ওমা, আমি দেখি উড়তে পেরেছি! আমি দেখি উড়তে শুরু করেছি! উড়তে এত ভালো লাগে! নীচে তাকিয়ে দেখি, বাড়ীগুলো কত ছোট! যেন আমাদের খেলার ঘর! বিরাট বন এবং বনের বড় বড় গাছ যেন বোঝাই যায় না, শুধু ছায়ার মত মনে হয়। নদীগুলো যেন পড়ে আছে সাদা শাড়ীর মত! পাহাড়কে এত ছোট দেখা যায়! আমাদের পৃথিবীটা তো ভারি সুন্দর!
উড়তে উড়তে আমি মেঘের রাজ্যে পৌঁছে গেলাম। মেঘের রাজ্য কত সুন্দর! চারদিকে শুধু মেঘ আর মেঘ! আমি উড়ে যাচ্ছি, মেঘেরাও ভেসে বেড়াচ্ছে। পৃথিবী থেকে কত দেখেছি, মেঘেরা ভেসে ভেসে কোন্ সুদূরে যায়! আমার জানতে ইচ্ছা করতো, কোত্থেকে আসে মেঘেরা?! কোথায় যায় মেঘেরা?! কেন যায়?!
দূর থেকে দেখা মেঘের রাজ্য কাছে থেকে দেখতে এত সুন্দর!
মেঘেরা আমাকে পেয়ে খুব খুশী হলো। খুশী হবেই তো। এত দিন তো ওরা দূর থেকে দেখেছে। এত কাছে থেকে তো কোন মানবশিশুকে দেখেনি। একটি মেঘশিশু আমাকে জড়িয়ে ধরে আদর করলো, আর জিজ্ঞাসা করলো, মানবশিশু! ও মানবশিশু! কোথা যাও ওড়ে ডানা মেলে?!
মেঘশিশুর শরীর কী নরম তুলতুলে, যেন তুলোর শরীর!
আমি বললাম, মেঘশিশু! মেঘশিশু! তোমাদের রাজ্য পার হয়ে আমি যাবো চাঁদমামার দেশে!
মেঘশিশু বললো, মানবশিশু! মানবশিশু! তুমি কত ভালো! আমরা একসঙ্গে থাকলে কত মজা হতো!
মেঘশিশু হঠাৎ কেমন মনমরা হয়ে গেলো। যেন কেঁদে ফেলবে, মেঘেরা কাঁদলেই তো বৃষ্টি হয়। আমি বললাম, কী হয়েছে মেঘশিশু! তোমার মনটা খারাপ হলো কেন? কিসের দুঃখ তোমার?
মেঘশিশু খুব দুঃখিত স্বরে বললো, মানবশিশু! তুমি যখন চাঁদমামার দেশ থেকে ফিরে আসবে তখন তো তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে না! আমি তো ভেসে ভেসে চলে যাবো অনেক দূরের দেশে! ( আরো আছে)