কাশ্মীরসংখ্যা

কিশোর পাতা

তোমাদের অশ্রুর প্রতারণা বুঝতে পারি!!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

তোমাদের অশ্রুর প্রতারণা বুঝতে পারি!!

ফারুক আব্দুল্লাহ এখন কাঁদছেন। তার চোখ থেকে নাকি অশ্রু ঝরছে! সেই অশ্রুসজল চেখের বক্তব্য হলো, কাশ্মীরী জনগণের সঙ্গে নাকি প্রতারণা করা হয়েছে। কিন্তু এ অশ্রু অন্তরের অশ্রু নয়, ধোকার অশ্রু। এ অশ্রুর প্রতারণা তার বাবা শেখ আব্দুল্লাহ্ও করেছেন তার আমলে তার সহজ-সরল কাশ্মীরীদের সঙ্গে।

ফারুক আব্দুল্লাহ্ দীর্ঘ জীবনে তিনবার কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ততদিন ভারতের সঙ্গে তার কোন সমস্যা ছিলো না। কাশ্মীরীদের শেকলে বাঁধা যিল্লতির যিন্দেগি নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা ছিলো না। যখন ভারতের সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫ক ধারা তুলে নেয়া হলো তখন ফারুক আব্দুল্লাহ্ এবং তার ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ্ কান্নার ভান করে বলতে চাচ্ছেন, ভারত কাশ্মীরীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে এবং তাদের উপর যুলুম করেছে। আসল ঘটনা এই যে, ‘অশ্রুর প্রতারণা’ হচ্ছে তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। ফারুক ও উমরের বাবা ও দাদার অবশ্য আরেকটি বিষয় ছিলো, কোরআন তেলাওয়াতের প্রতারণা! আল্লাহ্ তাকে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। যে কোন সভায় তিনি পুরো সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করতেন, আর সহজ, সরল ও ধর্মপ্রাণ কাশ্মীরী মুসলমানের চোখে পানি এসে যেতো!

আসলে তো এই পরিবার প্রতারণা করেছে কাশ্মীরের জনগণের সঙ্গে। কাশ্মীরী জনগণের মূলধারা তো কখনো ৩৭০ চায়নি, চেয়েছে আযাদি এবং পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তি। হিন্দুনেতৃত্বের সঙ্গে যোগসাজশ করে ৩৭০ অনুচ্ছেদ দ্বারা কাশ্মীরী জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হলে কাশ্মীর ও তার ভূমিপুত্রদের স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বহাল থাকবে। এতে শেখ আব্দুল্লাহ্র অন্ধভক্ত এবং তার অশ্রু ও তিলাওয়াত দ্বারা প্রতারিত কিছু কাশ্মীরী আত্মতুষ্টি লাভ করেছিলো। সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরী কখনো এটা মেনে নেয়নি।

মুহম্মদ আলী জিন্নাহ কাশ্মীরে ছুটে এসেছিলেন শেখকে বোঝানোর জন্য যে, নিজের এবং কাশ্মীরী মুসলমানদের পায়ে কুড়াল মেরো না। কে এইচ খুরশিদের মতে, কায়দে আযম শেখ আব্দুল্লাহ্কে বলেন, শেষপর্যন্ত তুমি কিন্তু প্রতারিত হবে। তখন আর কিছুই করার থাকবে না। এখনো সময় আছে, কংগ্রেস থেকে দূরে থাকো এবং পাকিস্তান আন্দোলনে যোগ দাও। এই পরামর্শ শুনে শেখ আব্দুল্লাহ্ ‘কাশ্মীরী ভব্যতা’ ভুলে গিয়ে চিৎকার করে বললেন, এরা যারা বাইরে থেকে আসে, কাশ্মীরের রাজনীতি নিয়ে তাদের নাকগলানোর কোন অধিকার নেই।’

সামান্য একজন স্থানীয় নেতা, সমগ্র ভারতে মুসলমানদের সর্বজনশ্রদ্ধেয় জাতীয় নেতার সঙ্গে চরম দুর্ববহার করে বলেছিলেন, ‘এখনি আপনি কাশ্মীর ত্যাগ করুন, কাশ্মীরের ভবিষ্যত আমি আপনার চেয়ে ভালো বুঝি!’

কায়দে আযম, বুকের মধ্যে একরাশ বেদনা নিয়ে কাশ্মীর থেকে ফিরে এসেছিলেন। তবে তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিলো, সুচতুর নেহরু এবং ক্ষমতার মোহে অন্ধ শেখ আব্দুল্লাহর গোপন মতলব। এজন্যই পাকিস্তানের কাবায়েলী মুজাহিদীন আর কালক্ষেপণ না করে শেষ রক্ষা হিসাবে আযাদ কাশ্মীরের দখল নিয়েছিলো, যাকে বলা হয় ‘পাকিস্তানের দস্যুতা’, যার কারণে বাধ্য হয়ে রাজা হরি সিং...

শেখ আব্দুল্লাহর অবশ্য বুঝতে দেরী হয়নি, তিনি কত বড় বেকুবি করেছেন। তিনি নেহরুর কথায় বিশ্বাস করেছেন, আর কাশ্মীরের বেশ কিছু মানুষ তাকে বিশ্বাস করেছে। তিনি কাশ্মীরীদের প্রতারণা করেছেন, আর নেহেরু দ্বারা তিনি নিজে প্রতারিত হয়েছেন।

তত দিনে বড় দেরী হয়ে গিয়েছে এবং ঝিলাম নদী দিয়ে বহু পানি পাকিস্তানের ভূমি অতিক্রম করে সাগরে গড়িয়ে পড়েছে।

শেখ আব্দুল্লাহ্কে রাষ্ট্রদ্রোহী আখ্যা দিয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। শেখ আবার শঠতার আশ্রয় নেন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের নামে ভারতকে হুমকি দিতে থাকেন। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নেহরু আবার শেখ আব্দুল্লাহরপ্রয়োজন অনুভব করেন। তাকে কারাগার থেকে বের করে বিশেষ প্রস্তাব দিয়ে পাকিস্তানে পাঠান। তিনি যখন পাকিস্তানে তখন নেহরু মারা যান। কী ছিলো নেহরু-আব্দুল্লাহ্র প্রস্তাব তা আর জানা যায়নি। সেটা সেখানেই ‘চিতায় ওঠে’।

ইন্দিরা গান্ধীর মত ‘বাচ্চা’র হাতে ‘শেরে কাশ্মীর’ কারাগারেও গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদও গ্রহণ করেছেন।...

আব্দুল্লাহরপর তার পুত্র ফারুক কংগ্রেসের পক্ষে অধিকৃত কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হন; ওমর আব্দুল্লাহও। যতদিন প্রয়োজন ছিলো হিন্দুনেতৃত্ব শেখ পরিবারকে ব্যবহার করেছে। যখন প্রয়োজন ফুরিয়েছে তখন হিন্দু রাজা হরি সিং-এর মত শেখ ও তার পরিবারকেও ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।

আজ বাপবেটা ফারুক-ওমর একসঙ্গে কান্না জুড়ে দিয়েছেন যে, ভারত তাদের ধোকা দিয়েছে। আসল কথা হলো তারাই নিজেদেরকে এবং কাশ্মীরের জনগণকে ধোকা দিয়েছেন।

হিন্দুনেতৃত্ব তাদের ‘জাতীয় স্বার্থে’ শেখ পরিবারকে শুরু থেকেই ব্যবহার করেছে শুধু।

আজ সময়ের নির্মমতা প্রমাণ করেছে যে, শেখ আব্দুল্লাহ্ ভুল পথে ছিলেন, আর সৈয়দ আলী গীলানী ও অন্যান্য স্বাধীনতাকামী নেতারাই সঠিক পথে ছিলেন। কিন্তু শেখের চতুরতার কাছে তারা হেরে গিয়েছিলেন।

আমাদের বিশ্বাস, ৩৭০ অনুচ্ছেদের মৃত্যু ভারতের জন্য অবধারিত বিপর্যয় ডেকে আনবে, আর কাশ্মীরের স্বাধীনতা- আন্দোলন আরো বেগবান, গতিশীল ও শক্তিশালী হবে, ইনশাআল্লাহ্।

আফনান বিন সালমান বিন ইয়াহ্য়া

 

কাশ্মীরের কথা, আমার মনের ব্যথা!

আমাতুল্লাহ্ তাসনীম গোফরানা/ সিলেট

প্রিয় সম্পাদক ভাইয়া!

... অবাক হয়ে ভাবি, আমার এই ছোট্ট বুকে কোমল হৃদয়ের মধ্যে এত ব্যথা কীভাবে সইতে পারি! ফিলিস্তীনের ব্যথা, আলকুদ্স ও বাইতুল মাকদিসের ব্যথা, আরাকান ও বলকানের ব্যথা! কাশ্মীরের ব্যথা তো আগেও ছিলো, এখন যেন আবার তাজা হয়ে উঠেছে, শরীরের ক্ষত আবার তাজা হলে যেমন হয়!

সম্পাদক ভাইয়া, অন্তরের অন্তস্তল থেকে আপনাকে ‘জাযাকাল্লাহ্’। আমি একজন অবলা মেয়ে, ঘরে ঘরে আমার মত কত অসংখ্য মেয়ে, নিজেদের ঘরে, নিজেদের পরিবারে, এমনকি মা-বাবার কাছেও আমাদের পরিচয় ছিলো ‘বোবা নারী’! কেউ ভাবতেও চাইতো না, অথবা ভাবতে পারতো না যে, আমরাও কথা বলতে পারি, আমরাও চিন্তা করতে পারি এবং পারি দাবী জানাতে ও প্রতিবাদ করতে! প্রয়োজনে আমরাও পারি দ্বীনের জন্য, সত্যের জন্য জেগে উঠতে, জ¦লে উঠতে! শুধু... একটু যদি তোমরা আমাদের ভিতরের শক্তি ও সম্ভাবনাকে জাগ্রত করে দাও! একটু যদি আমাদের ভিতরের বারুদকে উষ্ণতা দান করো, যোগ্যতার উষ্ণতা, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা এবং উদ্যম ও উদ্দীপনার উষ্ণতা!

পুষ্প আমার এবং আমাদের জীবনে, আমি মনে করি, অবলা নারীর ভিতরের সেই শক্তি ও সম্ভাবনাকে জাগ্রত করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে।

পুষ্প আমার এবং আমাদের জীবনে, আমি মনে করি, আমাদের ভিতরে গচ্ছিত বারুদকে উষ্ণতা দান করার প্রত্যয় নিয়ে এসেছে, পুষ্প আমাদের জন্য নতুন জীবনের আহ্বান নিয়ে এসেছে!

পুষ্প আমার এবং আমাদের জীবনে, আমি মনে করি, সেই শক্তি ও সম্ভাবনাকে কিছুটা হলেও জাগ্রত করতে পেরেছে; ভিতরের বারুদকে কিছুটা হলেও উষ্ণতা দিতে পেরেছে, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উষ্ণতা এবং উদ্যম, উদ্দীপনার উষ্ণতা!

এখন আমাদের হাতে যেমনই হোক, একটা কলম উঠেছে। যেমনই হোক এখন আমরা কলম ধরতে শিখেছি, কাগজের বুকে কলমের কালিতে আঁচড় ফুটিয়ে তুলতে শিখেছি।

০০ পুষ্প কিন্তু চায়, আগে হৃদয়ের অঙ্গনে বিশ্বাসের তুলিতে কিছু আঁকতে শেখো। তখন কাগজের বুকে কলমের কালির যে আঁচড় তা আরো সজীব ও জীবন্ত হবে, ইনশাআল্লাহ্।

০ ... পুষ্পের সঙ্গে যখন আমার প্রথম সাক্ষাত, তখন শুধু শিশুদের লেখাগুলো পড়তে পারতাম। তাতেই কী বিপুল আনন্দ, রোমাঞ্চ ও উদ্দীপনা যে অনুভব করতাম! পুষ্পের তৃতীয় প্রকাশনা যখন হাতে এলো তখন আমি একজন মা! পুষ্পের কল্যাণে মাতৃত্বের গৌরব ও মর্যাদা অনুভবকারী একজন মা! আমার সন্তান এখন আমার শৈশবের মত শিশুতোষ লেখাগুলো দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়। পড়তে পারে না, আমি পড়ে শোনাই। ....

০০ এভাবেই প্রদীপ থেকে প্রদীপ প্রজ¦লিত হবে, হতে থাকবে ইনশাআল্লাহ্!

০ ....পুষ্পের আরাকানসংখ্যা থেকে আমার হৃদয়ে যে অন্যরকম রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে, পরবর্তী সংখ্যায় আলকুদস সেই রক্তক্ষরণকে আরো বিস্তৃত করেছে। প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত, প্রতিটি সকাল এবং প্রতিটি সন্ধ্যা শুধু যন্ত্রণায় ছটফট করছি! আমি অবলা নারী কী করতে পারি এই মাযলূম উম্মাহ্র জন্য?

এখন নতুন যে যন্ত্রণা যুক্ত হয়েছে তা হলো কাশ্মীরের যন্ত্রণা। ওখানে মুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধের উপর ভয়াবহ যুলুম নির্যাতন চলছে, যদ্দুর জানতে পারি তাতেই তো...!

আপনি কি বলতে পারেন, আমার মত মেয়েদের, মায়েদের এখন কী করণীয়?

০০ আলহামদু লিল্লাহ্, উত্তরটা তুমিই বলে দিয়েছো ‘আমার মত মেয়েদের’-এর পরে ‘মায়েদের’ কথাটা যুক্ত করে।

এখন তোমার এবং প্রতিটি মায়ের বড় কর্তব্য হলো, সন্তানকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে তার অন্তর দুনিয়ার মোহ থেকে এবং মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্ত হয়; যাতে সে নিজের জন্য নয়, বরং উম্মাহর জন্য বাঁচতে এবং মরতে শেখে। উম্মাহর জন্য তোমার দিলে যে দরদ ব্যথা, তা যেন তার দিলেও পয়দা হয়।... ঘরে বসে এটাই তোমাদের জিহাদ, ইনশাআল্লাহ্!

খুনী মোদিকে পুরস্কার!

সরা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের মুসলমানদের বিরুদ্ধে জঘন্যতম সাংবিধানিক আগ্রাসন চালিয়ে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাত্র সাত আটদিনের মাথায় যখন কাশ্মীরের মযলূম মুসলিমান ‘খাঁচাবন্দী’ জীবনযাপন করছেন, আরব আমীরাত তাকে সর্বোচ্চবেসামরিক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘অর্ডার অব যায়েদ মেডেল’ প্রদান করেছে। যুবরাজ বিন যায়েদ নিজেই মোদিকে মেডেল পরিয়ে দেন।

এ ঘটনা মুসলিমবিশ্বের নেতৃপর্যায়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না করলেও মুসলিম জনতার মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও বিক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে ‘অবদান’ রাখায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ সাম্মাননা প্রদান করা হয় বলে মধ্যপ্রাচ্যের এই ধনী দেশটি জানায়।

এরপর বাহরাইনও মোদিকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করে। আমিরাত ও বাহরাইন উভয় দেশ মনে করে, কাশ্মীর ভারতের আভ্যন্তরীণ সমস্যা।

উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি শুধু যে কাশ্মীরের খুনি তাই নয়, বরং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও কয়েক হাজার মুসলিমের হত্যাকা-ণ্ডের তিনিই ছিলেন প্রধান পরিকল্পনাকারী, যার কারণে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকায় ছিলেন এবং তাকে ভিসা দেয়া হতো না।

একটি সংবাদ থেকে জানা যায়, পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ-রেখার একটি গ্রাম মাদারপুর। ওখানে ভারতীয় সেনাদের অব্যাহত গোলাবর্ষণের কারণে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যেই বহু নিরিহ মানুষ হতাহত হয়েছে। পাকিস্তানের বিখ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঐ এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

গ্রামের এক আশিবছরের বুড়ো এবং বিশবছরের যুবক তাকে বলেন, ভারতীয় বাহিনী আমাদের গুলি করে মেরে ফেলতে চায়। আমাদের গ্রামছাড়া করতে চায়। কিন্তু গ্রাম ছাড়বো না। আমরা প্রাণ দেবো এবং নিয়ন্ত্রণরেখা মুছে ফেলবো।

বৃদ্ধ ও যুবক আরো বলেন, সীমান্তের ওপারে আমাদের কাশ্মীরী ভাইয়েরা লাশ বহন করছে, এপারে আমরাও লাশ বহন করছি, অথচ সেই খুনীকে আমাদের আরব-মুসলিম ভাইয়েরা  রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রদান করছে। এটা আমরা কখনো ভোলবো না।

কথাপ্রসঙ্গে যুবকটি সাংবাদিক হামিদমীরকে জিজ্ঞাসা করলো, মোদিকে তো আরব আমীরাত রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দিয়েছে. আমরা কি ইরানের রাহবারকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দ্বারা সম্মানিত করতে পারি না, যিনি এই দুঃসময়ে দৃঢ়তার সঙ্গে পাকিস্তান ও কাশ্মীরের মযলূম মুসলিমানের পাশে দাঁড়িয়েছেন?

হামীদ মীর যথর্থই বলেছেন, কাশ্মীরীরা আগেও রক্ত দিয়েছে, সামনেও দেবে, যতদিন না তারা তাদের স্বাধীনতা ফিরে পায়। তবে কাশ্মীরের মযলূম মুসলিমান কখনো ভোলবে না যে, কতিপয় আরবরাষ্ট্র ইসলামী ভ্রাতৃত্ব ভুলে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, আর তাদের পিঠে ছুরি বসিয়েছে। কাশ্মীরের মুসলিমান এর বিচার আল্লাহহর দরবারেই দায়ের করতে চায়। *

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা