প্রিয়...!
ইচ্ছা করেই তোমার নাম উল্লেখ করা হলো না। তুমি লিখেছো, অনেক দিনের স্বপ্ন, আল্লাহর ঘরে যাবো, আল্লাহর ঘর দেখবো, হাজরে আসওয়াদে চুমু খাবো, মুলতাযামে বুক ঠেকিয়ে প্রাণভরে দু‘আ করবো।
...তোমার বর্ণনায় মনে হচ্ছে গ্রামের বাড়ীতে যাওয়ার কথা লিখছো। যেমন, ‘অনেক দিনের ইচ্ছা, গ্রামের বাড়ী যাবো, আম্মা-আব্বাকে দেখবো....মুলতাযামের সঙ্গে ‘ঠেকিয়ে’ শব্দটা লিখতে তোমার রুচিতে বাঁধলো না কেন, ভাবছি। সামনে তুমি লিখেছো, ধন্য হই সেই বুক দেখে যা ধন্য হয়েছে মুলতাযামে ঠেকে। কত ভালো হতো যদি লিখতে, ‘মুলতাযামে বুক লাগিয়ে প্রাণভরে দু’আ করবো!’ ‘ধন্য হই সেই বুকটি দেখে, যা ধন্য হয়েছে মুলতাযামের স্পর্শ লাভ করে।’ আকাঙ্ক্ষা শব্দটি এমনভাবে লিখেছো যেন মক্তবের... অনেক কষ্ট হয়েছে বোধহয়! হস্তাক্ষর এমন হলে একজন মাওলানার চলবে কেন!চোখ দু’টো ‘অশ্রু সিক্ত’ হলো, এভাবে আলাদা লিখেছো, হবে কিন্তু একসঙ্গে।
সবচে’ দুঃখজনক হলো, তুমি লিখেছো, ‘তখনই, ঠিক তখনই শুনতে পেলাম এক অদৃশ্য সান্তনা, যেন আমাকে সম্বোধন করে বলছে, নিরাশ হয়ো না বান্দা, নিরাশ হয়ো না।....এমন স্পর্শকাতর স্থানে বানানভুল! সামান্য লেখা, দ্বিতীয়বার দেখারও সুযোগ হলো না, লোগাত খোলারও ফুরসত হলো না! এই হলো তোমার আকুতি! সান্ত্বনাটি কি অদৃশ্য, না সান্ত্বনাটি অদৃশ্য থেকে আসছে! তাহলে তো লিখতে হবে, শুনতে পেলাম অদৃশ্যের সান্ত্বনা!
‘আমাকে সম্বোধন করে বলছে... এত স্থুলভাবে লেখার কী প্রয়োজন ছিলো! তুমি লিখতে পারতে, শুনতে পেলাম অদৃশ্যের সান্ত্বনা, নিরাশ হয়ো না বান্দা! নিরাশ হয়ো না!...কথাগুলো কঠিন হয়ে গেলো, কিন্তু তোমরা এমন করে লিখলে....