জিলহজ্ব ১৪৪০ হিঃ (৩/৮)

কিশোর পাতা

তোমাকে

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 তোমাকে

তোমাকে আমার জীবনের আলো-ছায়ার মধ্যে পেয়েছি অনেক দিন তো হলো! অন্তত একজন অপরজনের পরিচয় অর্জন করার জন্য, বাইরের ও ভিতরের পরিচয় অর্জন করার জন্য এটা যথেষ্ট সময়।

বাইরের ও ভিতরের কেন বললাম, জানো! আমাদের জীবনটা আসলেই কুয়াসার মত বড় রহস্যঘেরা! মনে হয়, অনেক কিছু দেখতে পাই; আসলে কিছুই দেখতে পাই না! আবার মনে হয়, কিছুই তো দেখতে পেলাম না, অথচ নিজের অজান্তেই অনেক কিছু দেখা হয়ে যায়, অনেক কিছু জানা হয়ে যায়।

কখনো মনে হয়, সবকিছু কত যেন স্পষ্ট, যেন দিনের আলো! অথচ বিশ^াস করে যখন বুঝতে পারি, বিশ^াস করা ভুল হয়েছে তখন মনে হয়, তাহলে তো আমি রাতের আঁধারেই ছিলাম!

আবার মনে হয় সবকিছু কত যেন আবছা, অস্পষ্ট! তাই বিশ^াস করতে ভয় হয়, কাছে আনতে বা কাছে আসতে দ্বিধাদ্বন্দ্বের ...! অথচ অবিশ^াস করে দূরত্ব সৃষ্টি করে যখন বুঝতে পারি, এটা ছিলো আমার জীবনের বড় ভুল তখন মনে হয়, এত আলোর মধ্যেও কেন এত অন্ধকারে ছিলাম!

***

দেখা-না দেখার এবং জানা-অজানার এই যে গোলকধাঁধা, তাতেই পার হয়ে যায় আমাদের দু’দিনের জীবন!

আমার, তোমার, আমাদের সবার জীবনের দু’টি রূপ আছে। একটি বাইরের রূপ, একটি ভিতরের রূপ। বাইরের রূপটাই আমাদের সবসময় দেখা যায়, এই রূপটা দেখার জন্য এবং চেনার জন্য বেশী সময়ের প্রয়োজন হয় না, অল্প সময়ই যথেষ্ট। এইটুকু দেখে বা এইটুকু জেনে যখন আমরা বিশ^াস করি, বা অবিশ^াস তখনই আমাদের হোঁচট খেতে হয়। তখনই আমরা আঘাত পাই, অনুতাপ করি। তখনই ঝরে অশ্রু, তখনই উঠে আসে দীর্ঘ নিঃশ^াস!

আমাদের ভিতরের রয়েছে আলাদা রূপ এবং সেটাই হলো আসল রূপ। এই রূপটির পরিচয় অর্জনের জন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। তারপরো দাবী করা যায় না, দেখেছি, চিনেছি!!

এই দেখো না তোমাকে এবং আমাকে! আমরা কি ঠিক ঠিক চিনতে পেরেছি একে অপরের ভিতরের রূপটিকে? বোধহয় পারিনি। অন্তত আমি তো পারিনি। তোমার হৃদয়, ভেবেছি, কত কোমল, কত ¯িœগ্ধ! ভেবেছি, ভালোবাসার জন্যই এ হৃদয়ের সৃষ্টি। তোমার সেই কোমল ¯িœগ্ধ হৃদয়ের যে পরিচয় আজ পেলাম, বিশ্বাস হতে চায়!! এমন ¯িœগ্ধ কোমল হৃদয়েও থাকতে পারে এত ... কী শব্দ বলতে পারি তোমার মর্যাদা রক্ষা করে! সবচে’ নরম শব্দ কী আছে আমাদের অভিধানে? ‘অপ্রীতি’।

বিশ্বাস করা যায়, এমন স্নিগ্ধ কোমল হৃদয়েও থাকতে পারে এত ‘অপ্রীতি’ এমন মানুষের জন্য, যে তোমার দুয়ারে সবসময় এসে দাঁড়িয়েছে তাজা ফুল দিয়ে ভালোবাসার ডালি সাজিয়ে!!

এমন ¯িগ্ধ কোমল হৃয়দও কি পারে এমন করে আঘাত করতে কারো বুকে!!!

খুব বেশী সময় তো নেই সূর্যাস্তের; আবার কি শুরু করতে পারি জীনকে আমরা নতুন করে! এসো না আবার হাত ধরি! চোখের তারায় আবার জীবনের ছবি দেখি!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা