মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ

পুষ্পকলি

ছোট্ট খোকা, ছোট্ট খুকি!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

বুলবুলি, ও বুলবুলি! এসো বাগানে ফুল তুলি!!

পুষ্পকলি, ও পুষ্পকলি! আগামী দিনের ফুলগুলি!!

ফুলের মালা গলায় দিয়েপরীর দেশে পথ চলি!!

বুলবুলি, ও বুলবুলি! এসো বাগানে ফুল তুলি!!

***

এই যে দেখো, আমি কে এসেছি!

ওমা, আমাকে চিনতে পারছো না! এরই মধ্যে ভুলে গিয়েছো! তা তোমাদেরই বা দোষ কী! কত দিন হলো তোমাদের সঙ্গে দেখা নেই। মাঝে মধ্যে এসে যে খোঁজ নেবো, খবর নেবো; তাও তো করিনি! আচ্ছা, দোষ স্বীকার করছি। তা চিনতে পরোনি বলে কি বসতেও বলবে না! বুড়ো মানুষ কত দূর থেকে এসেছি। ক্ষুধা না হয় পায়নি! পিপাসা তো পেয়েছে! শরবত দেবে না, দিও না! কিন্তু পানি তো দেবে! গলাটা তো একটু ভেজাতে হবে!

ও! এই তো কত্তো ভালো মেয়ে! কী সুন্দর গ্লাসে করে পানি এনেছে! তোমাকে তো চিনতে পেরেছি! তুমি আফীফা না! কত শান্ত ছিলে! কী মিষ্টি করে হাসতে! কী সুন্দর কথা বলতে! গ্রামের শেষ মাথায় না তোমাদের বাড়ীটা! তা দেখতে তো বেশ বড়টি হয়েছো!  মনে নেই বুঝি! ঐ যে সেবার তোমার জ্বর হলো! তোমাকে দেখতে গেলাম! তুমি কত খুশী হলে!

...তুমি আবার কী এনেছো, পায়েশ! তোমার মা পাঠিয়েছেন বুঝি! তোমাকেও চিনতে পেরেছি! তুমি সুলতান না! ঐ যে মসজিদের খুব কাছে তোমাদের বাড়ীটা! তোমার বাবার সঙ্গে তো মসজিদে দেখা হতো প্রায় প্রতিদিন! তা তুমিও তো বেশ বড়টি হয়ে গিয়েছো! অবাক হলে! তোমাদের চিনলাম কীভাবে! তোমাদের এত খবর জানি কীভাবে! আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই! এই যে, তোমরা আমাকে চিনতে পারলে না, তাতেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। মাঝখানে অনেক বছর পার হয়েছে তো! আগেই বুড়ো ছিলাম, এখন তো আরো বুড়ো হয়েছি! আচ্ছা, পুষ্পের কথা মানে আছে তো তোমাদের!

..ওম্মা! এই দেখো, বুড়োর কাণ্ড! আগে বলবে তো, তুমি  পুষ্পের দাদুভাই/নানাভাই! আমরা কিন্তু তোমাকে একটুও ভূলিনি! পুষ্পের কথা ভেবে কত কাঁদি! তোমার খোঁজ না পেয়ে কত চোখের পানি ফেলি! তা এতদিন কোথায় ছিলে নানাভাই! আমাদের প্রিয় পুষ্প কোথায় দাদুভাই/নানা ভাই! শোনো ছেলেরা, শোন মেয়েরা! পুষ্পের কথা তোমাদের এমন করে মনে আছে, দেখে ভারি খুশী হলাম। আমার না, একটার পর একটা অনেকগুলো বিপদ হয়েছিলো!  তাই পুষ্পের কাজও করতে পারিনি! আর পুষ্প না নিয়ে খালি হাতে আসি কীভাবে বলো তো! তা বিপদের কথা জেনে আর কী হবে! আল্লাহ্ বিপদ দূর করে দিয়েছেন, তাতেই শোকর! (ঝোলার ভিতর থেকে বের করে) এই নাও তোমাদের পুষ্পের নতুন সংখ্যা! তোমরা তো জানতে না, তাই কোন লেখা পাঠাওনি, ঠিক আছে! সামনের সংখ্যার জন্য এখন  থেকে লেখা পাঠাতে থাকো ঠিক আগের মত!

নতুন কিছু মুখ দেখতে পাচ্ছি! চার বছর আগে তোমরা বুঝি আরো ছোট ছিলে! থাকবেই তো! এখন বুঝি বড় হয়েছো চারবছর! হবেই তো! আচ্ছা, তোমরাও কিছু লেখার চেষ্টা করো। আগামীবার তোমাদের সঙ্গে না হয় পরিচয় করা যাবে! এখন ওঠি! কামনা করি, সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো এবং সুখে থাকো! আল্লাহ্ হাফেয!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা