পুষ্প! ও পুষ্প!! কোথায় গো তুমি! দুয়ারে তোমার দেখো, কত দূরের মেহমান! খালি হাতের মেহমান না! এই দেখো, সঙ্গে এনেছি একহাঁড়ি মিষ্টি!
পুষ্প (আস্তে আস্তে দরজা খুলে) ঃ এসো এসো মেহমান ভাই! বসো, এখন তো শীতকাল, পাখা ছাড়ার দরকার নেই। তা কী মনে করে?!
আগন্তুক ঃ এই এলাম তোমার খোঁজ নিতে! অনেক দিন হলো তো, তুমি যাও না! ছেলে মেয়েরা অস্থির হয়ে বলে, বাবা, যাও তো, আমাদের পুষ্পরাণীর খবর নিয়ে এসো তো! আসছে না কেন! বড় কোন অসুখ করেনি তো!
পুষ্প ঃ সব ছেলে সব মেয়ে আমাকে এত্তো ভালোবাসে! ভাবতে বড় ভালো লাগে। আমিও সবাইকে খুব ভালোবাসি।
আগন্তুক ঃ এই নাও, মিষ্টিগুলো নাও। ছেলেমেয়েরা তোমাকে ভালোবেসে পাঠিয়েছে।
পুষ্প (একটু যেন নারায হয়ে) ঃ তা এই বুঝি তোমার ছেলেমেয়েদের বুদ্ধি! ওরা কি জানে না, আমি কিসে খুশী? মিষ্টিতে কী হবে! আমি তো চাই ওদের কচি হাতের কাঁচা কাঁচা মিষ্টি মিষ্টি লেখা! সেটাই না আসল উপহার!!
আগন্তুক (একটু লজ্জিত হয়ে) ঃ এই দেখো, আমার বুদ্ধিটাই না কাঁচা! আগে ওদের লেখাগুলো দেবো না তোমাকে!! (ব্যাগ থেকে বের করে) এই নাও, আমার দুই মেয়ে, আর ওদের ছোট্ট ভাই তোমার জন্য লেখা পাঠিয়েছে।
পুষ্প (লেখাগুলো দেখে) ঃ মাশাআল্লাহ! কী সুন্দর! খুব খুশী হলাম। ওদেরকে আমার আদর দিয়ো! সবাইকে পুষ্পের উদ্যানে স্বাগতম।