আব্দুল হান্নান, যশোর
দাওয়াতের একটা বড় ক্ষেত্র তো হলো আল্লাহ্র বান্দাদের কাছ থেকে সময় চাওয়া; তাদেরকে চিল্লার জন্য বের করা।... এ উদ্দেশ্যে বিভিন্নভাবে তাশকীল করা।
দাওয়াতের আরেকটি ময়দান হতে পারে নির্ভরযোগ্য দ্বীনী কিতাবের মুতালা‘আ ও অধ্যয়নের জন্য আল্লাহর বান্দাদের তাশকীল করা। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে দ্বীনী কিতাব যোগাড় করে দেয়া এবং উৎসাহমূলক কিছু আয়োজন করা। এক্ষেত্রে ভ্রাম্যমান পাঠাগারের চিন্তাটা কাজে লাগানো যায়।
একার্যক্রম কোন মাদরাসার পক্ষ হতে যেমন গ্রহণ করা যায় তেমনি কিছু আলিম ও দ্বীনদার ব্যক্তি একত্র হয়ে একটি সংস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমেও করা যায়।এতে করে যারা আগে থেকেই দ্বীনের পথে আছে তারা দৃঢ়তার সঙ্গে দ্বীনের পথে অগ্রসর হতে পারবে। পক্ষান্তরে যারা এখনো দ্বীন থেকে দূরে আছে তারা উত্তম কিতাবের ছোহবতে দ্বীনের পথে আসরা সুযোগ পাবে। ইলম অর্জন করার তো কোন বিকল্প নেই। আর ইলমের রয়েছে বহুমুখী ক্ষেত্র। আমল করার জন্য যেমন ইলমের প্রয়োজন, তেমনি ছহী আকীদা ও বিশুদ্ধ বিশ্বাসের জন্যও ইলমের প্রয়োজন। একই ভাবে চিন্তায় চেতনায় জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্যও ইলমের প্রয়োজন।বড় আকারের উদ্যোগ যদি এখনই সম্ভব না হয় তাহলে ব্যক্তি উদ্যোগেও হতে পারে কিছু কাজ। আর ব্যক্তি তো আমরা সারা দেশেই ছড়িয়ে আছি, আর আমার চারপাশেই রয়েছে ক্ষেত্র। আসল কথা হলো, কাজের জন্য বড় বড় চিন্তা না করে নিজের সাধ্যের ভিতরে ছোট ছোট চিন্তা করা অনেক বেশী ফলপ্রসূ বলে মনে হয়। সম্ভবত এজন্যই নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-আল্লাহ্ যদি তোমার দ্বারা একজন ব্যক্তিকেও হিদায়াত দান করেন তবে তোমার জন্য তা লাল উটদলের চেয়েও উত্তম। এত পরিকল্পনা চিন্তায় এসেছে আমার খুব কাছের একজন মানুষের ব্যক্তিগত উদ্যোগের সুফল দেখে।আল্লাহ্ আমাদের তাওফীক দান করুন, আমীন।