সাতচল্লিশ থেকে শুরু হয়েছে প্রহসন। জাতিসঙ্ঘ ও তার নিরাপত্তা পরিষদ একের পর এক প্রস্তাব পাশ করে গিয়েছে আর ইহুদিবাদী অবৈধ ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিটি প্রস্তাবের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে গিয়েছে। একটি প্রস্তাবও সে আমলে নেয়নি। কারণ ইসরাইলের অজানা ছিলো না যে, একটুকরো কাগজ ছাড়া এগুলোর কোন মূল্য নেই। তাই জাতিসঙ্ঘ ও তার নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ হতে এজন্য তাকে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হয়নি। অথচ ইরাকের সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযেগ উঠলো, তাকে চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেয়া হলো এবং জাতিসঙ্ঘের আদেশে বহুজাতিক বাহিনী ইরাকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো! এর দশমাংশ তৎপরতাও যদি দেখাতো জাতিসঙ্ঘ ইসরাইলের ক্ষেত্রে!!
আমাদের দুঃখ অবশ্য সেখানে নয়। আমাদের দুঃখ হলো, জাতিসঙ্ঘের আড়ালে ইহুদিবাদ ও খৃস্টবাদ আমাদের চোখে ধূলো দেয়ার আয়োজন করলো, আর আমরা অন্ধ সেজে বসে থাকলাম! একেকটি পস্তাব পাশ হয়, আর আরবকূটনৈতিক মহলে বিজয় উৎসব পালন করা হয় যে, ইহুদিবাদ আরেকটি পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে! কেন? কবে সেই দিন আসবে যেদিন মুসলিমবিশ্ব এক আল্লাহর উপর ভরসা করে একযোগে জাতিসঙ্ঘ থেকে বের হয়ে আসবে, আর নিজেদের বাঁচা-মরার প্রশ্নে নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কবে প্রতিষ্ঠিত হবে মুসলিম জাতিসঙ্ঘ? শুধু যদি একতাবদ্ধ থাকার নিশ্চয়তা পাওয়া যায় তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারে মুসলিম উম্মাহ! আমরা যদি জাতিসঙ্ঘ ত্যাগ করি তাহলে এমন কী ক্ষতি হবে যা এখন হচ্ছে না?!