মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ

পুষ্পকলি

কঠিন কথা সহজ করে বলি!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

একটা কঠিন কথা সহজ করে বলি!

মানুষ দু’বার শিশু হয়! হাঁ, মানুষের জীবনে শৈশব আসে দু’বার। বুঝতে কষ্ট হচ্ছে বুঝি!প্রথম শৈশব হলো তার জন্মের পর; যখন সে পৃথিবীতে প্রথম চোখ মেলে। ধরো দশবছর হলো তার শৈশবের বয়স। এখন তোমরা সেই শিশু!

মানুষ যখন বুড়ো হয়, তখন সে একেবারে শিশুর মত হয়ে যায়! অকারণে হাঁসে, অকারণে কাঁদে! এই বলে খাবো, এই বলে খাবো না! এই খেলো পেটভরে, এই বলে, কোথায় খাইনি তো! আমার তো ক্ষুধা পেয়েছে! আজব কাণ্ড তো! এটা হলো জীবনের দ্বিতীয় শৈশব। তাই তো বুড়ো নানাকে, বুড়ো দাদাকে আদর করে নাতি-নাতিনের দল বলে, বুড়ো খোকা! বুড়ো শিশু! আমি হলাম এখন সেই শিশু! বুড়ো শিশু! এবার বুঝলে তো দু’টি শৈশবের কথা! প্রথম শৈশব শুরু হয় জন্মের পর থেকে, আর দ্বিতীয় শৈশব শুরু হয়, বয়স যখন এসে পড়ে আশির কাছে! তাহলে কী দাঁড়ালো! তোমরা শিশু! আমিও শিশু! তো এসো আমরা দুই শিশুতে ভাব করি! তুমি বলো তোমার প্রথম শৈশবের কথা! আমি শোনাই আমার দ্বিতীয় শৈবের কথা!

তোমার পড়তে ভালো লাগে! লিখতে! একদম না! আমার কিন্তু পড়তে খুব ভালো লাগে, লিখতেও। তবে গোলমালটা হলো কী! নাতিনটা, নাম হলো রায়হানা। আমার চশমা লুকিয়ে ফেলে! বুড়ো শিশুরা তো চশমা ছাড়া একদম জব্দ! না পারে পড়তে, না পারে কিছু দেখতে! যখন লিখতে বসবো, কলম গায়েব, আর খাতা তো বিলকুল গায়েবান!তোমার খেলতে ভালো লাগে! খুউব! কী খেলা! কানামাছি! গোল্লাছুট! আমার কিন্তু খেলতে ভালো লাগে না, একদম না! দাঁতে ব্যাথা, হাঁটুতে ব্যথা, কোমরে যেন কী! তিনপায়ে হাঁটি! তৃতীয় পা-টা চিনলে না! কেন, আমার লাঠিটা! ঐ যে, তুমি লুকিয়ে রাখো! তাহলে কী দাঁড়লো! খোকা শিশুর যা ভালো লাগে, বুড়ো শিশুর তা ভালো লাগে না! আবার বুড়ো শিশুর যা ভালো লাগে, খোকা শিশুর তা ভালো লাগে না!

আচ্ছা, সেই জিনিসটা কী, যা দুই শিশুরই ভালো লাগে! গল্প বলা, আর গল্প শোনা! তাহলে এসো গোল হয়ে বসো! আমি গল্প বলি, তোমরা গল্প শোনো! একটি শিশুর দাঁত উঠেছে! একটি শিশুর দাঁত পড়েছে! বলো তো কার দাঁত পড়লো! কার দাঁত উঠলো!!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা