পরিসি'তির গতি-প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, শেষ পর্যন- আমেরিকা তার উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। পেন্টাগন মার্কিন কংগ্রেসে পেশকৃত তার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তালেবানবিরোধী অভিযান জোরদার করার জন্য পাকিস-ান ভারত সীমান- থেকে তার এক লাখ সৈন্য সরিয়ে নিয়েছে। পেন্টাগনের মতে এই বিপুলসংখ্যক সৈন্য সরিয়ে নেয়ার অর্থ হলো, ইসলামাবাদ বুঝতে পেরেছে যে, তার আসল শত্রু ভারত নয়, উত্তর-পশ্চিম সীমান-প্রদেশের উপজাতীয় এলাকার জঙ্গিবাদী ও তালেবানরাই হচ্ছে তার আসল শত্রু। আমেরিকা পাকিস-ানকে নরমে গরমে দীর্ঘ দিন থেকে একথাটাই বুঝিয়ে আসছিলো। শেষ পর্যন- সে পাকিস-ানের সেনাবাহিনীকে তারই দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামাতে পেরেছে। আফগানিস-ানের যুদ্ধকে পাকিস-ানের ভিতরে ঠেলে দেয়ার এটাও ছিলো একটা উদ্দেশ্য। পাকিস-ান এখন রীতিমত গৃহযুদ্ধ-বিধ্বস- একটি দেশ এবং দেশটিকে দ্বিতীয়বার টুকরো করার জন্য ভারতের সামনে আবার উপসি'ত ইন্দিরা গান্ধিকথিত ‘শতাব্দীর সুযোগ’। পাকিস-ানের বড় দুর্ভাগ্য যে, এখন যারা ক্ষমতার মসনদে তাদের না আছে ঈমানি শক্তি, না আছে দেশপ্রেম। আগে যিনি দেশ টুকরো করে ক্ষমতায় এসেছিলেন এখন তারই দল দেশ টুকরো করার বিনিময়ে হলেও ক্ষমতায় চিরস'ায়ী হতে চান। তাই তো ভারতসীমান- থেকে এত বিপুল সৈন্য সরিয়ে আনার খবর পাকিস-ান থেকে প্রচারিত হয় না, হয় পেন্টাগনের গোপন প্রতিবেদন থেকে এবং ঠিক ঐ সময় যখন পাকিস-ানি প্রধানমন্ত্রী গিলানী সাহেব ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর সঙ্গে অন-রঙ্গ সময় যাপন করছেন। পাকিস-ানের ক্ষমতাশীনেরা হয়ত চেয়েছিলো এত বড় খবরটা তার দেশের জনগণের কাছে গোপন রাখতে, কিন' আমেরিকার উদ্দেশ্য হলো সরকারকে বিক্ষুব্ধ জনগণের মাধ্যমে চাপের মুখে রেখে স্বার্থ আদায় করা। তাই গোপন খবরটি তারা ছড়িয়ে দিয়েছে।