শাবান ১৪৩১হিঃ (১৭)

কচি ও কাঁচা

চাঁদকে ভালোবাসি

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট
তো শোনো চাঁদমামার গল্প। না, এভাবে বসলে হবে না। চাঁদমামার গল্প শুনতে হলে গায়ে গা লাগিয়ে, আর গোল হয়ে বসতে হয়। ছেলেরা একপাশে, আর মেয়েরা একপাশে। নইলে চাঁদমামা রাগ করে। বলেকি, তোমরা আমাকে মামা বলে ডেকো না। আমি তোমাদের মামা নই, চাচা নই, কিচ্ছু নই। আমি তোমাদের কেউ নই। তোমরা আমার গল্প বলতে পারবে না। যদি আমার গল্প করো, এমন ডুব দেবো যে, আর কখনো ওঠবো না। সামনের মাসেও না, পরের মাসেও না, তারপরের মাসেও না। কোন মাসেই না। তখন কেমন মজা হবে! জোছনারাতে গোল্লাছুট খেলার কী হবে! হাঁ, ঠিক হয়ে বসেছো! এবার আর চাঁদমামা রাগ করবে না। আচ্ছা শোনো এবার গল্পটা। আমার তো ডানা হয়েছে, কিন' উড়তে পারি না। তো চাঁদমামা সেই দূর আকাশ থেকে আমাকে ডাক দিয়ে বলে কী! ছোট্ট পাখীর ছানা উড়তে পারে, আর তুমি মানবশিশু হয়ে উড়তে পারো না! তুমি তো বোকা ছেলে। আচ্ছা শোনো আমি ওড়ার বুদ্ধিটা শিখিয়ে দিচ্ছি। আগে বিসমিল্লাহ বলো। যে কোন কাজ করবে, বিসমিল্লাহ বলে শুরু করবে, তাহলে কাজটা সহজ হবে এবং সুন্দর হবে। কেন, তোমাদের নবীজী যে বিসমিল্লাহর কথা বলেছেন শোনোনি? যাক, বিসমিল্লাহ বলেছো তো! এবার ডান দিকের ডানাটা সোজা করে মেলে ধরো, তারপর বাম দিকেরটা। আমি বললাম, চাঁদমামা! আগে ডানদিকের ডানাটা কেন, আগে বামদিকেরটা নয় কেন! চাঁদমামা অবাক হয়ে বললেন, তুমি দেখি কিচ্ছু জানো না। কেন মক্তবে পড়ো না! যে কোন কাজ ডান দিক থেকে করা সুন্নত, জানো না! আমি লজ্জা পেয়ে বললাম, জানতাম তো! কিন' কী জানো, আমি না সবকথা ভুলে যাই। আচ্ছা! এই দেখো, আগে ডানদিকের ডানাটা মেলেছি, তারপর বামদিকের ডানা। এবার কী করবো বলো! চাঁদমামা বললেন, ঠিক আছে; এবার ডানাদু'টো আসে- আসে- উপরে নীচে দোলাতে থাকো। চাঁদমামার কথামত ডানাদু'টো আসে- আসে- দোলাতে লাগলাম। ওমা, কী অবাক কাণ্ড! আমি দেখি উড়তে শুরু...
শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা