সম্প্রতি পাকিস্তানে এক মার্কিন দূতাবাস-কর্মকর্তাকে জোড়াহত্যার দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে; তবে তিনি দাবী করেছেন যে, রাস্তায় দু’জন মোটরসাইকেল আরোহী তার দিকে অগ্রসর হলে তিনি তাদের সন্ত্রাশী ও ছিনতাইকারী সন্দেহ করেন এবং আত্মরক্ষার উদ্দেশ্যে গুলি ছোঁড়েন।
সর্বশেষ খবরে প্রকাশ, পাকিস্তানী আদালত প্রথমে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে অর্পণের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো। তবে শেষপর্যন্ত পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ঐ কর্মকর্তাকে ছেড়ে রাজী হয়েছে। কারণ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূতকে রীতিমত ধমকের সুরে বলে দিয়েছে, অভিযুক্ত ছেড়ে না দিলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।
স্বাধীন সার্বভৌম কোন দেশের জন্য, এর চেয়ে লজ্জার বিষয় আর কী হতে পারে যে, বিদেশী চাপের মুখে নতি স্বীকার করে সে দেশের আদালতকে পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়! আর সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাই বা এর কী জবাব দেবে যে, অন্যদেশের নাগরিককে তো সে নিছক সন্দেহ বশে যে কোন দেশ থেকে ধরে নিয়ে যায় এবং বিচারের নামে প্রহসন চালাতে দ্বিধাবোধ করে না, অথচ তার দেশের নাগরিক সুনির্দিষ্ট অপরাধ করার পরও তার বিচার করার অধিকার কোন দেশকে দিতে রাজী নয়? এ দ্বীমুখী নীতি ও অবস্থানের কী ব্যাখ্যা আছে আমেরিকার কাছে?
ইরান অবশ্য তার স্বাধীন সত্তা ও আত্মমর্যাদার পরিচয় দিয়েছে। খবরে প্রকাশ, মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করে ইরান গুপ্তচরবৃক্তির অভিযোগে তিন মার্কিনীর বিচার শুরু করেছে। এবং ঘোষণা করেছে যে, আদালতের যে কোন রায় কার্যকর করার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর।