কিশোর বন্ধুরা!
আমার সালাম গ্রহণ করো। দীর্ঘ বিরতির পর পুষ্পের দশম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। তেমন কোন পূর্বঘোষণা ছিলো না, তবু পুষ্পের পাঠক অভাবিতপূর্ব সাড়া দিয়েছে এবং আন্তরিক ভালোবাসার সঙ্গে পুষ্পকে বরণ করেছে। আল্লাহ্ সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন।প্রচুর লেখা, চিঠি ও অভিনন্দনপত্র আসছে। তাতে এমন অনুপম অনুভব-অনুভ‚তির প্রকাশ ঘটছে যে, ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এখন শুধু কামনা করি, পুষ্প যেন তার ¯িœগ্ধ আভা ও প্রভা নিয়ে, পুষ্প যেন তার সুবাস ও সুবর্ণ নিয়ে প্রতিটি ঘরে পৌঁছতে পারে! তার চেয়ে বড় কামনা, পুষ্প যেন তার চিন্তা ও চেতনা প্রতিটি হৃদয়ের গভীরে পৌঁছে দিতে পারে। প্রতিটি কিশোরচিত্ত ও তরুণ হৃদয় যেন পুষ্পের মহান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে একাত্ম হতে পারে! সেই একাত্মতা যেন মুখের উচ্চারণ অতিক্রম করে বুকের স্পন্দন হতে পারে!হে কিশোর, হে তরুণ! আজ এখানে এই মঞ্চ থেকে তোমাকে বার্তা দিতে চাই, হৃদয় দিয়ে যদি গ্রহণ করো, আর জীবনকে যদি সেই পথে পরিচালিত করতে পারো তাহলে আমার, তোমার; আমাদের সবারই কল্যাণ।আমার কল্যাণ এ জন্য যে, আমার জীবনপ্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে কিছু জীবনের প্রদীপে আলো দিয়ে যেতে পারি! তোমাদের কল্যাণ এ জন্য যে, সামনের পৃথিবীতে যারা চোখ মেলবে তোমাদের প্রদীপ থেকে তারা আলো পাবে! এভাবে প্রদীপ থেকে প্রদীপের আলো পাওয়া অব্যাহত থাকবে! পৃথিবী তাতে কত সুন্দর হবে! কত আলোকিত হবে! তবে একটি কথা, তোমরা তো ভালো করেই জানো, শুধু স্বপ্ন দেখে জীবন সুন্দর হয় না! শুধু আশা করে এবং কামনা করে জীবন আলোকিত হয় না!জীবনকে যারা সুন্দর করেছেন, পৃথিবীকে যারা কিছু আলো ও ভালো দিয়ে গিয়েছেন তাঁরা জীবনকে সুন্দর করার এবং আলোকিত করার নিরন্তর সাধনায় নিয়োজিত হয়েছেন। মানুষের কল্যাণের জন্য তাঁরা আত্মনিবেদন করেছেন। আশা করি, আমার বার্তাটি তোমরা বুঝতে পেরেছো। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন!