আমার বয়স তখন পনের কি ষোল। পড়ি রাজধানী ঢাকার সবচে’ প্রসিদ্ধ ও অভিজাত মাদরাসা লালবাগ জামিয়া কোরআনিয়ায়। হঠাৎ শুনি, আজ মিছিল হবে!
আমি হলাম গ্রামের ছেলে। মিছিল কাকে বলে জানি না। একভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন মিছিল হবে? তিনি অবাক হয়ে বললেন, তাও জানো না! ইহুদীরা যে আলআকছা মসজিদে আগুন দিয়েছে! নিজের অজান্তেই বলে উঠলাম, ইন্না লিল্লাহ্! বলেন কী!! মনে মনে অবাক হলাম, এত বড় ঘটনা! কোন আলোচনা নেই, কোন আলোড়ন নেই, অথচ মিছিল হবে! আগে তো জানতে হবে! অন্তরে দরদ-ব্যথা পয়দা হবে, তার পরেই না জোশের ও জাযবার সঙ্গে মিছল হবে।
শুধু ভাবলাম, মুখে প্রকাশ করলাম না। কারণ আমার তখন জানতে হবে দু’টি বিষয়, মিছিল কীভাবে হয় এবং মিছিল হলে কী হয়.!
প্রশ্নদু’টি করলাম। তিনি অবজ্ঞার দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, মিয়াঁ বুদ্ধু, মিছিল হলেই দেখবে, কীভাবে হয়।
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর তখন পাইনি, এখন পেয়েছি। মিছিলে আসলে কিছু হয় না, যদি মিছিলকারীদের মধ্যে আদর্শের চেতনা কাজ না করে। চেতনা ছাড়া মিছিল হয়ে যায় ‘আমার ভাই, তোমার ভাইমার্কা!’
ঐ দিন আরেকটি জিনিস শিখেছি, কারো কথা শুনে তার সরলতা বা অজ্ঞতাকে অবজ্ঞা করতে নেই। মানুষের মনে ব্যথা দেয়া বড় অপরাধ!!
আমলও করবো ইনশাআল্লাহ!!