সম্পাদক ভাইয়া, চশমাটা খুলুন তো! হাত থেকে কলমটা রাখুন তো! আমার একটা কথা শুনুন তো! আপনি যে রোযনামচা লিখতে বলেন, এজন্য আমি রোযনামচা লিখেছি। সুন্দর হয়নি, হয়েছে কাকের ছা’, বকের ছা’। পাঠিয়ে দেই? ছাপাবেন তো! না ছাপালে কিন্তুু আড়ি! আমাদের এখানে বিদ্যুৎ চলে গেলে আমি আর ইস্ বলি না, ইন্না লিল্লাহ বলি। ভাইয়া যদি ইস্ বলে, আমি বলি কী, দেখোনি সম্পাদক ভাইয়া কী লিখেছেন! বিদ্যুৎ চলে গেলে আমি লেখা পাই না কেন সম্পাদক ভাইয়া! নিন, এবার চশমাটা পরুন, কলমটা হাতে নিন, আর ঝটপট চিঠির উত্তরটা লিখে ফেলুন। ইতি- ঈশিতা, নাটোর সম্পাদক- ঝট .. পট! পট .. ঝট! ঝঝঝট্! পপপট্! ঈশিতা, পিশিতা, নিশিতা; হয়েছে উত্তরটা! এক কাজ করো, কাকের ছা’টা তুমি রেখে দাও; বকের ছা’টা আমার কাছে পাঠিয়ে দাও! কী বললে, আড়ি! তুমি তো দুষ্টু ভারি! আমি তবে মিষ্টি পাঠাবো একহাঁড়ি! শুরু হবে কাড়াকাড়ি! ভেঙ্গে যাবে তোমার আড়ি! তোমরা তো ছোট্টমণি! তোমরা তো জান্নাতের ফুল! তোমাদের লেখা পেতে বিদ্যুৎ যেতে হয় না! তোমাদের লেখা তো আসে জান্নাত থেকে!