রমযান ১৪৩০ হিঃ (১৩)

কচি ও কাঁচা

আমার ভালো লাগে এবং মনে পড়ে

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

আব্বু আমাকে ছাহাবা কেরামের জিহাদ ও শাহাদাতের বিভিন্ন আশ্চর্য ঘটনা বলেন। কীভাবে হযরত হামযা রা. অহুদের ময়দানে দুশমনের মুকাবেলা করেছেন এবং হাবশী গোলাম ওয়াহশীর হাতে শহীদ হয়েছেন। সেই ওয়াহশী আবার পরে ইসলাম গ্রহণ করে ছাহাবী হয়েছেন নবুয়তের মিথ্যা দাবীদার মুসায়লামাতুল কায্‌যাবকে হত্যা করেছেন। হযরত আলী রা. কেমন সাহসী ও বীর যুদ্ধা ছিলেন, কীভাবে তিনি খায়বার-দুর্গ জয় করেছেন এবং দুর্গের দরজা উপড়ে ফেলেছিলেন?! মুতার কঠিন যুদ্ধে যে তিনজন ছাহাবী পর পর সেনাপতি হয়েছিলেন তারা কত সাহসী ছিলেন! প্রথমে হযরত যায়েদ বিন হারিছা লড়াই করে শহীদ হলেন, তারপর হযরত জাফর ঝাণ্ডা নিলেন। তাঁর ডান হাত কেটে গেলো, তিনি বাঁ হাতে ঝাণ্ডা নিলেন। বাঁ হাত কেটে গেলো। তিনি দু’হাতের গোড়া দিয়ে বুকের সাথে ঝাণ্ডা ধরে রাখলেন, আর শহীদ হয়ে গেলেন। তারপর হযরত আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা ঝণ্ডা হাতে নিলেন এবং এমন বাহাদুরির সাথে লড়াই করলেন যে, দুশমনও তাঁর বাহাদুরি দেখে অবাক হয়ে গেলো। অনেক দুশমন তাঁর হাতে মারা গেলো, আর তিনিও শহীদ হয়ে গেলেন। আব্বু যখন এসব ঘটনা বলেন তখন আমার খুব গর্ব হয় ছাহাবা কেরামের জন্য। আমার খুব ভালো লাগে। ছাহাবা কেরামের সোনালী যুগের কথা আমার মনে পড়ে। কল্পনার চোখে আমি যেন দেখতে পাই জিহাদ ও শাহাদাতের বিভিন্ন দৃশ্য। জিহাদ ও শাহাদাত তো কেয়ামত পর্যন্ত চলবে। ইনশাআল্লাহ আমি যখন বড় হবো প্রয়োজন হলে দেশ ও জাতির জন্য আমি জিহাদ করবো এবং শহীদ হবো।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা