মুহররম.১৪৪০হিঃ (৩/৬)

টেকনাফ/তেতুলিয়া

পদ্মাপাড়ে স্বজনহারাদের কান্না!

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে নদীসিকিস্তি-অত্যন্ত বেদনাদায়ক হলেও- বাংলাদেশের নদী অঞ্চলের জনপদের জন্য অতি পরিচিত ঘটনা। এমনিতেও বাংলাদেশের জনগণ ঝড়-তুফান, জলোচ্ছ্বাস ও সাইক্লোনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে জীবন যাপনে অভ্যস্ত। একেকটি দুর্যোগে বিধ্বস্ত জনপদে হঠাৎ জীবনের গতি যেন থমকে যায়। দুর্যোগকবলিত মানুষ শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তারপরো জীবন আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। মানুষ নতুন করে জীবনসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবন থমকে যাওয়ার মত এমনি এক শোকাবহ ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি পদ্মাপাড়ের ভয়াবহ ভাঙ্গনে। গত সাতই আগস্ট মঙ্গলবার শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মানদীর ভাঙ্গনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। খবরে প্রকাশ, সাধুবাজার লঞ্চঘাট এলাকায় গত মঙ্গলবার বেলা দু’টোর সময় হঠাৎ করে বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান -সহ বিস্তীর্ণ ভূমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গনের সময় সেখানে অবস্থানকারী অন্তত ৩৫ জন মানুষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বিশজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও বাকিরা এখনো নিখোঁজ।এখনো পর্যন্ত ভাঙ্গনের সময় ডুবে যাওয়া ৯জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রচ- স্রােতের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্ট ডুবুরীদল।ঘটনার পর মঙ্গলবার বিকেল থেকেই হাজার হাজার মানুষ নড়িয়ার সাধুবাজার এলাকায় ছুটে গিয়েছেন। যাদের আপনজন নিখোঁজ হয়েছে তাদের বুকফাটা আহাজারিতে পদ্মাপাড়ের বাতাস এখন ভারী হয়ে উঠেছে। তারা এখনো আপনজনদের লাশ ফিরে পাওয়ার আশায় দুর্ঘটনা-কবলিত এলাকায় অবস্থান করছেন।আমরা স্বজনহারা প্রতিটি পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আল্লাহ তাদের সহায় হোন। *


শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা