মুহাররম ১৪৪৫ হিঃ

কিশোর পাতা

হাজার পঞ্চাশ দিন আগের একটি চিঠি!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

মুহম্মদ ইমাম হাসানের পক্ষ হতে একটি চিঠি এসেছে। সঙ্গে দু’টো লেখা, একটি হলো রম্যরচনা, অন্যটি আত্মসমালোচনা। আমি যে তার লেখাগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছি, এর প্রমাণ হলো, একেবারে শেষ লাইনে সে লিখেছে, ‘জাযাকাল্লাহ’ পুরো লেখা পড়ার জন্য।

সে বাইতুল উলূম ঢালকানগর, শরহে জামির ছাত্র। চিঠির প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে তার রম্যরচনা ও আত্মসমালোচনা সম্পর্কে দু’টি কথা। রম্যরচনাটি পড়ে প্রথমে হাসতে চাইলাম, তারপর কাঁদতে চাইলাম কোনটাই হলো না। সুতরাং বলি কী! রম্যরচনার চেষ্টা ছাড়ো। আত্মসমালোচনাটি মোটামুটি ভালো, তবে কিনা আত্মসমালোচনা পরিবর্তে হয়েছে পরসমালোচনা। তুমি যদি মনে করো, এটি আত্মসমালোচনা, তাহলে এখন থেকে নিজেকে সংশোধনের কাজে লেগে যাও।

এবার চিঠি প্রসঙ্গ।

অনেক কথা লেখার পর তুমি লিখেছো, ‘এবার কাজের কথায় আসি’, আগেরগুলো তাহলে কিসের কথা ছিলো! তুমি লিখেছো, পুষ্প তোমার কাছে খুব ভালো লাগে, তবে নিন্দুকেরা বলে এই এই...

ইমাম ছাহেব, আমি কিন্তু নিন্দুকদের দলে তোমার চেহারাও দেখতে পাচ্ছি! তুমি লিখেছো, ‘নিন্দুকেরা তো আর আমার মত অন্ধভক্ত নয়।’..

আচ্ছা, তুমি তাহলে অন্ধ এবং ভক্ত! আমার মতে নিন্দুকেরা তাহলে তোমার চেয়ে ভালো।

তুমি লিখেছো, সববিষয়ে তাড়াহুড়া করা তোমার মুদ্রাদোষ, কিন্তু আমার মনে হয়, এটা তোমার ‘পয়সাদোষ’!

তোমার শেষ অনুরোধটা গ্রহণযোগ্য, তুমি লিখেছো -আমার লেখা কাগজগুলো বাতিলের ঝুড়িতে না ফেলে, তা দ্বারা আগুন জ্বেলে দুধ গরম করে পান করুন, তাহলে ভাববো, আমার লেখাগুলো যথেষ্ট মর্যাদা লাভ করেছে!.. কিন্তু কথা হলো, দুধ তো পাঠাওনি! আচ্ছা, হাজার পঞ্চাশ দিন তো কম দিন নয়, তুমি এখন মাটির উপরে না নীচে! উপরে হলে, একবার কি দেখা করতে পারো, আমি মাটির নীচে চলে যাওয়ার আগে! তোমাকে ধন্যবাদ।

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা