রোহিঙ্গাসঙ্কট নিয়ে সরকার দেখা যাচ্ছে বেশ সমস্যায় পড়েছে! দেশের ভেতরে যার নীতি হচ্ছে ‘তেড়ে মেরে ডাণ্ডা করে দেবো ঠাণ্ড!’ এমনকি বিশ্বব্যাংকের মত সংস্থাকে পর্যন্ত শায়েস্তা করার মুরোদ রাখে যে সরকার, তার এখন নতুন বোধোদয় হলো, ঝগড়াঝাটি করে সমস্যার কোন সমাধান হবে না, যা কিছু করার করতে হবে সমঝোতার মাধ্যমে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রীর যবানিতেই আমরা জানলাম, জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের প্রতিনিধি আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে বারবার উস্কানি দেয়ার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী খুব হুঁশিয়ার ছিলেন। উস্কানির ফাঁদে পা দেননি।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথাগুলো বলেছেন, তার বৃদ্ধ অর্থমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে, যিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, মিয়ানমারের কাছ থেকে চাল কেনা ঠিক হবে কি না, যারা রোহিঙ্গাদের উপর এমন বর্বর নিধনযজ্ঞ চালিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দিচ্ছে? এর আগে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করেছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ, ঠা-ামাথায় কথা বলবেন, যাতে পরিস্থিতি ঘোলাটে না হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাই করেছেন, কিন্তু ফিরে এসে হতাশা প্রকাশ করেছেন। মিয়ানমারের সামরিক হেলিকাপ্টার বারংবার বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের মুখেও আমরা সংযমের পরিচয় দিচ্ছি, কিন্তু তাতেও তো কাজ হচ্ছে না! এখন তো শুনি, ওরা বলছে, বাংলাদেশই শরণার্থীদের ফেরত দেয়ার বিষয়ে আন্তরিক নয়।আমাদের কথা হলো, ঝগড়াঝাটি ঠিক নয়, ঠিক আছে, তবে অনমনীয়তা ও দৃঢ়তারও প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া এই নিরীহ নীতিটির অনুসরণ দেশের বাইরে ও ভেতরে, উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োজন।‘বিরোধীদলীয়’ নেত্রীর রোহিঙ্গাশিবির পরিদর্শনে যাওয়া-আসার পথে যা ঘটলো তা কিন্তু ঝগড়াঝাটিমুক্ত রাজনীতির পরিচায়ক মনে নাও হতে পারে!