যীকা‘দা ১৪৩৯ হিঃ (৩/৫)

কাশগর ও কায়রো

ভারতীয় মন্ত্রীর সত্যভাষণ কাশ্মীরের জনগণ স্বাধীনতা চায়

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রায় সাতলাখ জওয়ান কাশ্মীর রাজ্যে অবস্থান করছে বহু দিন থেকে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন-নির্যাতন, যে কোন উপায়ে কাশ্মীরী জনগণের স্বাধীনতার স্পৃহাকে টুটি চেপে হত্যা করা। ইসরাইল, মিয়ানমার ও ভারতের সেনাবাহিনী এখন পৃথিবীর সবচে’ নিষ্ঠুর ও নির্যাতনবাদী সেনাবাহিনীরূপে কুখ্যাতি অর্জন করেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাত লাখ জোয়ান সর্বোতমুখী নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েও কাশ্মীরী জনগণের স্বাধীনতার স্পৃহাকে দমন করতে পারেনি, বরং দিন দিন তীব্র থেকে তীব্র হয়ে এখন তা চরম বিস্ফোরণের অবস্থায় উপনীত হয়েছে।

এই বিস্ফোরনোন্মুখ অবস্থার কারণে একদিকে যেমন সরকার ও সেনাবাহিনী বিচলিত বোধ করছে, অন্যদিকে ভারতের কিছু রাজনীতিক, যাদের বিবেক এখনো কিছুটা হলেও জাগ্রত রয়েছে তারা পরিস্থিতির গুরুতরতা উপলব্ধি করতে শুরু করেছেন।

এক্ষেত্রে প্রথমেই যার নাম আসে তিনি ভারতের স্বনামধন্য মানবাধিকার নেত্রী শ্রীমতি অরুন্ধতি রায়। বেশ কিছু দিন থেকে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে আসছেন, কাশ্মীর কখনোই ভারতীয় ভূখ-ের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। ভারতের কোন অধিকার নেই কাশ্মীরের জনগণকে এভাবে দমন করার। আপন ভাগ্য নির্ধারণের অধিকার কাশ্মীরের জনগণকে অবশ্যই দিতে হবে। বলাবাহুল্য, শ্রীমতি অরুন্ধতি রায়কে তার এ সত্যভাষণের জন্য যথেষ্ট মাশুল দিতে হয়েছে। হামলা-মামলার মোকাবেলা করতে হয়েছে, এমনকি উগ্রতাবাদী বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে প্রাণনাশের হুমকিও এসেছে। তবে সুখের বিষয়, সকল প্রতিকূলতার মুখেও এই সাহসী নারী তার বক্তব্যে অটল রয়েছেন।

সত্যভাষণের এই সাহসী কাতারে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাইফুদ্দীন সোজ। কাশ্মীর ...হিস্টোরি অব স্ট্রাগল’ নামে তাঁর একটি বই খুব শীঘ্র প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। তাতে তিনি কাশ্মীরবিষয়ে তার মতামত খোলামেলা ভাষায় তুলে ধরেছেন। জুম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকংগ্রসের এক -সময়ের প্রধান সোজ বলেছিলেন, ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই কাশ্মীরের স্বাধীনাকামী জনগণের মনের ভাষা বুঝতে হবে। এজন্য চাপমুক্ত স্বাধীন সংলাপ অনুষ্ঠানের কোন বিকল্প নেই। তিনি আরো বলেছিলেন, আমার হাতে যদি ক্ষমতা থাকতো তাহলে সংলাপের জন্য বুরহান ওয়ার্নিকে আমি জীবিত রাখতাম।

সম্প্রতি তিনি মন্তব্য করেন, কাশ্মীরের জনগণ পাকিস্তানের অংশ হতে চায় না। তারা চায় পূর্ণ স্বাধীনতা।

বলাবাহুল্য, এ বক্তব্যের কারণে তিনি এখন তার বিরোধী পক্ষের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক পেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান পারভেয মুশাররফ একই মন্তব্য করেছিলেন।

 

 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা