আরাকান সংখ্যা (৩/১)

কাশগর ও কায়রো

নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ উপহাস!!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট


নিরাপত্তা পরিষদ মুসলিম বিশ্বকে বোধহয় তামাশার পাত্রই মনে করে। নইলে এমন কেন হবে যে, আরাকানের মুসলিম জনপদে আগুন জ্বলতেই থাকবে, আর ওখানে শুধু ‘বৈঠক ও কাগজ তৈরী’ চলতেই থাকবে? বারবার চেষ্টা করেও সামান্য নিন্দাপ্রস্তাব পাশ করা যাবে না; কাটা পড়ে যাবে ভেটো নামের ‘গিলোটিনে’! কোন যুক্তিতে শুধু পাঁচটি দেশ  অনন্তকাল ভোগ করবে ভেটো ক্ষমতা। তাছাড়া এ ক্ষমতা কি অবাধ ও নিঃশর্ত?! জাতিসঙ্ঘের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষপূর্ণ বিষয়েও কি ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকার আছে কোন দেশের?! তাহলে আর নিরাপত্তা পরিষদের প্রয়োজনই বা কী। পাঁচটা ‘রাজধানী’তে বসেই তো হতে পারে সবকিছু! তাছাড়া জাতিসঙ্ঘ নামের বিশাল শ্বেতহস্তিটিকে পালতে যাওয়ারই বা সার্থকতা কী? মুসলিমবিশ্বের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ তামাশা হলোÑগত ৬ই নভেম্বর রোয সোমবার নিরাপত্তা পরিষদ একটি সর্বসম্মত বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর বলপ্রয়োগ বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং সম্প্রতি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ছয়লাখের বেশী রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।লক্ষ্য করুণ, জাতিসঙ্ঘ নিজে যেখানে বলছে, রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচে’ নিষ্পেষিত জনগোষ্ঠী, যেখানে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে শতাব্দীর নৃশংসতম গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ সেখানে বিবৃতিতে ব্যবহৃত সর্বসম্মত শব্দ হলো ‘বলপ্রয়োগ’! এটাকে যদি তামাশা না বলি তাহলে তো একেবারে চুপ থাকতে হয়!বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে এবং বিশ্বগণমাধ্যমের কোন সাংবাদিককে রাখাইনের উপদ্রুত এলাকায় অবাধে যাওয়ার অনুমতি এখনো দেয়া হয়নি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে, জাতিসঙ্ঘের তদন্ত -কাজে মিয়ানমার সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দান করবে।সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, এমন একটি নিরীহ বিবৃতি সম্পর্কেও মিয়ানমার সরকার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, এধরনের চাপপ্রয়োগ দ্বারা রাখাইনে কোন সমাধান আসবে না। কারণ ২৪শে আগস্ট সেনাছাউনীতে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার কারণেই সমস্যার শুরু হয়। সুতরাং সেটা সামনে রেখেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। 

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা