সফর ১৪৩১ হি:(১৫)

কাশগর ও কায়রো

ইরান আর কত লড়াই করবে

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সৃষ্ট বিরোধের ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত ইরান তার কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমদি নেজাদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আই এ ই এ)-এর দেয়া প্রস্তাব তিনি মেনে নিচ্ছেন।

কথিত প্রস্তাব অনুযায়ী ইরান থেকে স্বল্পমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রাশিয়ায় পাঠানো হবে। রাশিয়ার পারমাণবিক চুল্লিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সমৃদ্ধ করার পর তা ফ্রান্সে পাঠানো হবে। ফ্রান্স সেগুলোকে ইরানের পরমাণু শক্তিকেন্দ্রে ব্যবহারের উপযোগী করে জ্বালানীতে রূপান্তরিত করবে।

একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের জন্য এ প্রস্তাব সন্দেহ নেই খুবই অপমানজনক, তবু বাস্তবতার দিকে লক্ষ্য রেখে ইরানকে তা মন্দের ভালো হিসাবে মেনে নিতে হচ্ছে।

কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ‘ওরা’ এত সহজে ইরানকে ছেড়ে দিতে প্রস্ত্তত নয়। আমেরিকা একদিকে ইরানী প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে ইতিবাচক বলে স্বাগত জানিয়েছে, অন্যদিকে ইরানের উপর নতুন করে জাতিসঙ্ঘ-অবরোধ আরোপ করার তোড়জোরও অব্যাহত রেখেছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর বলেছেন, আমরা কাজ দেখতে চাই। শুধু ভাষণ শুনে কোন পদক্ষেপ নেয়া যায় না।

পশ্চিমা বিশ্ব ইরানী প্রেসিডেন্টের অপ্রত্যাশিত নমনীয়তাকে সন্দেহের চোখে দেখছে, কারণ প্রযুক্তিগত জ্ঞানের দিক থেকে ইতিমধ্যে ইরান বহুদূর এগিয়ে গেছে, যার প্রমাণ, প্রথমবারের মত ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী স্যাটেলাইটে করে মহাশূন্যে অমেরুদন্ডী প্রাণী পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে সর্বশেষ খবর, ইরানী প্রেসিডেন্ট তার দেশেই ইউরেনিয়াম বিশভাগ সমৃদ্ধ করার ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন।

দেখা যাক, নিঃসঙ্গ ইরান এ কূটনৈতিক যুদ্ধে আর কত..! আল্লাহর সাহায্যই ভরসা।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা