একটি পাখী ছিলো। বাগানে একটি গাছের ডালে তার বাসা ছিলো। সেই বাগানে আরো অনেক পাখী ছিলো। পাখীরা ভোরে কিচিরমিচির করে বাসা থেক বের হতো, আর ডানা মেলে উড়ে যেতো। কোথায় যেতো জানি না। পাখীরা ভোরে নীড় ছেড়ে কোথায় যায় কেউ জানে না।
যেখানেই যাক, সন্ধ্যায় সব পাখী আবার তাদের বাসায় ফিরে আসতো। পাখীদের কিচিরমিচিরে বাগান আবার মুখরিত হতো। এই পাখীটি ছিলো অন্য রকম। সে দূরে কোথাও যেতো না। বাগানেই একটু ওড়াউড়ি করতো। তারপর বাসায় ফিরে এসে চুপচাপ বসে থাকতো। সব পাখী কিচিরমিচির করতো; এই পাখীটি কিচিরমিচির করতো না, বাসার ভিতরে চুপচাপ বসে থাকতো।
পাখীটিকে দেখে আমার খুব মায়া হতো, আর মনে হতো, পাখীটির মনে অনেক কষ্ট। তাই সে কিচিরমিচির করে না, ওড়াউড়ি করে না। চুপচাপ বসে থাকে।
তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। একদিন দেখি, পাখীটি বাসার নীচে পড়ে আছে, মারা গেছে। তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। পাখীটার জন্য অনেক কেঁদেছিলাম।
এখন আমি বড় হয়েছি। আমাদের বাগানে এখনো অনেক পাখী থাকে। ভোরে সন্ধ্যায় পাখীরা কিচিরমিচির করে; আমার খুব ভালো লাগে, আর ছোট্ট বেলার সেই নাম না জানা পাখীটির কথা মনে পড়ে।