জুমাদাল আখেরা ১৪৩১হিঃ (১৬)

কচি ও কাঁচা

ছোট বন্ধুরা!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আমার সালাম নিয়ো। তোমরা ছোট হলেও একেবারে শিশুটি নও। আমি শিশু বলি কাদেরকে শোনো। যাদের এখনো লেখা-পড়ার বয়স হয়নি, বা যারা এই মাত্র আলিফ বা পড়তে শুরু করেছে, কিন' সুন্দর সুন্দর কথা বলে, প্রতিটি কথা থেকে বুদ্ধির আলো ঝরে পড়ে। হাসিতে, কান্নায়, মানে, অভিমানে, আবার সুন্দর আচরণে মা-বাবাকে এবং সবাইকে মুগ্ধ করে, সবার আদর কাড়ে, দু‘আ কুড়ায় তারা হলো শিশু। কখনো আদর করে বলি ফুলশিশু, আরো আদর করে বলি জান্নাতি শিশু! এখন আমার চারপাশে এই রকম কিছু ফুলশিশু এবং জান্নাতি শিশু আছে। এই শিশুদের আমি বড় ভালোবাসি। বাসবো না কেন, এরা যে আমাকে আমার হারানো শৈশব মনে করিয়ে দেয়! আমার শৈশব তো আমার মনে নেই, কারোই মনে থাকে না। নিজেদের শৈশব আমরা নিজেরা দেখি না, আমাদের শৈশব দেখেছে অন্যরা। এখন আমরা দেখছি অন্যদের শৈশব, যারা একদিন বড় হবে, তখন তারা দেখবে জান্নাতের বাগান থেকে ঝরে পড়া নতুন ফুলশিশুদের শৈশব। তো এখন যারা শিশু তাদের আমি বড় ভালোবাসি, তারা কীভাবে হাসে, কাঁদে, কী বলে, কীভাবে বলে, কী করে এবং কীভাবে করে তা অবাক হয়ে দেখি, আর ভাবি, আমিও তো একদিন ঠিক এরকম একটি শিশু ছিলাম। হয়ত আমারও হাসি-কান্না এমন ছিলো, আমার কথা শুনে হয়ত সবাই হেসে উঠতো, আমার বুদ্ধি দেখে অবাক হতো! আমিও হয়ত এভাবে সবার আদর কেড়েছি, দু‘আ কুড়িয়েছি! হায়, কোন্‌ সুদূরে হারিয়ে গেছে আমার সেই নিষ্পাপ শৈশব! এই শিশুদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, ফুলের মত এই শিশুরা আমাকে নিয়ে যায় আমার হারিয়ে যাওয়া শৈশবের কাছে। এই শিশুদের মুখের আয়নায় আমি দেখতে পাই সেই শিশুটির মুখের ছবি, যার মুখে এখন সাদা-কালো দাড়ি! আমার নাতি তো বিশ্বাসই করতে চায় না, এই বুড়ো মানুষটা একসময় ঠিক তার মত ছোট্ট শিশুটি ছিলো! বলে কী, যা! তাই বুঝি হয়! তোমরা হলে আমার পুষ্প-উদ্যানের ছোট ছোট ফুল, আমার পুষ্প বন্ধু। তোমাদের কাছে আমার দোষের কথা বলতে আবার লজ্জা কিসের! তো আমার একটা বড় দোষ হলো, এক কথা বলতে বসি, অন্য কথা বলতে শুরু করি, আর শেষ করি আরেক কথা দিয়ে। তো যে কথাটা বলতে বসেছিলাম তা আর বলা হলো না। দেখি, আগামীবার যদি মনে থাকে, বা তোমরা মনে করিয়ে দাও তাহলে বলতে চেষ্টা করবো একটি ফুলশিশুর কথা, যার জন্য আজ এত কথা বলা!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা