সম্পাদক ভাইয়া, ঘুমিয়ে আছেন! উঠুন; আমার চিঠি এসেছে! ভালো আছেন ভাইয়া? জানালা দিয়ে একটু আকাশটার দিকে তাকান তো; দেখেছেন, কত অসংখ্য তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে! আকাশে যত কোটি তারা, আপনাকে তত কোটি ‘জাযাকাল্লাহ’। (যারা আমীন বলবে, তারাও শরীক,-সম্পাদক) কেন, জানেন! আমাদের জন্য আপনার সুন্দর লেখাগুলোর জন্য। আপনার লেখা পড়ে, না, একবার হাসতে হাসতে খুন হই, আবার কাঁদতে কাঁদতে খুন হই। আপনার কলমটা কি জাদুর কলম! কলমটা আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে দিয়ে দিন, নইলে রাতের বেলা এসে কলমটা চুরি করে নিয়ে যাবো। আপনার ভয়ে প্রতিদিন রোযনামচা লিখি, তবে একটা হয় কাকের ছা, আরেকটা হয় বকের ছা! কী করি বলুন তো! ইতি - নামঠিকানাবিহীন ০০ রাতদুপুরে কে আবার জ্বালাতন করছে রে! এত রাতে ঘুম থেকে জাগালে ভালো থাকা যায়! ও! পুষ্পের কচি ও কাঁচার চিঠি! তা তোমাদের জন্য আবার দিন কী, রাত কী! এসো, এসো! তুমি তো খুব ভালো, তোমাকে এর দ্বিগুণ ‘জাযাকাল্লাহ’! বলো কি দুই বার ‘খুন’! ডবল মার্ডার! তাহলে তো পুলিশ আসার আগেই পালাতে হয়! ওটা জাদুর কলম না, কলমের জাদু! কী আর করবে,কাকের ছা কাকের বাসায় রেখে আসো, আর বকের ছা’টা ভুনা করে খেয়ে ফেলো।