যখন ধারণা হলো, লেখার কাজ শেষ, এমনকি মনে হলো সম্পাদনাও সমাপ্তির পথে। একটা স্বস্তির নিঃশাস ফেলতে যাবো তখন দেখি, এই পাতা এবং পরের পাতা, দু’টো পাতাই খালি! খালি মানে সাদা! বিলকুল সফেদ!
আমার বড় মেয়ে, বসে ছিলো পাশে, আমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য। আমার চেয়ে তার কষ্টটাই যেন বেশী হলো! সহানুভূতি জানিয়ে বললো, তোমার কষ্টটা বুঝতে পারছি। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্লান্ত শ্রান্ত পথিক যখন পথের ধারে গাছে ছায়ায় একটু বসতে যাবে এই প্রশান্তি মনে নিয়ে যে, পথ তো প্রায় শেষ! ঐ তো দেখা যায় গ্রামের ছায়া! এমন সময় সে জানতে পারে, না, পথ তার শেষ হয়নি! সে ভুল ভেবেছে! তার গন্তব্য এই গ্রাম নয়, যার ছায়া দেখে সে খুশী হয়েছে! তার গন্তব্য আরো দূরের গ্রাম। এখনো পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ! ঐ পাথিকের যেমন কষ্ট হবে, তোমার এখনকার কষ্ট বোধহয় তার চেয়ে বেশী!
***
কষ্ট হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু হলো না! হলো না মানে! সুযোগই হলো না কষ্টের! বড় মেয়ের দিকে মুগ্ধ কৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম! শুধু মেয়ে হলেই কি বাবার কষ্ট অনুভব করা যায়! ছেলে কি পারে না, কিছু হলেও বাবার কষ্ট বুঝতে! রক্তের ছেলে, আত্মার ছেলে! এবার তো মুগ্ধতা ও কৃতজ্ঞতার সীমানা পার হয়ে আনন্দের ভুবনে হলো শুভপ্রবেশ! চিন্তার অঙ্গনে হঠাৎ ঝিলিক দিলো একটি শিরোনাম! ‘লেখকের লেখা/পথিকের পথচলা! মেয়েকে বললাম, আম্মু! এতক্ষণ কৃতজ্ঞ ছিলাম তোমার সহানুভূতির জন্য। এখন নতুন করে কৃতজ্ঞ হলাম তোমার কাছ থেকে পাওয়া সুন্দর একটি লেখার জন্য। লেখার সুন্দর একটি বীজের জন্য।
জাযাকিল্লাহু খায়রান!