২০ - ১ - ১১ খৃঃ
‘এখনো জোনাকি জ্বলে’- এই আলোকিত লেখাটির মাধ্যমে পুষ্পের সম্পাদকের সঙ্গে আমার পরিচয় ও ভালোবাসা, আর ভালোবাসা থেকে তাঁর সান্নিধ্য লাভের ব্যাকুলতা। হৃদয়ের ভালোবাসা ও ব্যাকুলতা যার দান তিনি একদিন সান্নিধ্য-সৌভাগ্যও দান করলেন।
রামাযানের শেষ দশকে মাদরাসাতুল মাদীনাহর নিকটবর্তী মসজিদে তিনি ই‘তিকাফে ছিলেন। দূর থেকে দেখতে পেলাম, মসজিদে দক্ষিণ দিকের জানালার পাশে বসে আছেন। তাঁর মত মানুষের বসে থাকা মানে আত্মনিমগ্ন থাকা। কাছে গিয়ে সালাম দিলাম, তিনি তাকালেন। সেই স্ণিগ্ধ চাহনি এখনো যেন আমার হৃদয়পটে অঙ্কিত হয়ে আছে।
অনেক কথা হলো। আমি বললাম, হুযূর! আমরা ভাই-বোনেরা নিজেদের খরচ বাঁচিয়ে অনেক কষ্ট করে একটি পাঠাগার করেছি। আপনি একটি নাম রেখে দিন। একটু ভাবলেন, তারপর পুষ্পোদ্যানের মালী পুষ্পের মত একটি নির্মল হাসি উপহার দিয়ে বললেন, তোমাদের পাঠাগারের নাম হলো ‘ঝিনুক’।
এভাবে পুষ্প থেকে জন্ম হলো ঝিনুকের।