মুহররম.১৪৪০হিঃ (৩/৬)

কচি ও কাঁচা

পুষ্পের উদ্যানে তোমাদের স্বাগতম!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

এই ছেলেরা, এই মেয়রা! কোন কথা বলবে না, একদম চুপ! দেখছো না, আমি চোখ মেলে ঘুমিয়ে আছি!!একটি রোযনামচা১৮/৮/৩৯ হি.দু’দিন হলো আমার সখীর জ্বর। তাই আমারও মনটা ভারি বিষণ কিছুই ভালো লাগে না। না কিছু খেতে, না খেলনা নিয়ে খেলতে। না বাগানে গিয়ে বেড়াতে, না ফুল কুড়িয়ে মালা গাঁথতে। তোমরাই বলো, কার গলায় পরাবো সে মালা?!সখীকে ছাড়া আর কখনো একা একা থাকিনি তো, তাই এত খারাপ লাগছে। আজ সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম সখীকে দেখতে।আমাকে দেখেই সখী বুঝলো, আমার কত খারাপ লাগছে। তার উপর কাঁদো কাঁদো গলায় জিজ্ঞাসা করলাম, কেমন আছিস লো সই?সখী ম্লান হেসে বললো, ভালোই তো। জ্বরটা শুধু একটু বেড়েছে, আর মাথাটা বেজায় ধরেছে। শুয়ে থাকতে থাকতে পিঠে ব্যথা করছে, এই যা। তুই কিচ্ছুটি ভাবিসনে সই! দেখবি দু’দিনেই সেরে ওঠবো। তারপর তোকে নিয়ে বাগানে বেড়াবো; ফুল কুড়াবো; মালা গাঁথবো। তুই আমার গলায়...(নামটানেই)
মাগরিবের পর আমাদের সবাইকে বড় কামরায় গোল হয়ে বসতে বললেন আমাদের হুযূর। তারপর বললেন, চোখ বন্ধ করো। ্আমরা চোখ বন্ধ করলাম। তারপর বললেন, এবার চোখ খোলো। চোখ খুলে দেখি, রসমালাই। রসমালাই আমার খুব প্রিয়। তাই আমি খুব খুশী হয়ে রসমালাই খেলাম। এ রসমালাই আমাদের জন্য আদীব হুযূরের পক্ষ হতে এসেছে। হুযূর প্রশ্ন করলেন, তোমরা কী গ্রহণ করেছো বলো তো। আমরা বললাম, আদীব হুযূরের মুহব্বত ও বরকত গ্রহণ করেছি। (৪/৮/৩৯ হি.)আব্দুল আহাদ,মাদানী মাক্তা প্রথম বর্ষ
বৃহস্পতিবার ১০/৮/৩৯ হি. আজ বাসায় এসে শুনি, আব্বু বিদ্যুতের ‘ঝটকা’ খেয়েছেন। তিনি এখন হাসপাতালে। যখন বিদ্যুতের ঝটকা হলো, আব্বু তখন কলেমা পড়েছেন, যদি মৃত্যু হয়, তাই। আব্বু নীচে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। আব্বু তখন সবাইকে বলেছেন, আমাকে যদি বাঁচাতে চাও তাহলে মসজিদে নিয়ে যাও। আব্বু অযু করে নামায পড়েছেন তারপর হাসপাতালে গিয়েছেন। আমি আব্বুর জন্য অনেক কেঁদেছি, আর আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছি। আব্বু কত ভালো! আমাদের কত আদর করেন। (আবু হোরায়রা মাদানী মাকতাব, প্রথম বর্ষ)চাঁদকে আজ মনে হচ্ছে নতুন দুলহানের সাজে সেজেছে, তাই এত সুন্দর দেখা যাচ্ছে! তাহলে তো চাঁদ আমার মামা হলো না, মামী হলো!! চাঁদ মামী, তোমার বিয়েতে আমি কী দেবো জানো, শিউলীফুলের মালা। আমার বাগানে যখন তোমার বুক থেকে জোসনা ঝরে, শিউলী-গাছ থেকে তখন অনেক শিউলী ঝরে। শিউলী-ফুল তোমার পছন্দ চাঁদমামী?!বেলীফুল?! তাও আছে আমার বাগানে। আচ্ছা, না হয় বেলীফুলের মালাই পরাবো তোমার গলায়।তবে শোন চাঁদমামী! আমারও বায়না আছে তোমার কাছে! কী বায় না?! সবাই যখন ঘুমিয়ে যাবে, আমাকে তুমি কোলে তুলে নেবে, আর আদর করে আমার কপালে চুমু খাবে, তাহলেই পাবে শিউলী-বেলীর মালা!আচ্ছা, চাঁদমামী, এবার আমি যাই, ঐ যে আম্মু ডাকছেন আমাকে ঘুম পাড়াতে। 




শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা