যেদিন থেকে তাকে হারিয়েছি, আমার জীবন সেদিন থেকে হয়ে পড়েছে অর্থহীন, এমনকি প্রাণহীন।
জীবনের দিন-রাত ও সকাল-সন্ধ্যা শুধু পার করে চলেছি যেন কোন লক্ষ্য ছাড়া, কোন উদ্দেশ্য ছাড়া। এমন জীবন তো আমার চারপাশের কারো জন্যই কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না! এমনকি আমার নিজের জন্যও না! তাহলে এমন ঊষর জীবনের, এমন নিস্তরঙ্গ দিন ও রাতের এবং এমন আলোহীন সকাল-সন্ধ্যার সার্থকতা কোথায়?!
অনেক খুঁজেছি তাকে পথের বাঁকে বাঁকে; অনেক খুঁজেছি তাকে লোকালয়ে এবং নির্জন ভূমিতে; অনেক খুঁজেছি তাকেজনতার মাঝে এবং নির্জনতার বিষণœ মুহূর্তে, পাইনি! হয়ত জীবনে কখনো আর পাবো না। অনেক কিছু আছে যা একবার হারিয়ে আবার ফিরে পাওয়া যায়। হয়ত তাকেও, যখন ইচ্ছ তখনই পাবো, এ অবহেলায় ফেলে রেখেছিলাম জীবনের কোন প্রান্তে। যখন প্রয়োজন হলো, হায়, তখন দেখি সে নাই!! কখনো কি বুঝতে পেরেছিলাম, কতটা মূল্যবান ছিলো; কতটা অপরিহার্য ছিলো সে আমার জীবনে?! মনে তো পড়ে না! মনে পড়ে শুধু অবজ্ঞার কথা, অবহেলার কথা! আর মনে পড়ে সহজলভ্যতার কথা! কিন্তু আজ .. সব হারিয়ে আমি স্বীকার করি হে পরম প্রিয়,
আমি উদাসীন ছিলাম! স্বীকার করি অবহেলা ও অবজ্ঞার অনেক অপমান তাকে সইতে হয়েছে আমার কাছে। স্বীকার করি, তাকে হারিয়ে উপযুক্ত সাজাই হয়েছে আমার! এমন অনাদর, এমন অবজ্ঞা কেন সইবে সে আমার কাছে পড়ে থেকে!! তাকে আদর করার, সমাদর করার মানুষের তো অভাব নেই জগত-সংসারে!! তাদের হাতছানি উপেক্ষা করে কেন সে সঙ্গ দেবে আমাকে! এমন অকৃতজ্ঞকে!! শুধু একটি মিনতির উত্তর পেতে চাই হে পরম প্রিয়! আমি বিশ্বাস করি, যেখানেই সে আছে, বিশ্বাস করি, আমাকে সে দেখতে পায়, আমি তাকে দেখতে পাই না শুধু এজন্য যে, অভিমানের আবরণে নিজেকে সে সরিয়ে রেখেছে আমার দৃষ্টি থেকে। বিশ্বাস করি, আমাকে সে দেখতে পায়, আমার কথা সে শুনতে পায়; তাই আমার আজকের এ মিনতি, ‘একটুকরো অনুতাপের, একফোঁটা তপ্ত অশ্রুর কোন মূল্য কি নেই তোমার কাছে! তুমি ছিলে যার দান, তার কাছে! বিশ্বাস করি, তিনি আবার ফিরিয়ে দিতে পারেন তোমাকে আমার কাছে।*