জুমাদাল উলা ১৪৩২ হিঃ (২০)

তোমাদের জন্য

কাকে বলে ইসলাম

লিখেছেনঃ মাওলানা ইয়াহইয়া (রহ)

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

ছিয়ামের হাকীকত 

চারটি বুনিয়াদি আমলের মধ্যে তৃতীয়টি হলো ছিয়াম।

সৌভাগ্যক্রমে আমাদের বাংলাভাষায় ঈমান-এর বিকল্প রূপে বিশ্বাস বা অন্য কোন শব্দ ব্যবহৃত হয়নি; যদি হতো তাহলে অশ্রুপাত ছাড়া আর কিছুই করার থাকতো না, যেমন মুমিনের জীবনের সবচে’ প্রিয় শব্দ হলো আল্লাহ, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের ভাষায় এ মহান শব্দটির স্থান অধিকার করে নিয়েছে খোদা শব্দটি। আকায়েদ ও আ‘মালের রূপ ও স্বরূপ যেমন অক্ষুণ্ণ থাকা দরকার তেমনি মৌলিক শব্দগুলোও অক্ষুণ্ণ রাখা দরকার। আ‘মালের ক্ষেত্রে যাকাত ও হজ্ব শব্দদু’টি অক্ষুণ্ণ রয়েছে, কিন্তু ছালাত ও ছিয়াম-এর স্থান দখল করে নিয়েছে নামায ও রোযা, এদু’টি আজমি শব্দ। আমাদের চেষ্টা করা দরকার, এ ক্ষেত্রেও যেন কোরআনি শব্দদু’টিতে আমাদের মুখ ও কলম অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। কথাগুলো মনে পড়ে গেলো তাই এখানেই বলে দিলাম।

ছিয়ামের ফরযিয়ত নাযিল হয়েছে কোরআনের এই আয়াতে-

‘হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর ছিয়াম ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিলো তাদের উপর যারা তোমাদের পূর্বে বিগত হয়েছে। (তোমাদের উপর তা ফরয করা হয়েছে,) যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পারো।

ছিয়াম পালনের সময় হলো পূর্ণ রামাযান মাস। চাঁদ দেখে ছিয়াম  শুরু করা হয় এবং চাঁদ দেখে সমাপ্ত করা হয়, কারণ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

صوموا لرؤيته و أفطروا لرؤيته

তোমরা ছিয়াম রাখো চাঁদ দেখে এবং ছিয়াম ত্যাগ করো চাঁদ দেখে।

তাতে ছিয়ামের সংখ্যা কখনো হয় ত্রিশটি, কখনো ঊনত্রিশটি। ছিয়ামের চাঁদ এবং ঈদের চাঁদ দু’টোই ইসলামী সমাজে ও মুসলিম জীবনে এমনই এক যাহিরি ও বাতিনি আনন্দ বয়ে আনে যার কোন তুলনা আর কোন জাতি ও ধর্মের সমাজে নেই। পশ্চিম আকাশে যখন ছিয়ামের বা ঈদের একফালি বাঁকা চাঁদ উদিত হয়, আর মানুষ ঐ যে চাঁদ! ঐ যে চঁদ! বলে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে তখন সেই পবিত্র আনন্দের জোয়ার দেখে  অন্য জাতি ও ধর্মের লোকেরা ঈর্ষাবোধ করে যে তাদের তো এরূপ আত্মিক আনন্দ নেই!

ছিয়ামের প্রয়োজনীয়তা

আমাদের যে দেহটা আমরা দেখি সেটা আসল মানুষ বা ইনসান নয়, আমাদের এই জড়দেহের ভিতরে রূহ বা আত্মা নামের একটি শক্তি আল্লাহ তা‘আলা গচ্ছিত রেখেছেন সেটাই হলো আসল মানুষ বা ইনসান। আমাদের এই জড়দেহ হচ্ছে তার আধার বা ধারণপাত্র। দেহের সম্পর্ক হচ্ছে মাটি ও জড়জগতের সঙ্গে, যেমন ইরশাদ হয়েছে-

‘আর নিশ্চয় আমি মানুষকে পচা কাদার খনখনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি।’

পক্ষান্তরে রূহ বা আত্মার সম্পর্ক হচ্ছে ঊর্ধ্বজগতের সঙ্গে। রূহ সম্পর্কে ইহুদিরা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছিলো। সেই জিজ্ঞাসার জবাবে আয়াত নাযিল হয়েছে-

‘আর তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলুন, রূহ হচ্ছে আমার রবের হুকুমবিশেষ।’ মাতৃগর্ভে মানবশিশুর দেহটি যখন পূর্ণাঙ্গতা লাভ করে তখন তাতে রূহ বা আত্মা সংস্থাপিত হয়, কীভাবে হয় তা আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন এই আয়াতে-

‘আমি তার দেহে নিজের পক্ষ হতে রূহ ফুঁকে দিলাম।’

দেহ ও আত্মা উভয়েরই খাদ্যের প্রয়োজন, তবে উভয়ের খাদ্য এক নয়। দেহের সম্পর্ক যেহেতু জড়বস্ত্তর সঙ্গে সেহেতু অন্যান্য পশুর মত মানবদেহেরও খাদ্যের উৎস হলো জড়বস্ত্ত। এর দ্বারাই তার জড়দেহ বৃদ্ধি লাভ করে এবং পরিপুষ্ট হয়। কিন্তু তার দেহসত্তা যতই পুরিপুষ্ট হয় তার মধ্যে জৈবিক ও পাশবিক শক্তিগুলো ততই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, আর রূহ বা আত্মা তত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঊর্ধ্বজগতের সঙ্গে তার সম্পর্কও ততই ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে পড়ে।

রূহ বা আত্মা যদি তার নির্ধারিত খাদ্য লাভ করে তাহলে দেহের মত সেও শক্তিশালী হয় এবং উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি হয়। এখন প্রশ্ন হলো রূহ বা আত্মার খাদ্য কী?

যেহেতু এটি এসেছে আল্লাহর পক্ষ হতে আল্লাহর আদেশরূপে সেহেতু এর খাদ্য হলো আল্লাহর ইবাদত। এখান থেকেই বোঝা যায় যে, আমাদের উপর যেসকল ইবাদত ফরয করা হয়েছে, আল্লাহর তাতে কোন প্রয়োজন নেই। যেমন হাদীসে কুদসীতে এসেছে, ‘জ্বিন ও ইনসান যদি নাফরমানি দ্বারা দুনিয়া ভরে ফেলে তাতে আমার রাজত্বের বিন্দুপরিমাণও ক্ষতি হবে না। তদ্রূপ জ্বিন ও ইনসান যদি নেকি ও ইবাদত দ্বারা দুনিয়া ভরে ফেলে তাতে আমার রাজত্বের বিন্দুপরিমাণও বৃদ্ধি হবে না।’

আসলে আমাদেরই প্রয়োজনে আমাদের রূহ বা আত্মার খোরাকরূপে আল্লাহ তা‘আলা দয়া করে আমাদের উপর বিভিন্ন ইবাদত ফরয করেছেন। দেহের খাদ্যে যেমন বৈচিত্র্যের প্রয়োজন তেমনি রূহ বা আত্মার খাদ্যেরও বৈচিত্র্য ও বিভিন্নতার প্রয়োজন। সেজন্যই একটি মাত্র ইবাদতের পরিবর্তে পাঁচপ্রকার ইবাদত আমাদের উপর ফরয করা হয়েছে।

রূহ বা আত্মার খাদ্য হিসাবে ছিয়ামের গুরুত্ব অনেক বেশী। দেহের খাদ্য জৈবিকতা ও পাশবিকতাকে শক্তিশালী করে, আর ছিয়াম আমাদেরকে তা থেকে বিরত রাখে যেন আমাদের আত্মা নির্দিষ্ট একটা সময় জৈবিকতা ও পাশবিকতা থেকে মুক্ত হয়ে ঊর্ধ্বজগতের সঙ্গে তার সম্পর্কটিকে মজবূত করে নিতে পারে।

বস্ত্তত ছিয়ামের মাধ্যমে রূহ বা আত্মা কতটা ঊর্ধ্বজাগতিক উন্নতি লাভ করে এবং মানুষ আল্লাহ তা‘আলার কতটা নৈকট্য অর্জন করে তা কিছুটা হলেও এই হাদীছ থেকে আমরা বুঝতে পারি। ইরশাদ হয়েছে-

ছাইম (বা রোযাদার)-এর মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের চেয়েও উত্তম।

ইমাম গায্যালী রহ. বড় সুন্দর বলেছেন-

‘আখলাকে ইলাহি তথা ঊর্ধ্বজাগতিক গুণাবলীতে মানুষকে গুণান্বিত করাই হচ্ছে ছিয়ামের উদ্দেশ্য। ছিয়াম মানুষকে ফিরেশতাকুলের অনুকরণের মাধ্যমে যতদূর সম্ভব প্রবৃত্তিপরায়ণতা থেকে মুক্ত হওয়ার শিক্ষা দেয় এবং তার মধ্যে জৈবিকতা ও পাশবিকতার মুকাবেলা করার শক্তি সৃষ্টি করে।’

আল্লামা ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন-

‘ছিয়ামের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে তার পাশবিক ইচ্ছা ও জৈবিক অভ্যাস থেকে মুক্ত করা এবং

এতে সুস্থতা ও স্বাভাবিকতা আনয়ন  করা। ছিয়ামের মাধ্যমেই মানুষ আত্মশুদ্ধি ও পবিত্রতা অর্জন করে। ক্ষুধা-পিপাসার কারণে জৈবিকতা ও পাশবিকতায় ভাটা পড়ে। তার পশুত্ব নিসেত্মজ হয়ে যায়।’

ছিয়ামের উপকারিতা

ছিয়ামের মধ্যে আত্মিক ও জাগতিক অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে। বড় বড় কয়েকটি আত্মিক উপকারিতা এই যে, ছিয়াম মানুষের মধ্যে সংযম সৃষ্টি করে, তার প্রবৃত্তিকে দমন করে। ছিয়ামের মাধ্যমে গোনাহ ও নাফরমানি থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়। সিয়ামের মাধ্যমে কলবের পুরা তাওয়াজ্জুহ ও মনোযোগ আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ হয়, ফলে ইবাদত ও আনুগত্য তার জন্য সহজ হয়ে যায়। ছিয়াম মানুষকে শয়তান ও নফসের যাবতীয় হামলা থেকে রক্ষা করে। তাই হাদীছ শরীফে ছিয়ামকে মুমিনের ঢাল বলা হয়েছে। তবে হাদীছ শরীফে একটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে এই বলে, ‘যতক্ষণ না সে (গোনাহ দ্বারা) উহা ফেড়ে ফেলে।’ অর্থাৎ ছিয়ামের অবস্থায় যদি ছিয়ামের মর্যাদার পরিপন্থী কোন কাজ করা হয় তবে ঢালরূপী ছিয়াম দুর্বল হয়ে যায়।

ছিয়ামের মাধ্যমে মুমিন বান্দা আল্লাহ তা‘আলার এতই নৈকট্য অর্জন করে যে, যতক্ষণ সে ছিয়ামের অবস্থায় থাকে ততক্ষণ তার কোন দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না, সমস্ত দু‘আ কবুল করা হয়।

ছিয়ামের বড় বড় কয়েকটি জাগতিক ফায়দা এই যে, তা দেহের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য অত্যন্ত সহায়ক। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মতেও মাঝে মধ্যে মানুষের উচিত উপবাস পালন করা। কেননা অব্যাহত পানাহারই রোগ-ব্যাধির বড় কারণ।

তাছাড়া ছিয়ামের মাধ্যমে সুখী-সচ্ছল মানুষের অন্তরে অভাবী ও ক্ষুধাগ্রস্ত মানুষের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি সৃষ্টি হয়। বস্ত্তত ধনীর অন্তরে গরীবের প্রতি দয়া ও সহানুভূতির অভাবই হচ্ছে যাবতীয় সামাজিক অশান্তি ও গোলযোগের অন্যতম বড় কারণ।

তবে এটা খুব গুরুত্বের সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে, জাগতিক উপকারিতা কখনোই ছিয়ামের মূল উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত নয়। ইবাদত ও আল্লাহর প্রতি আনুগত্যই হচ্ছে ছিয়ামের মূল উদ্দেশ্য। এজন্যই ছালাত ও যাকাতের মত ছিয়ামের মধ্যেও নিয়তকে শর্ত করা হয়েছে। নিয়ত ছাড়া সকাল-সন্ধ্যা পানাহার থেকে বিরত থাকলেও ছিয়ামের ফরযিয়াত আদায় হবে না।

ছিয়ামের জাগতিক উপকারিতাকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়ার কুফল এই হবে যে, মানুষের অন্তর থেকে এর আত্মিকতা ও রূহানিয়াত এবং ইবাদত ও আনুগত্যের বিষয়টি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আর এটা তো বাস্তব সত্য যে, জাগতিক উপকারিতা বা ক্ষতিকরতা মানুষকে কখনো কোন কাজে উদ্বুদ্ধ করতে বা বিরত রাখতে পারে না।

আপনি নিজেই পরিসংখ্যান বের  করে দেখুন, কতজন মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে? আপনি নিজেই বলুন ‘ধূমপান বিষপান’ এই শেস্নাগানের কারণে কতজন মানুষ ধূমপান থেকে বিরত থাকে?

ছিয়ামের আজর ও ছাওয়াব     

অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে ছিয়ামের মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য এই যে, আমার ছালাত পড়া ও যাকাত আদায় করা মানুষ দেখতে পায়, এমনকি ইচ্ছা করে মানুষকে তা দেখানো যায়। সুতরাং ছালাত ও যাকাত আদায় করার মধ্যে নিজের ধার্মিকতার সুখ্যাতি অর্জনের উদ্দেশ্য থাকার অবকাশ রয়েছে। কিন্তু ছিয়ামের মধ্যে লোকদেখানোর কোন অবকাশ নেই। কারণ মানুষ বাইরে পানাহার থেকে বিরত থেকেও ঘরে গোপনে পানাহার করতে পারে। একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্য ছাড়া মানুষ কখনো কঠিন ক্ষুধা ও পিপাসার সময় নির্জনে পানাহার থেকে বিরত থাকতে পারে না। ছিয়ামের এই ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের কারণে আল্লাহ তা‘আলা এর আজর ও ছাওয়াবও বড় ব্যতিক্রমী নির্ধারণ করেছেন। এক হাদীছে ইরশাদ হয়েছে-

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আদমের বেটার প্রতিটি আমল তার নিজের জন্য, ছিয়াম ছাড়া। কেননা তা শুধু আমার জন্য। (শুধু আমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই সে পানাহার বর্জন করেছে এবং নফসের চাহিদা বিসর্জন দিয়েছে।) সুতরাং আমি নিজে হবো তার ছিয়ামের প্রতিদান। (কিংবা আমি সরাসরি নিজের হাতে দেবো তার প্রতিদান।)

আরেকটি হাদীছে হযরত সাহল বিন সা‘আদ (রা.) বর্ণনা করেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

জান্নাতের একটি দরজার নাম হবে রাইয়ান, (অর্থাৎ পিপাসা থেকে তৃপ্তির দরজা।) এটা শুধু ছাইম (রোযাদার)-এর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি পাবে না। আর এ দরজা দিয়ে একবার যে প্রবেশ করবে সে কোনদিন পিপাসা অনুভব করবে না। (বুখারী মুসলিম)

অন্য হাদীছে আছে, ছাইমের জন্য স্বয়ং ছিয়াম আল্লাহ তা‘আলার নিকট সুফারিশ করবে। ছিয়াম বলবে, এই বান্দা আমার কারণে দিনের পানাহার ও খাহেশাত ত্যাগ করেছে। (সুতরাং তাকে ভরপুর আজর দেয়া হোক।) তখন আল্লাহ তা‘আলা ছিয়ামের সুফারিশ কবুল করবেন।

একটি হাদীছে ইরশাদ হয়েছে-

ছাইমের জন্য আনন্দের বিশেষ দু’টি সময় রয়েছে। একটি আনন্দ সে দুনিয়াতেই লাভ করে ইফতারের সময়, আরেকটি আনন্দ সে লাভ করবে আখেরাতে আল্লাহর সামনে হাযির হওয়ার সময়।

ছিয়াম শুধু ইবাদত নয়, রহমত

আরো বলা হয়েছে, রামাযানে প্রতি রাত্রে জান্নাতকে ছাইমীনের জন্য সজ্জিত করা হয়। কোন কোন বর্ণনায় আছে, বছরের শুরু থেকে রামাযানের জন্য জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়।

বলাবাহুল্য যে, ছিয়ামের ইবাদত ছাড়া আর কোন ইবাদতের জন্য হাদীছ শরীফে এরূপ ফযীলত বর্ণিত হয়নি।

(চলবে ইনশাআল্লাহ)

 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা