২৭ - ৩ - ৩২ হিঃ
যথাসময়ে শয্যাগ্রহণ করলাম এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লাম। অনেকের শোয়ার পর বেশ দেরীতে ঘুম আসে; অনেকের তো আসেই না, ঘুমের বড়ি খেতে হয়। তারা বুঝতে পারে, ঘুম কত বড় নেয়ামত। তো আল্লাহর শোকর, ঘুমের নেয়ামত আল্লাহ আমাকে দান করেছেন। বালিশে মাথা রাখামাত্র ঘুম এসে যায়, গভীর প্রশান্তির ঘুম। আজো ঘুম এসে গেলো, কিন্তু ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ অদ্ভুত একটা কষ্ট শুরু হলো। শ্বাসটা যেন আটকে গেছে। মনে হচ্ছে এক্ষুণি রূহটা বের হয়ে যাবে। আমার সামনে কারো মৃত্যু হয়নি। তাই মৃত্যু এবং মৃত্যুর কষ্ট আমি দেখিনি। আসলে মৃত্যুর স্বাদ যে গ্রহণ করে সেই শুধু বুঝতে পারে মৃত্যুর কষ্ট, অন্য কেউ যত কাছেই বসে থাকুক, বুঝতে পারবে না মৃত্যুর কষ্ট কাকে বলে?
জিহবাটা নড়ছে না, ঠোঁটদু’টো নাড়তে পারছি না। তখন দুনিয়ার কোন কিছু মনে পড়েনি, মনে পড়েছে শুধু কালিমা পড়ার কথা। কিন্তু কালিমাও যে পড়তে পারছি না!
কেমন কষ্ট হচ্ছিলো তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। হয়ত এটাই মৃত্যুর কষ্ট। আর মৃত্যুর কষ্ট যদি হয় এর চেয়ে কঠিন তাহলে তো...
মনে মনে কালিমা পড়ছি, আর ভাবছি, এখনি হয়ত রূহটা বের হয়ে যাবে, এমন সময় দেখি জিহবাটা একটু নড়ছে, ঠোঁট দু’টো কেঁপে উঠছে। তখন মুখেও কালিমা পড়লাম। ঘুম থেকে যখন জেগে উঠলাম তখনো কালিমা উচ্চারণ করছি। আমার মনে হলো মৃত্যুর কষ্ট অনুভব করে আল্লাহর হুকুমে মৃত্যুর দুয়ার থেকে আমি ফিরে এসেছি। হে আল্লাহ, তুমি ঈমানের সঙ্গে আসানির সঙ্গে মউত নছীব করো, আমীন।