জুমাদাল উলা ১৪৩২ হিঃ (২০)

তোমাদের পাতা

আসমানের ডাক

লিখেছেনঃ আযীযুল হক / জামিয়া মাদানিয়া, ফেনী

শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

 

১৩/১/৩২ হি.

আজ আমাদের মাদরাসা-প্রাঙ্গণে একটি জানাযা এসেছে। গ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির জানাযা। শুরু থেকে তিনি ছিলেন মাদরাসার দরদী। সুখে-দুঃখে, যে কোন বিপদে প্রয়োজনে মাদরাসার পাশে দাঁড়াতেন। গতকালও তিনি মাদরাসায় এসেছিলেন নিজের পায়ে হেঁটে। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তেও ছিলেন পূর্ণ সুস্থ। তিনি কি কল্পনায়ও ভেবেছিলেন, আজ তাকে মাদরাসায় আসতে হবে চারজন মানুষের কাঁধে জানাযার খাটিয়ায় করে?

জানাযার কাতারে দাঁড়িয়ে ভাবলাম, আমারও তো হতে পারে এমন অবস্থা! যে কোন সময় আমারও কাছে আসতে পারে আসমানের ডাক এবং কোন পূর্বসঙ্কেত ছাড়া। মউতের মাধ্যমে শুরু হয়ে যাবে আখেরাতের সফর। কিন্তু সে জন্য আমার প্রস্ত্ততি কোথায়? মউত সম্পর্কে কেন আমি এত গাফেল?!

মরহূমকে আল্লাহ তা‘আলা উত্তম থেকে উত্তম বিনিময় দান করুন, আমীন।

১৭/১/৩২ হি.

স্বাস্থ্যের শ্রীবৃদ্ধির জন্য আমি নিয়মিত হাঁটার চেষ্টা করি। সেই হাঁটা পথে প্রতিদিন দেখা হয় এক ‘যুবকবৃদ্ধের’সঙ্গে। তিনি সামনের দিক থেকে হেঁটে আসেন আমার প্রায় দ্বিগুণ গতিতে। তাঁর হাঁটা শরীরচর্চার জন্য নয়, কর্মের তাগিদে। তিনি কাজ করেন মাদরাসার পাশে ফসলের মাঠে। সারাদিন এমন সতেজ সজীব ও অক্লান্তভাবে কাজ করেন যে, অবাক হতে হয়। আমি তখন প্রতিজ্ঞা করি,  তিনি বৃদ্ধ হয়ে যা পারেন, আমি যুবক হয়েও কেন তা পারবো না। আজ থেকে আমিও হবো তাঁর মত উদ্যমী পরিশ্রমী। প্রতিদিন না হোক সপ্তাহে অন্তত দু’টি রোযনামচা লিখবো।...

(সম্পাদক, মাশাআল্লাহ! চোখের সামনে এমন জীবন্ত নমুনা দেখার পর মাত্র দু’দিন! তাহলে প্রতিদিন লিখবে কেমন নমুনা সামনে পেলে?! ধন্য তোমাদের উদ্যম ও পরিশ্রম!)


শেয়ার করুন:     
প্রিন্ট

অন্যান্য লেখা