিদ্রোহে একমাত্র তিনিই ছিলেন নেতৃত্বদানকারী। তিনি উসমানী সালতানাতের তত্ত্বাবধানে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন এবং যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। বৃটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে আমীন আলহোসায়নির কর্মতৎপরতা এমন অসহনীয় হয়ে উঠেছিলো যে, তাঁকে গ্রেফতার করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়।
গ্রেফতার করা সম্ভব হলে হয়ত তাকে ফাঁসি দেয়া হতো। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা তাঁর জন্য আরো দীর্ঘ হায়াত নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। তাই অত্যন্ত সুকৌশলে এবং ক্ষীপ্রতার সঙ্গে তিনি ফিলিস্তীন থেকে বের হয়ে যান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখনো আমীন হোসায়নি বৃটিশশক্তির বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই করেছেন। ঐ সময় ফিলিস্তীন আন্দোলনের তিনিই ছিলো অগ্রসেনানী ও প্রাণপুরুষ। তাঁর অনুসারীরাই তখন ফিলিস্তীনের মুক্তিসংগ্রামের পতাকা ঊর্ধ্বে ধরে রেখেছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি বৃটিশদের হাতে প্রায় ধরা পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধি ও কুশলতার মাধ্যমে তিনি ফিলিস্তীন থেকে বের হয়ে যেতে সক্ষম হন। প্রথমে তিনি ইরানে যান। সেখান থেকে যান জার্মানীতে। জার্মানিতে দীর্ঘ দিন তিনি মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে মুখে ও কলমে জোর প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে আরবপ্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন।
যখন জার্মানি পরাজিত হলো তখন তিনি ফ্রান্সে আশ্রয়গ্রহণ করেন। বৃটিশ সরকার বারবার দাবী জানায় যেন ফ্রান্স তাকে তাদের হাতে তুলে দেয়। কারণ তিনি তাদের পলাতক অপরাধী। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছা, ফ্রান্স সরকার তাতে সম্মত হয়নি।
পরে যখন তিনি ফিরে এলেন তখন আরবজাহান এবং ফিলিস্তীনের যমীন আসমান উলটপালট হয়ে গেছে। বৃটিশ তো চলে গিয়েছে, কিন্তু ফিলিস্তীনের ভূমি তার জন্য একই রকম সঙ্কীর্ণ রয়ে গেছে। কারণ ফিলিস্তীন বাদশাহ আব্দুল্লাহর হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো। আর বাদশাহর সঙ্গে তার ছিলো আদর্শিক দ্বন্দ্ব। উছমানী খেলাফাতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী আরবনেতাদের তিনি মনে করতেন কাউমি গাদ্দার। তাদের ক্ষমা করার জন্য, বা পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে তাদের সঙ্গে সমঝোতা করার জন্য তিনি মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না।
বৃটিশ কূটনীতির বিষফলরূপে সমগ্র আরববিশ্বে যখন উছমানী খেলাফাতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সর্বগ্রাসী ঝড়-তুফান শুরু হয় তখন একটি ক্ষুদ্র দল আরবদের আত্মঘাতী কর্মকা-ের বিরোধী ছিলো। তাদের মধ্যে আমীর শাকীব আরসালান এবং মুফতী আমীন আলহোসায়নী ছিলেন শীর্ষস্থানে। তারা বিশ্বাস করতেন যে, খলীফাতুল মুসলিমীনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে আরব-নেতৃবৃন্দ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সবচে’ বড় দুশমন ইংরেজের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েছে।
মুফতী আমীন আলহোসায়নী ভালো করেই জানতেন, ঐ সময় আরবজাতীয়তাবাদের বিরোধিতায় অবতীর্ণ হওয়া মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার সমতুল্য। কিন্তু তিনি তার আদর্শ ও বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ ছিলেন। আর কোন মূল্যেই তিনি বিবেকের কাছে আসামী হতে রাজী ছিলেন না। তাঁর দৃষ্টিতে ইসলাম এবং একমাত্র ইসলামই ছিলো সকল সমস্যার সমাধান। আরবজাতীয়তাবাদ তাঁর দৃষ্টিতে ছিলো বিষের পেয়ালার মত পরিত্যাজ্য।
বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ হলো, তখন শাম ও বৃহত্তর সিরিয়াকে চারটুকরো করা হলো। সিরিয়া, ফিলিস্তীন, পূর্ব জর্ডান ও লেবানন। বাদশাহ আব্দুল্লাহকে সান্ত¦না দেয়া হলো যে, হারামের তত্ত্বাবধান যদি হাতছাড়া হয়ে থাকে তাহলে চিন্তার কিছু নেই ফিলিস্তীন ও বাইতুল মাকদিস তোমাকে দেয়া হচ্ছে।
মুফতী আমীন আলহোসায়নীর পক্ষে ফিলিস্তীনে অবস্থানের কোন উপায় ছিলো না। তিনি মিশরে চলে এলেন। মিশর সরকার তাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় বরণ করে নিলো।
কায়রোতে অবস্থান করে তিনি তাঁর পক্ষে যতদূর সম্ভব ফিলিস্তীনের ইসলামী প্রকৃতি রক্ষার জিহাদ চালিয়ে যেতে লাগলেন।
তারপর জামাল আব্দুন্নাসেরের কালো অধ্যায় শুরু হলো এবং কায়রোতে থাকা তাঁর জন্য কঠিন হয়ে গেলো। তিনি বৈরুতে আশ্রয় নিলেন। বৈরুতে তিনি একজন শরণার্থীর মতই জীবন যাপন করছিলেন।’
হযরত আলী মিয়া বলেন, ‘মুফতী আমীন আলহোসায়নী ঐ খোশকিসমত মুজাহিদীনের একজন ছিলেন, যাদের জিহাদ ও কোরবানির প্রতিদান আল্লাহ তা‘আলা আখেরাতের জন্য তুলে রেখেছেন। এখানে দুনিয়াতে ফিলিস্তীন ও বাইতুল মাকদিসের জন্য যে জিহাদ ও মুজাহাদা তিনি করেছেন তার সন্তোষজনক কোন ফল দেখে যাওয়া তাঁর ভাগ্যে হয়নি।
তাঁর সারা জীবনের স্বপ্ন ছিলো বাইতুল মাকদিস ও মসজিদুল আকছাকে তিনি আযাদ দেখে যাবেন। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলার সেটা মনযূর ছিলো না। আঘাতের পর আঘাত তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে; ব্যর্থতার পর ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ফিলিস্তীন ও বাইতুল মাকদিসকে কেন্দ্র করে তাঁর যত পরিকল্পনা সব ধূলোয় মিশে গেছে। প্রতিকূল থেকে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আরবনেতাদের তিনি অন্তরের দরদের সঙ্গে নছীহত করেছেন, ‘ফিলিস্তীন-সমস্যার সমাধান ধর্মনিরপেক্ষতার মধ্যে নয়, নয় আরবজাতীয়তাবাদের মধ্যে। ফিলিস্তীনের মুক্তি নিহিত রয়েছে ইসলামের মধ্যে এবং আল্লাহর নামে জিহাদের মধ্যে। কেউ তাঁর কথা হয়ত বুঝতোই না। তাই শ্রদ্ধার কমতি না থাকলেও নছীহত গ্রহণ করা হতো না। কোরআনের ভাষায় তাঁর বলার হক ছিলোÑ
ولكن لا تحبون الناصحين
জীবনের শেষ দিকে সবচে’ বড় আঘাত যেটা তিনি পেয়েছেন তা হলো ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহার জানি দুশমন ইহুদিদের সঙ্গে আরব ও ফিলিস্তীনী নেতৃবৃন্দের সমঝোতামূলক চুক্তি। তার দৃষ্টিতে এটা দাসত্বের চেয়ে কম কিছু ছিলো না। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ তখন অসহায়ের মত দেখে যাওয়া ছাড়া তাঁর কিছুই করার ছিলো না। কারণ সবার কাছে তিনি তখন হয়ে পড়েছেন ‘পিছনের যুগের মানুষ’।
তিনি তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত পত্রিকায় মৃত্যুর তিনচারদিন আগে জীবনের শেষ যে লেখাটি লিখেছেন তাতে পরিষ্কার ভাষায় আরবরাষ্ট্রপ্রধানদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘এই সমাধান আরবদেশগুলোর গ্রহণ করা উচিত নয়। যদি তারা মোকাবেলা করতে না পারে তাহলেও এত অল্প মূল্যে সওদা করা কিছুতেই উচিত নয়।
শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য দেখেই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন যে, আরবরা নিজেদের হাতে মৃত্যুপরোয়ানায় দস্তখত করে দিয়েছে। অন্তত ইসরাইলের সঙ্গে লড়াই শেষ হয়ে গেছে এবং আরবরা ইসরাইলের অস্তিত্ব স্বীকার করে নেয়ার দিকে কয়েক কদম আগে বেড়ে গেছে। হযরত আলী মিয়াঁ লিখেছেন, ‘আমি মনে করি সিনার বড় একটা ঘা নিয়েই তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন।