কাশ্মীর থেকে বাবরি!
কাশ্মীরে শসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বলা যায়, কাশ্মীরের আশিলাখ মুসলিমানের সঙ্গে পুরো মুসলিমজাহানই বেদনার প্রচ-তায় স্তব্ধ বিমূঢ়। এর মধ্যে আবার একটা আঘাত এলো হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ হতে আদালত ও বিচারপ্রহসনের নামে।
অবশ্য আমরা যা আশঙ্কা করেছিলাম শেষ পর্যন্ত তাই ঘটেছে। যারা অতিশয় আশাবাদী তারা অবশ্য ভেবেছিলেন, আদালত, বিচারক ও প্রধানবিচারপতি অন্তত বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে রায় প্রদান করবেন।
আমরা তা ভাবিনি; যা হয়েছে তাই ভেবেছি। অর্থাৎ অতিআশাবাদীরা প্রতারিত হয়েছেন; আমরা প্রতারিত হইনি, পরাস্ত হয়েছি।
ভারতের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন, অযোধ্যার বাবরি মসজিদের বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে রামমন্দির তৈরী হবে। তবে আদালত ‘উদারতা’ প্রদর্শন করে বলেছেন, বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রায় দ্বিগুণ জায়গা পাঁচ একর ভূমি দেয়া হবে।
কেন দেয়া হবে, যদি মসজিদের অস্তিত্বের কোন বৈধতাই না থাকে! মুসলমানরাই কেন গ্রহণ করবে অন্যায় ভিক্ষা! হায়দারাবাদের প্রখ্যাত মুসলিম নেতা আসাদুদ্দীন ওয়াইসি ঠিকই বলেছেন, ঐটুকু জমি মুসলমানরাই যোগাড় করে নিতে পারে। এখনো মুসলমানদের এত দুরবস্থা হয়নি যে, হিন্দুদের কাছে হাত পাততে হবে মসজিদের জায়গার জন্য।
বিচারের জন্য বিচারকদের যে বেঞ্চ, একজন ছাড়া সবক’জনই হিন্দু, একজন রাখা হয়েছে মুসলিম! প্রশ্ন হতে পারে মাত্র একজন কেন? সমান সংখ্যা নয় কেন? কিন্তু আমরা এ প্রশ্ন উত্থাপন করছি না।
রায়ে বলা হয়েছে, ‘বাবরি মসজিদ কোন ফাঁকা জায়গায় তৈরী হয়নি।...
মুসলমানরা কবে দাবী করেছে যে, মসজিদ ফাঁকা জায়গায় তৈরী হয়েছে। মুসলিমপক্ষ (সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড) তো যথাযথ প্রমাণ দাখিল করেছে, ভূমির মালিকানার। এখন আদালত যদি বলে, মুসলিমপক্ষ প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি তাহলে কী করার আছে! শুধু প্রশ্ন করা যায়, হিন্দুপক্ষ কি প্রমাণ করতে পেরেছে, এটা হলো রামের জন্মভূমি? এখানে মন্দির ছিলো? হিন্দুদেরই বিবেকবান পুরোহিত বলছেন, অন্তত পঞ্চাশটা জায়গা সম্পর্কে হিন্দুদের দাবী হলো, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরই হলো রামের প্রকৃত জন্মভূমি। কিন্তু কারো পক্ষেই কোন প্রমাণ নেই।’
স্বয়ং আদালত স্বীকার করেছেন, ‘পুরাতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে মসজিদের নীচে আরো প্রাচীন একটি কাঠামো ছিলো, তবে তা যে কোন মন্দিরেরই কাঠামো তা প্রমাণিত নয়।...’
তাহলে কিসের ভিত্তিতে রায় হলো? মসজিদ তো কয়েক শবছরের একটি বাস্তবতা ছিলো, যা সরকারের রহস্যজনক নীরবতার সুযোগে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো। মুসলিম আইনজীবীগণ সঙ্গত প্রশ্নই তুলেছেন, যদি মসজিদটি বিদ্যমান থাকতো, যদি স্থানটি খালি করা না হতো তাহলে কি এ রায় দেয়ার সুযোগ ছিলো? বাস্তব অবস্থাকে অস্বীকার করে দুর্বলতম ধারণার ভিত্তিতে, যার পক্ষে কোন প্রমান নেই বলে স্বীকার করা হচ্ছে, এত সংবেদনশীল বিষয়ে রায় কীভাবে দেয়া হলো? প্রশ্ন আছে, জবাব নেই? কাশ্মীর সম্পর্কেও হাজারো প্রশ্ন আছে, গায়ের জোর ছাড়া কোন জবাব নেই।
আদালতের কী চমৎকার যুক্তি, ‘সেই কাঠামোটি যদি হিন্দু স্থাপনাও হয়ে থাকে তাহলেও আজকের দিনে এসে এর ভিত্তিতে ঐ জমিকে হিন্দু জমি বলে ধরে নেয়া যায় না।’
আদলতের এটা অবশ্যই অত্যন্ত ন্যায্য কথা। তারপরের বক্তব্য হলো, ‘তবে ওই স্থানকে যে, হিন্দুরা রামের জন্মস্থান হিসাবে বিশস করেন তা নিয়ে কোন সংশয় নেই।’
‘বিশস করেন’ এটা নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু বিশসের পক্ষে যুক্তি? প্রমাণ? তাহলে কি বিশসই যথেষ্ট বিচারের জন্য?
আদালত নিজেই বলেছেন, ‘যেহেতু বিশসের উপর দাঁড়িয়ে জমির মালিকানা নির্ধারণ করা সম্ভব নয় সেহেতু আইনের মাধ্যমেই জমির মালিকানা ঠিক করতে হবে।...’
বেশ! আইন এখন কী বলে? যেহেতু ‘খালি ও পতিত জমি’ সেহেতু ‘আপাতত’ কেন্দ্রীয় সরকার ঐ জমির মালিকানা পাবে।...’
প্রশ্ন উঠতে পারে, আইনের ভিত্তিতে পাওয়া মালিকানা ‘আপাতত’ হতে যাবে কেন? প্রশ্ন আছে. উত্তর নেই! তাছাড়া জমিটা খালি ছিলো, নাকি খালি করা হয়েছিলো? আর সেই খালি করাটা কি বৈধ ছিলো? একই কথা, প্রশ্ন আছে, উত্তর নেই।
আদালতের আদেশ, ‘কেন্দ্রকে তিন মাসের মধ্যে বোর্ড অব ট্রাস্ট গঠন করে তাদের হাতে বিতর্কিত জমি তুলে দিতে হবে। ট্রাস্টের তত্ত্বাবধানে বিতর্কিত জমিতে মন্দির নির্মাণ করা হবে।...’
অর্থাৎ নতুন পক্ষ সৃষ্টি করা হলো জমির মালিকানা হস্তান্তর করার জন্য! প্রশ্ন হতে পারে, সরকার যদি মালিকানা হস্তান্তর করেই তাহলে তো বাবরি মসলিজদ -কর্তৃপক্ষের কাছেই হস্তান্তর করতে হবে! শত শত বছর ধরে মসজিদটি বিদ্যমান ছিলো এবং শত শত বছর ধরে সেখানে নামায-ইবাদত হয়েছে। হিন্দুরা রাম জন্মভূমি বলে বিশস করেন, তাতে যেমন সন্দেহ নেই, তেমনি মসজিদের বাস্তবতা সম্পর্কেও তো সন্দেহ নেই, আর বিশসের ভিত্তিতে তো ফায়ছালা করা যায় না! প্রশ্ন আছে, উত্তর নেই।
হায়রে আদালত! হায়রে বিচার! হায়রে বিচারক! আদালত নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছে, ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা বেআইনি ছিলো। তবে বিতর্কিত জমির উপরে রামলাল (মামলার একপক্ষ)-এর অধিকার স্বীকার করে নেয়াটা আইন শৃঙ্খলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রশ্নের সঙ্গে সম্পৃক্ত।...
অর্থাৎ মুসলমানদের হাতে যদি আইনশৃঙ্খলাপরিস্থিতি সৃষ্টি করার মত শক্তি থাকতো? রায় তাহলে একটি পক্ষের শক্তিকে বিবেচনায় নিয়ে, যুক্তি ও প্রমাণকে বিবেচনায় নিয়ে নয়? দ্বিতীয় কথা হলো, একটি সম্প্রদায়কে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে আসলেই কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষিত হবে? হয়?
সুপ্রিম কোর্টে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী জাফর জিলানি সংবাদসম্মেলনে বলেছেন, ‘বাবরি মসজিদের জমির মালিকানার পক্ষে সবধরনের প্রমাণ সুপ্রিম কোর্ট স্বীকার করে নিয়েছেন। মসজিদটি অযোধ্যায় ১৫২৮ সালে নির্মিত হওয়ার পর থেকে ১৯৪৯ সালের ২২/২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় চারশ বছর সেখানে নিয়মিত নামায হয়েছে। আদলাত এ সত্য স্বীকারও করেছেন, তারপরো রায়ে তার প্রতিফলন ঘটেনি।
জনাব জিলানী আরো বলেন, ‘আমরা অসন্তুষ্ট; এটা ন্যায় বিচার হতে পারে না। আমরা আইনের শাসন এবং গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি; শুধু একটুকরো জমি, বা একটা মসজিদের জন্যই না। আমরা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। আমরা যদি আত্মসমর্পণ করি, তাহলে দেশের কোন মসজিদই নিরাপদ থাকবে না। কোন সংখ্যালঘুই আর নিরাপদ বোধ করবে না।’
পরিশেষে আমরা শুধু বলতে চাই
ধৈর্যধারণ করা ছাড়া ‘মুসলিম ভারতের’ এখন কোন উপায় নেই। তবে...! *
দ্বি তী য় কা শ্মী র মু নি পু র
পশ্চিম সীমান্তে কাশ্মীর জ¦লছে, সত্তর বছর ধরে, লুণ্ঠিত স্বাধীনতার জন্য, মাটি ও মানুষের মর্যাদা রক্ষার জন্য। কাশ্মীর আজ পৃথিবীর সবচে’ বৃহৎ ও ভয়ঙ্কর সেনাকবলিত অঞ্চল, যেখানে আশিলাখ সংখ্যার নিরস্ত্র জনগোষ্ঠীকে ‘দমন’ করার জন্য প্রায় দশলাখ সশস্ত্র সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি দশজন মানুষের বিপরীতে একজন সৈন্য! এখান থেকেই বোঝা যায়, কাশ্মীরের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ এবং সেটা কী ধরনের ‘আভ্যন্তরীণ’ বিষয়!
পশ্চিম সীমান্তের মত পূর্বসীমান্তও জ¦লছে দ্বীর্ঘ দিন থেকে অর্থাৎ ৪৭-এর দেশভাগের সময়কাল থেকে।
বস্তুত মুনীপুরসমস্যা প্রকৃতিগত দিক থেকে কাশ্মীরসমস্যর মতই। বাংলাদেশ থেকে কিছুটা উত্তর-পূর্বে মাত্র ত্রিশলাখ অধিবাসী নিয়ে ক্ষুদ্র রাজ্য মুনিপুরের অবস্থান। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বহুল আলোচিত সেভেন সিস্টার বা সাতবোন নামে পরিচিত সাতটি রাজ্যের একটি হলো মুনিপুর। আমাদের ঘরলাগোয়া রাজ্য ত্রিপুরা ও মিজোরামের উত্তর-পূর্বে এবং আসামের পাশে এর অবস্থান।
সাতচল্লিশের ভারতভাগের সময় এটি ছিলো স্বাধীন রাজ্য। মুনিপুরের তখনকার শাসক রাজা বোধচন্দ্র সিং ভারত বা পাকিস্তান কারো সঙ্গেই যোগ দেননি। কিন্তু ১৯৩৯ সালে ভারত ছলে বলে কৌশলে মুনিপুরকে ভারতভুক্ত করে নিয়েছিলো। তখন থেকেই মুনিপুরবাসী বিশাল ভারত ও তার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে আসছে। এখানেও হাজার হাজার মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে। সেনাবাহিনী দ্বারা বহু নারী চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যার ‘সামাজিক’ নাম হলো ধর্ষণ। অর্থাৎ কাশ্মীরের মত মুনিপুরেও মাত্রার পার্থক্যসহ চলছে একই ধরনের সামরিক আগ্রাসন ও মানবতা-বিরোধী অপরাধ।
কাশ্মীরী মুজাহিদীন অন্তত পাকিস্তানের নৈতিক সাহায্য পেয়ে আসছে শুরু থেকে, কিন্তু মুনিপুর রাজ্যটিকে লড়াই করতে হচ্ছে সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ অবস্থায়। তারপরো দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে নিরবচ্ছিন্ন দমননিপীড়ন, জ¦লাও পোড়াও, হত্যা-ধর্ষণ চালিয়েও মুনিপুরের স্বাধীনতাকামী মানুষকে দাবিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার জন্য তাদের জানকবুল লড়াই দিন দিন বরং নতুন গতি ও শক্তি লাভ করে চলেছে।
মুনিপুরি রাজ্যের গুরুতর মানবাধিকার পরিস্থিতি সর্বভারতীয় পর্যায়ে এবং বিশপর্যায়ে সবার নযরে আসে একজন সাহসী মুনিপুরি তরুণীর অনশনব্রত পালনের মাধ্যমে, যা ছিলো বিশে^র সবচে’ দীর্ঘ অনশন। তিনি ইরাম শার্মিলা চানু, যাকে যথার্থরূপেই বলা হয় মুনিপুরের লৌহমানবী।
২০০০ সালের পয়লা নভেম্বর। হানাদার ভারতীয় বাহিনী সেদিন রাজধানী ইম্ফলে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়, যাতে কমপক্ষে দশজন নিহত হয়। তাদের মধ্যে একজন ছিলো মানবাধিকার কর্মী ইরম শার্মিলার ভাই ১৮ বছর-বয়সী তরুণ সিনাম চন্দ্রমনি।
রাজপথে ভাইয়ের ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখে তিনি ইস্পাত-দৃঢ় এক প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেন, ‘সেনাবাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে তিনি অনশন করবেন যতদিন না সেনাবাহিনীর ‘দায়মুক্তিমূলক’ বিশেষ ক্ষমতা আইন রহিত করা হয়। এরপরের অবিশস্য ঘটনা হলো, দীর্ঘ ১৬টি বছর শর্মিলা তার অনশন অব্যাহত রেখেছেন। যদিও বিশের দীর্ঘতম অনশন ভারতীয় শাসকদের টলাতে পারেনি তাদের আগ্রাসী অবস্থান থেকে, তবে এর মাধ্যমে শর্মিলা হয়ে ওঠেন মুনিপুরী জনগোষ্ঠীর প্রতিবাদ, সাহসিকতা ও স্বাধীনতাস্পৃহার প্রতীক; আর স্বাধীনতার লড়াই লাভ করে নতুন গতি ও শক্তি।
অনশন শুরুর সম্ভবত একমাসের মাথায় ভারত সরকার শর্মিলাকে অনশনরত অবস্থায় গ্রেফতার করে ‘আত্মাহত্যার চেষ্টা’ এই অপরাধে, কিন্তু শত চেষ্টা করেও প্রতিবাদী এই তরুণীর অনশন ভাঙ্গাতে পারেনি। ফলে জোরপূর্বক কৃত্রিম উপায়ে নাকে নল দিয়ে তরল খাদ্য প্রয়োগ করে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়।
২০১৬ সালে শর্মিলা অনশন ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন এ কথা বলে যে, তার উদ্দেশ্য আংশিক সফল হয়েছে। স্বাধীনতার আন্দোলন নতুন গতি ও শক্তি লাভ করেছে এবং ভারত ও সারা বিশের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এখন থেকে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির মাধ্যমে তিনি তার কাজ চালিয়ে যাবেন।
এদিকে ২০০৪ সালে অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। মুনিপুরে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘জোয়ান’দের হাতে। শুধু তাই নয়, ধর্ষকরা তরুণীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে তার লাশের প্রতি চরম অবমাননা প্রদর্শন করে। এর প্রতিবাদে রাজ্যের নারীরা প্রতিবাদের জন্য এক অবিশস্য পন্থা অবলম্বন করে। রাজ্যের নারীরা সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে রাজপথে বিশমিনিট দাঁড়িয়ে থাকেন। তাদের হাতে প্লাকার্ড ছিলো, ‘যা করার প্রকাশ্যেই করো। বিশ দেখুক তোমাদের বীভৎস চেহারা।’
বলাই বাহুল্য, পরিস্থিতি কতটা গুরুতর হলে এবং কতটা অসহায় বোধ করলে নারীরা এধরনের প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়!
***
সম্প্রতি মুনিপুর রাজ্য আবার সারা বিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, আর ভারতের তো রীতিমত গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। ঘটনা হলো গত ২৯শে অক্টোবর মনিপুরের স্বাধীনতাকামীরা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে লন্ডনে প্রবাসী সরকার গঠন করেছেন।
ভারতের গণমাধ্যম অবশ্য যথা-রীতি সমস্যার গভীরে না গিয়েই ভারতবিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ আবিষ্কার করেছে। ভারতীয় রাজনীতি ও গণমাধ্যমের এটা হলো চিরাচরিত নীতি। যে কোন রাজ্যের স্বাধীনতাসংগ্রাম হলো সন্ত্রাস ও নাশকতা, আর সেটা সম্পূর্ণরূপে তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়, যা দমন করার পূর্ণ অধিকার তাদের রয়েছে। দ্বিতীয় হলো, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং বিদেশী ইন্ধন।
এ ক্ষেত্রে ভারতের আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছিলো মুম্বাই হামলার মাধ্যমে, পরবর্তীতে যা ভারতীয় কর্মকর্তার স্বীকারোক্তি থেকেই প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি ছিলো তাদেরই সাজানো নাটক। পাকিস্তানের কোন সংযোগ ছিলো না এর পিছনে।
পরিশেষে যে কথাটি আমরা বলতে চাই তা এই যে, সম্ভবত ভারতের এবং মুসলিম জাহানের অন্তর্দর্শী ব্যক্তিগণ যা বলেছেন তা-ই সত্য হতে চলেছে! ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে তারা বলেছেন, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রহিত করে কাশ্মীরকে তার সাংবিধানিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে আসলে ভারত নিজের পায়েই নিজে কুড়াল মেরেছে। এই একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে ভারত অনেকগুলো ঘটনার মুখোমুখি হবে। অর্থাৎ কাশ্মীর তো আজ বা কাল স্বাধীন হবেই, তবে এখান থেকেই শুরু হবে ভারতের টুকরো টুকরো হওয়ার অনিবার্য অধ্যায়।
দুঃখ শুধু এই যে, যা হতে পারতো শান্তিপূর্ণ উপায়ে সম্পদ ও মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে, তাই অর্জন করতে হবে একসাগর রক্তের বিনিময়ে।
তবে ইতিহাস নিজের গতিতেই এগিয়ে যায়। ইতিহাসের গতি কেউ....*
মোদি কাশ্মীরে, আর
ইমরান পাকিস্তানে কী চান?
অধিকৃত কাশ্মীরের বর্তমান শসরুদ্ধকর পরিস্থিতি কারোই অজানা নয়। দীর্ঘ সত্তর বছরে, বরং তারো আগে থেকে কাশ্মীরে বহু রক্ত ঝরেছে, বহু প্রাণের হানি ঘটেছে। এক পরিসংখ্যানমতে এপর্যন্ত একলাখেরও বেশী মুসলিম শহীদ হয়েছেন। কাশ্মীরী মুসলমানদের একমাত্র দাবী, আযাদী! আর এটা যে, শুধু মুখের দাবীতে আসবে না, কাশ্মীরী মুজাহিদীনের তা জানা আছে। তবে এজন্য যত রক্ত প্রয়োজন, জান-মালের যত কোরবানি প্রয়োজন তা দিতে তারা হাসিমুখে তৈয়ার আছে।
প্রশ্ন হলো, ভবিষ্যতের গর্ভে কাশ্মীরের জন্য কী নিহিত রয়েছে? মোদির পরিকল্পনা কী? যেভাবেই হোক, নির্বাচনের নাম করে ইমরান খান এখন পাকিস্তানের ক্ষমতায়। যেমনই হোক তার অতীত, এখন এই নাযুক সময়কালে তিনি কাশ্মীর সমস্যার একটি পক্ষের প্রতিনিধি। তার প্রতিটি বক্তব্য ও পদক্ষেপ এখন অত্যন্ত নাযুক ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের মনে হয়, তিক্ত হলেও বাস্তব সত্য এই যে, কাশ্মীরীরা কী চায়, এখন তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, ভারত কী চায় এবং পাকিস্তান কী চায়? অন্যভাবে বলা যায়, মোদি কী চান এবং ইমরান কী চান?
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরে মুসলমানদের উচ্ছেদ করে সেখানে হিন্দুবসতি স্থাপন করতে চাচ্ছেন।...
এটা অবশ্য নতুন কোন উদ্ঘাটন নয়। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কাশ্মীরে বাইরের কারো ভূমিক্রয় বা চাকুরি করার সুযোগ ছিলো না। ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখার একমাত্র রক্ষাকবচ ছিলো সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ। তো এটা বাতিল করার বড় উদ্দেশ্য যে, জনসংখ্যার বিন্যাসে পরিবর্তন আনা তা বোঝার জন্য বড় কোন খেলোয়াড় হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এখন প্রশ্ন হলো, মোদিকে তার এ ঘৃণ্য খেলা থেকে বিরত রাখার জন্য ইমরান কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, বা করতে পারেন?
কাশ্মীরপরিস্থিতির পর এই প্রথম কোন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে দেয়া ঐ একই সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেছেন, ভারতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে আর কোন লাভ নেই। সবধরনের আলোচনাই আমরা শেষ করেছি। দুর্ভাগ্যবশত তাতে কোন কাজ হয়নি। সুতরাং আর কোন আলোচনা নয় ...
হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে আলোচনায় কোন লাভ নেই। এটা বোঝার জন্যও আমাদের মতে এত সময় ক্ষেপণের প্রয়োজন ছিলো না।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে ইমরান বলেছেন, এ ইস্যুতে আমাদের আর করার কিছু নেই।
ইমরানের এ মন্তব্য আমাদের সত্যি সত্যি চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে? আসলেই কি পাকিস্তানের, অর্থাৎ ইমরান খানের কাশ্মীর ইস্যুতে আর কিছুই করা নেই? জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের পঞ্চাশ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণটি তাহলে কী জন্য?
মুসলিম বিশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঐ ভাষণে তো তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত কাশ্মীরীদের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
কাশ্মীরের মুসলমান এখন বড় আশা ও আকুতি নিয়ে তাকিয়ে আছে পাকিস্তানের মুসলিম ভাইদের প্রতি! পাকিস্তানের বর্তমান কর্ণধার ইমরান খানের প্রতি! আমরা আশা করবো, ইমরান শুধু কথার গাজী নন, কাজেরও গাজী। তাকে মনে রাখতে হবে, পাকিস্তানের জনক বলেছেন, ‘কাশ্মীর হলো পাকিস্তানের শাহরগ।’
শাহরগ তো পাকিস্তানের, কিন্তু রক্ত ঝরছে কাশ্মীরের নিরস্ত্র অসহায় মুসলমানদের। ইমরান! মুসলিম জাহান দেখতে চায়, আসলেই আপনি কী চান?! আল্লাহ্ কাশ্মীরের মুযলূম মুসলিমানের সহায় হোন, আমীন। *
কাশ্মীরে
আগুন জ্বলছে কাশ্মীরে
ফুল ফোটবে!
কাশ্মীর এমন এক কাঁটা যা ভারতের গলায় বিঁধে থাকবে, কিন্তু গিলতে পারবে না। হুররিয়্যাত নেতৃবৃন্দ
ভারতের হায়দারাবাদের প্রতিবাদী মুসলিম কণ্ঠস্বর আসাদুদ্দীন ওয়াইসি বলেছেন, ভারত সরকারের সর্বশেষ পদক্ষেপ থেকে প্রমাণিত হয়েছে, ভারত সরকার কাশ্মীরের ভূমি ও সম্পদের প্রতি যতটা আগ্রহী, কাশ্মীরের জনগণের প্রতি ততটা আগ্রহী নয়। তাই কাশ্মীরের জনগণকে নির্মূল করে তারা কাশ্মীরের ভূমি ও সম্পদের উপর নিজেদের দখল কায়েম করতে চায়। কিন্তু তাদের এ স্বপ্ন কখনো বাস্তব হবে না।
ভারতের সাধারণ জনতা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাশ্মীর এবং কাশ্মীরের সংগ্রামরত জনতার ভবিষ্যত পরিণতির কথা ভেবে তাদের গভীর উৎকণ্ঠার কথা প্রকাশ করে চলেছেন। তাদের মতে, এতে কাশ্মীরের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে, তবে কাশ্মীরীদের ইচ্ছা ও আকাক্ষা দমন করা সম্ভব হবে না, যেমন সম্ভব হয়নি বৃটিশের পক্ষে ভারতীয় জনগণের স্বাধীনতার স্পৃহা দমন করা।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, কাশ্মীরসমস্যা নিয়ে ভারত শুধু পাকিস্তানের সঙ্গেই কথা বলবে, অন্যকারো সঙ্গে নয়।
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান বহু যুগ ধরে এ সমস্যাটি নিয়ে জর্জরিত। নরেন্দ্র মোদি আমাকে মধ্যস্থতা করতে বলেছেন। উভয় দেশ যদি চায় তাহলে আমি সাহায্য করতে প্রস্তুত।
কাশ্মীরসঙ্কটে মধ্যস্থতা করতে চান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প!
আবারও কাশ্মীরসঙ্কটে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ বিষয়ে তিনি উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। পরে তিনি বলেন, কাশ্মীরসমস্যা খুবই জটিল স্থানে পৌঁছেছে। উপত্যকাও ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। কাশ্মীরপরিস্থিতি শান্ত করার জন্য কিছু করতে পারলে আমি খুব খুশী হবো।
পাকিস্তান ও ভারতকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারা দু’টি দেশ এত বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারছেন না। এ অবস্থা শেষ হওয়া জরুরি...
০০ আশ্চর্য, ইমরানও চান ট্রাম্পের মধ্যস্ততা! জেরুজালেমের ট্রাজেডি কি খুব বেশী দূরে! ট্রাম্প যে বলেছেন, ধর্মই ওখানে মূল সমস্যা, ইমরান কি এর মর্মার্থ বুঝতে পারছেন? তাহলে কি মাওলানা ফযলুর-রহমান...!
কাশ্মীর, কে আসল দায়ী?
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা
ভারত উপমহাদেশ থেকে চলে যাওয়ার সময় বৃটেন যে শয়তানি কাজ করে গিয়েছে তারই ফল হলো বর্তমানের কাশ্মীর পরিস্থিতি।
অধিকৃত কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করতে গিয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ্ আলী খামেনি এ মন্তব্য করেছেন।
খামেনি বলেন, ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা, কাশ্মীরের সহজ সরল জনগণের বিষয়ে তারা ন্যায়ভিত্তিক নীতি গ্রহণ করবে এবং দমননীতি পরিহার করবে।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, কাশ্মীরপশ্নে আমরা পাকিস্তানের পাশে রয়েছি। কারণ পাকিস্তানের অবস্থান ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত।
মাটি ও সম্পদ চাই, মানুষ না
কাশ্মীর এখন অগ্নিগভ। দুর্যোগ যখন খঞ্জরের মত আমূল বিদ্ধ হয়ে আছে আশি লাখ কাশ্মীরী মুসলিমের বুকের পাঁজরে, সেই সঙ্গে বিশের শতকোটি মুসলিমও দগ্ধ হচ্ছে অসীম যন্ত্রণায়, ঠিক তখন গোটা হিন্দু ভারত আবার যেন মেতে উঠেছে নতুন উল্লাসে। গণতান্ত্রিক ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত তার উল্লাস চাপা রাখতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন বার্তা প্রেরণ করেছেন, তথাকথিত বাবরী মসজিদ সম্পর্কে প্রদত্ত রায়ের জন্য।
জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা সম্প্রতি ভারতের বিজেপি সরকার বাতিল করেছে। এই সাংবিধানিক মর্যাদা জম্মু ও কাশ্মীর লাভ করেছিলো সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ এবং ধারা ৩৫এ এর সুবাদে। এতদিন কোন অকাশ্মীরী কাশ্মীরে ভূমি ক্রয় ও স্থায়ী বসবাসের অধিকারী ছিলো না। এমনকি কোন অকাশ্মীরীর জন্য ওখানে চাকুরি করারও বৈধতা ছিলো না। এখন এই ধারা ও উপধারা বাতিল হওয়ার ফলে ভারতের যে কোন অঞ্চলের যে কোন নাগরিক জম্মু-কাশ্মীরে ভূমি খরিদ করতে পারবে।
এ দিকে ইঙ্গিত করেই ভারতের বহুল আলোচিত মুসলিম নেতা আসাদুদ্দীন ওয়াইসি বলেছেন, ভারতের সরকার কাশ্মীরের মানুষকে ভালোবাসে না, শুধু কাশ্মীরের ভূমি ভালোবাসে। ওয়াইসি আরো বলেন, আমাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিশাস একদিন আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হবে। কারণ দেশে এখনো গডসের সন্তান জীবিত রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখন গুরুতর। মানুষ ঘরে যেতে পারে না, আবার ঘর থেকে বের হতে পারে না। এ স্বাধীনতা কাশ্মীরের জনগণের নেই। এ অবস্থার অবসান হতে হবে।
ওয়াইসি আরো বলেন, এ সরকার ক্ষমতা ভালোবাসে, ন্যায়বিচার না। সরকার শুধু ক্ষমতায় থাকতে চায়, কিন্তু আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই; কেউ পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকে না এবং চিরকাল ক্ষমতায় থাকে না।
সম্প্রতি বাবরী মসজিদ সম্পর্কে রায় জারি হওয়ার পর আসাদুদ্দীন ওয়াইসী তীব্র ভাষায় এর সমালোচনা করেছিলেন। তিনি চরম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। আমাদের কিছু জমি দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারের কাছ থেকে জমি নেয়ার কোন ইচ্ছে আমাদের নেই। আমাদের জমি প্রয়োজনে আমরাই সংগ্রহ করতে পারবো। আমরা আদালতে গিয়েছিলাম, ন্যায় ও ইনছাফের আশায়, যা আমরা পাইনি।
উল্লেখ্য, আদালত বাবরি মসজিদের স্থানের পরিবর্তে বিকল্প ভূমি দেয়ার কথা বলেছে।
রাহুল গান্ধীর বক্তব্য
কাশ্মীরপ্রশ্নে ভারতের সর্বশেষ পদক্ষেপে শুধু ভারতের বাইরে তা নয়, ভিতরেও তীব্র নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, প্রশাসনিক ক্ষমতার এই অপব্যবহারে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তায় গভীরভাবে প্রভাব পড়বে। জুম্মু-কাশ্মীরকে দু’ভাগ করে ভারতের সংহতি বাড়ানো হয়নি, খর্ব করা হয়েছে। কারণ ভারত কয়েকখ- জমি নিয়ে গঠিত নয়, বরং বিশাল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ জনগোষ্ঠী ভারত গড়েছে। কোন জনগোষ্ঠীর বৈধ অধিকার হরণ করে ভারতের ভবিষ্যত কিছুতেই সুরক্ষিত হতে পারে না।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসনেতা রাহুল গান্ধী কাশ্মীরপরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য কাশ্মীর সফর করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে কাশ্মীরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। বিমান থেকে তিনি নেমেছিলেন, কিন্তু বিমান বন্দর থেকেই তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। *