সম্পাদকের আদালত
ভাই ইয়াসীন! আপনার লেখা পেয়েছি। ভাষা সুন্দর, উপস্থাপন আরো সুন্দর; আর সম্ভবত আপনার নিয়ত ও উদ্দেশ্য সবচে’ সুন্দর। শুধু বিষয়বস্তু সম্পর্কে দু’টি কথা।
আপনি লিখেছেন পাকপ্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের জাতিসঙ্ঘভাষণ সম্পর্কে। পুষ্পের পাতায় দেখতে পাবেন, একই বিষয়ে আমাদের এক তালিবে ইলমও লিখেছে। সে বাচ্চা মানুষ, তার উচ্ছ্বাস-আতিশয্য মাফ করা যায়। আপনারটা মাফ করতে পারি না। ভালো ভালো কথা বলাই তো শেষ কথা নয়! দেখুন, আল্লাহ্ কত সুন্দর তিরস্কার করেছেন, ‘কেন বলো এমন কথা যা তোমরা কার্যে পরিণত করো না; যা করো না তা বলা, আল্লাহর কাছে বড় ক্রোধের কারণ।’
তো এখন কথার গাজী নয়, কাজের গাজীর প্রয়োজন।
আচ্ছা, পাকপ্রধানমন্ত্রী যে, বললেন, তিনি ভেবেছেন, কাশ্মীর সম্পর্কে মোদির গরম গরম কথা ¯স্রেফ নির্বাচনী বাত। নির্বাচন পার হওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং আলাপ-আলোচনা...! কিন্তু কথা হলো, তিনি তো নিজেই জানেন, ‘মোদি আরএসএস-এর আজীবন সদস্য’। তো মোদির কথাগুলো তিনি এত হালকা করে নিলেন কীভাবে? হুঁশ হলো কখন, যখন পানি মাথার উপর দিয়ে গড়িয়ে গেলো! তিনি কি রাজনীতির ময়দানে বাচ্চা খেলোয়াড়!
ব্যস, এই একটা বিষয় কেউ যদি বুঝিয়ে দিতে পারে, আরো অনেক প্রশ্ন আছে, সেগুলো না তুলেই মেনে নেবো, ‘ইমরানই সেই মানুষ মুসলিম উম্মাহ্ যার...!
আচ্ছা, জাতিসঙ্ঘের ভাষণে ফিলিস্তীন সম্পর্কে এরদোগানের জোরালো বক্তব্য আছে, ইমরান খানের একটা শব্দ পর্যন্ত নেই কেন?!