আরব নেতৃত্ব ও আরবজনগোষ্ঠীর এক বিরাট অংশ ইসলামের সঙ্গে কার্যত সম্পর্ক ছিন্ন করার মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের প্রতি অবিচার করেছে। তাদের শক্তির যেটা উৎস, রাসূলে আরাবী মুহম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশ্বজনীন নেতৃত্ব, তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে তারা আরব-জাতীয়তাবাদের ধ্বজাধারীদের নেতৃত্ব বরণ করে নিয়েছে। ইহুদিদের সঙ্গে আরবদের লড়াই ছিলো অস্ত্রের বিরুদ্ধে অস্ত্রের লড়াই। আর অস্ত্রের শক্তিতে ইহুদিরা অনেক এগিয়ে। কেননা তাদের অস্ত্রের যোগানদার হলো যামানার ‘তাগুত’ আমেরিকা।
মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরাইল তো এখন পারমাণবিক শক্তির অধিকারী। প্রচলিত অস্ত্রেও আরবরা বহু দূর পিছিয়ে। সুতরাং পরিণাম যা হওয়ার তাই হয়েছে। ১৯৪৮ পর্যন্ত তারা যে ভূমি দখল করেছিলো তার জন্য তাদেরকে ভয়াবহ রকমের ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে এবং কয়েক দশক সময় লেগেছে। কারণ তখনকার আরব ছিলো মুজাহিদীন। তাদের সম্পর্ক ছিলো ইসলামের সঙ্গে। তাদের জিহাদ ছিলো আসমানের গায়বি মদদের সাহায্যে।
পক্ষান্তরে ধীরে ধীরে ইসলামের পরিবর্তে আওয়ায উঠলো আরব জাতীয়তাবাদের এবং ধর্মনিরপেক্ষতার। ফল কী দাঁড়ালো? ১৯৬৭ সালে মাত্র ছয়দিনের যুদ্ধে আরবা হারালো বিশাল ভূমি। তার চেয়ে বড় কথা, তাদের হাতছাড়া হলো বাইতুল মাকদিসের প্রাচীন অংশ, যেখানে আছে মসজিদুল আকছা।
এই আরবজাতীয়তাবাদই হচ্ছে আরবের বড় শত্রু। ইসরাইল তো শুধু উপলক্ষ। আরবজাতীয়তা-বাদই আরবদের আত্মিক শক্তিকে খতম করে দিয়েছে।