আব্দুল্লাহ আলমাসঊদ
জামেয়া ইসলামিয়া, মাওনা চৌঃ
ডাকঘর, মাওনা বাজার, শ্রীপুর, গাজীপুর
০ আমার প্রিয়পত্রিকা ‘পূষ্প’ আমার কলমকে করেছে সুসজ্জিত। ...
০০ কী দিয়ে? ভুল বানানের মালা দিয়ে? পুষ্প তোমার এতই যদি প্রিয় তবে কেন তার উপর বানানের এত বড় অবিচার?
০ আমি ‘পূষ্পের’ নিয়মিত পাঠক...
০০ নিয়মিত পাঠক ভাই! নিয়মিত বানানের যত্ন নাও।
০ আমার ‘বিনিত’ নিবেদন এই যে, ...
০০ তোমার ‘বিনিত’ নিবেদনটি পূর্ণ করার চেষ্টা হচ্ছে। তবে তোমার কাছেও আমার একটি বিনীত নিবেদন আছে, বলো তো সেটি কী?
ইবনে হামীদ
(যশোর, পূর্ণ ঠিকানা লেখা নেই)
০ সম্পাদক ভাইয়া, পুষ্পের মাধ্যমে আপনাকে এমন ভালোবেসেছি যে, একটিবারের জন্য আপনাকে দেখতে বড় সাধ জাগে। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব, আমি যে ঢাকা যাই না?
০০ ঢাকা গেলেও সম্ভব হবে না; কারণ আমি ‘ঢাকা’ থাকি!
পারভেজ রানা
জামেয়া ফারুকিয়া, শেরপুর, শিবপুর, নরসিন্দী
০ সম্পাদক ভাইয়া, আপনার তো ডায়াবেটিস, তো এত রসোগোল্লা দিয়ে কী করবেন? এদিকে আমি আবার চমচম পছন্দ করি না। চমচম কেন, কোন মিষ্টিতেই আমার রুচি নেই। আমার পছন্দ টক ...
০০ তাহলে তো তোমার হয়েছে ভারি ঠক!
আমার ডায়াবেটিস, তাতে কী! নাতিরা আছে না!
ইরফান বিন সাইয়েদ
মানিকদি, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ
০ সম্পাদক ভাইয়া! আপনি কি আমার উপর রাগ করেছেন, না পুষ্প আমার উপর রাগ করেছে? আপনাকে প্রশ্ন করলে উত্তর দেন না, আর পুষ্পকে জিজ্ঞাসা করলে জবাব দেয় না! ঘটনাটা কী?
০০ ঘটনা আর কিছু না, আমাকে জিজ্ঞাসা করো, আর পুষ্পকে প্রশ্ন করো; দেখবে, আমিও জবাব দিচ্ছি, পুষ্পও উত্তর দিচ্ছে!
ছানাউল্লাহ মুহম্মদ ছানী
মুনাফখীল মাদরাসা, চট্টগ্রাম
০ সম্পাদক ভাইয়া, আমাদের খোঁজ-খবর নিতে কি তোমার খুব অসুবিধা হয়?
০০ না, খুব না!
০ আচ্ছা, তুমি এমন কেন?
০০ তুমি যে ‘অমন’, তাই আমাকে হতে হয়েছে এমন!
০০ আসলে পৃথিবীতে পুষ্পই আমার দুঃখ বোঝে, আর কেউ না, তুমিও না!
০০ আসলে পৃথিবীতে পুষ্পই আমার দুঃখ বোঝে, আর কেউ না, তুমিও না!
ওবায়দুল্লাহ, বেলাল হোসাইন
শেরপুর, নারসিন্দী
০ ... ইতি, আপনার কচি সন্তান।
০০ হাতের লেখায় মনে হয় ‘কাঁচা’ সন্তান, কথার ঝাঁঝে মনে হয় ‘পাকা’ সন্তান, তাও এক্কেবারে ‘ইঁচড়ে পাকা’! লেখা ছাপা না হলে পুষ্প পড়বে না! ঠিক আছে, পুষ্প না পড়লে তোমাদেরও লেখা ছাপা হবে না!
সা‘দ বিন আব্দুল গফুর
হাসনাবাদ, দাউদকান্দি, কুমিল্লা
০ আপনার লেখা এত সুন্দর হয় কীভাবে? আমার না খুব ঈর্ষা হয়। আপনার লেখার সবচে’ সুন্দর সময় কোনটি?
০০ তোমার ঘুমের সময়টি! তাহলে বুঝতেই পারছো, আমার লেখায় ব্যাঘাত ঘটাবার সুযোগ নেই তোমার!
সোলায়মান আশরাফ
ঢালকানগরমাদরাসা, গে-ারিয়া
০ ... আমি ফুষ্ফের ভক্ত ফাঠক। ফুষ্ফকে আমি ফ্রচ- ভালোবাসি। ফুষ্ফ না ফড়লে আমার ফ্রাণ ভরে না। ফুষ্ফ আমার ফিফাসার ফানি। ....
০০ পাজিল কোথাকার!
সুরাইয়া বিনতে যাকিয়া
নূরপুর, শুক্রের আখড়া
(আসলে হবে পরবর্তী দিনটির নাম)
০ সম্পাদক ভাইয়া, আমি না, একটি সুন্দর স্বপ্ন দেখেছি! পুষ্প পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছি। দেখি কী! ডানাওয়ালী একটি পরী এসেছে!
০০ ডানাকাটা পরীটির কাছে!
০ আমি অবাক হয়ে বলি, তুমি কোত্থেকে এসেছো?
পরীটি বললো, আমি এসেছি আমাদের রাজ্য পৃথিবীর স্বর্গ কাশ্মীর থেকে।
আমি বললাম, কেন এসেছো?
সে বললো, তোমার পুষ্পের ঘ্রাণ পেয়ে উড়ে এসেছি। পুষ্পটা আমাকে দেবে? তোমাকে অনেক মণি-মুক্তা দেবো।
আমি বললাম, না, দেবো না।
০০ কত ভালো হতো যদি বলতে, মণি-মুক্তা লাগবে না; পুষ্পটা আমি তোমাকে উপহার দিলাম!
০ পরীটা তখন করলো কী! থাবা দিয়ে পুষ্পটা আমার হাত থেকে নিয়ে গেলো, আমি চিৎকার করে উঠলাম, আর...!
০০ যেমন তুমি তেমন তোমার পরী!
সোলায়মান বিন সাঈদ
জামিয়া রাববানিয়া, জালকুড়ি, এন, গঞ্জ
০ সম্পাদক ভাইয়া, তুমি নাকি ভারি চালাক! কেউ নাকি তোমাকে প্রশ্ন করে আটকাতে পারে না! আমার প্রশ্নের জবাব দাও তো; দেখি কেমন তোমার বুদ্ধি!
আচ্ছা, আগে এই বাক্যটি পড়ো- ‘কিন্তু মুমিনের সারা জীবনের স্বপ্ন শুধু একটি; দীদারে বাইতুল্লাহ এবং যিয়ারাতে মাদীনাহ। মুমিন স্বপ্ন দেখে কালো গিলাফের এবং সবুজ গম্বুজের .....’
নাও, এবার টাকমাথাটা চুলকাতে চুলকাতে ঝটপট উত্তর দাও, এ লেখাটির লেখক কে?
০০ বড়রা বলেছেন-
لاتنظر إلى من قال و انظر إلى ما قال
(ব্যক্তিকে দেখো না, বক্তব্য দেখো।)
০ তিনি সুন্দর, না কালো?
০০ আচ্ছা, কালো কি সুন্দর নয়? জ্ঞানীরা তো বলেন, ‘কালো জগতের আলো।’
০ তিনি লম্বা, না ‘বেটে?
০০ কী জানি! গালিভারকে তো একবার মনে হয়েছে লম্বা, একবার বেঁটে!
আচ্ছা তোমার ‘বেটে’-এর মাথায় হাত দিয়ে দেখো তো, চন্দ্রবিন্দু আছে কি না?
মারযিনা বিনতে আরশাদ
রাবেয়া বসরী মহিলামাদরাসা, জেলাসদার টাঙ্গাইল
০ সম্পাদক ভাইয়া! এবার কিন্তু আপনাদের ঠক হলো! রাতারাতি মেয়েরা উত্তরাধিকারে সমানাধিকার পেয়ে গেলো!
০০ বোকা মেয়ে! অর্ধেকটাই দেয় কে যে, সমানটা দেবে! পুরুষের চালাকি তোমরা কবেই বা বুঝলে! তোমাদের প্রতি আল্লাহর চেয়ে বেশী দরদ ওদের?!
তার চেয়ে এক কাজ করো, দলবেঁধে আওয়ায তোলো। সমানটমানে আমাদের কাজ নেই। অতই যদি দরদী হও, আল্লাহ যেটুকু দিয়েছেন সেটুকু পাওয়ার ব্যবস্থা করে দাও।
(এখানে তোমার কিন্তু বড় একটা ঠক হয়ে গেলো। চিঠিটা এতই সময়োপযোগী যে তা ছাপাতেই হলো, আর তাতে অত সুন্দর রোযনামচার পাতাগুলো বাদ পড়লো!
বাদ পড়লো কেন? অন্যদের জায়গা দিতে হবে না! তুমিই তো লিখেছো, তোমার মেয়ে কমলার একটা কোয়া খেয়ে বাকিগুলো অন্যদের দিয়ে দেয়, আর তোমার ভালো লাগে!)
মুসলিম উদ্দীন
মাদরাসাতুন্নূর, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
০ সম্পাদক ভাইয়া! আমার কলমটা না, খবু অলস। চলতেই চায় না। জোর করে চালাতে গেলে কাঁদতে শুরু করে। কী করি বলুন তো!
০০ আরে, আরে, বলো কী! কলমের কান্না, সে তো লেখকের সৌভাগ্য! কলম যদি কাঁদতে পারে, কলমের চোখ থেকে যদি অশ্রু ঝরে, সে দিয়েই তো হবে তোমার হৃদয়ের ব্যথা-বেদনার লেখা!
রকীবুল হাসান
ফরিদাবাদ মাদরাসা
০ বড় মুশকিলে আছি দাদাজান!
০০ ঘাবড়াও কেন, যত মুশকিল তত আসান! আচ্ছা, এবার বলো, মুশকিলটা কী?
০ মুশকিলটা হলো, কিছু দিন থেকে দুশ্চিন্তা আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
০০ খেতে দাও কেন, যা ভাগ, বলে তাড়িয়ে দিতে পারো না?! তুমি কি মরদ না?!
০ এখন হয়েছে আরো মুশকিল, কারণ এখন আমিও দুশ্চিন্তাকে খেতে শুরু করেছি।
০০ এটা অবশ্য একটা কাজের কাজ, তবে নুন-মরিচ দিয়ে খেয়ো, সোয়াদ লাগবে!
আ,হ,ম রাহাত
আলআমীন মাদরাসা, মাইজদি, নোয়াখালি
০ হুযূর, আমার দোষ হলো, আমি বেশী কথা বলি, আর না ভেবেই কথা বলি, অথচ প্রবাদ আছে, জ্ঞানীরা ভেবে কথা বলে, আর মূর্খরা বলার পর ভাবে। ....
০০ তুমি তো সবই জানো, তোমাকে আর কী উপদেশ দেবো! তা এক কাজ করো, কলমের মুখ দিয়ে বেশী কথা বলতে চেষ্টা করো।
তাহমীদ মাদানী
ঢালকানগর মাদরাসা, ঢাকা
০ ... বাইতুল্লাহর মুসাফিরে ১৪নং পৃষ্ঠায় আছে, ‘... আমি কি পৌঁছে যাবো হিজাযের ভূমিতে, নাকি সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভেঙ্গে যাবে আমার নৌকা!’
এখানে কি ও নাকি একসঙ্গে কেন, অথচ ...
০০ ‘নাকি’-এর পরিবর্তে শুধু ‘না’ হলেই ভালো হতো।
তোমাকে ধন্যবাদ।
‘ভেঙ্গে যাবে আমার নৌকা’ যেহেতু আগে নৌকা শব্দটি একবার এসেছে, সেহেতু এখানে কিশতি শব্দটি বেশী ভালো হবে, তাছাড়া সাগরের জন্য ‘কিশতি’ অধিক উপযোগী। এভাবে হবে, ‘না সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে ভেঙ্গে যাবে কিশতি আমার!
সাইফুল্লাহ সিরাজী
দারুল উলূম, সিঙাড্ডা, চান্দিনা, নবাবপুর, কুমিল্লা
০ সম্পাদক ভাইয়া, আমার লেখা পুষ্পের পাতায় ছাপা হোক বা না হোক, তাতে কোন দুঃখ নাই।
০০ কিন্তু আমি যে ভাই, ‘দুঃখ নাই’-এর মধ্যে ‘দুঃখ আছে’-এর ছায়া দেখতে পাচ্ছি!
০ তবে এতটুকু সান্তবনা যেন পাই যে, লেখাগুলো আপনার হাতে পৌঁছেছে।
০০ পেয়েছো সান্তবনা?!
তোফায়েল আহমদ
(পূর্বোক্ত ঠিকানা)
০ ... আপনাকে জানাই বসন্তের শুভেচ্ছা, অবশ্য তত দিনে বসন্ত যদি থাকে আপনার ওখানে।
০০ ভাগ্য ভালো, ঋতুর হিসাবে বসন্তের এখনো বাকি আছে একদিন। তাই শেষ মুহূর্তে হলেও তোমার শুভেচ্ছাটা পাওয়া গেলো।
০ আরেকটা কথা, আমি ‘অদমের’ লেখাটা যদি পুষ্পের পাতায় ছাপিয়ে দেন তাহলে খুশী হই।
০০ আগে ভালো করে অধম হও, তারপর দেখা যাবে।
আব্দুল ক্বাদির
জয়নগর বাজার, সুনামগঞ্জ
০ সম্পাদক ভাইয়া! আপনার পুষ্প ...
০০ পুষ্প আমার নয়, তোমাদের, কিংবা আমাদের।
০ যদি মনে করেন, আমার এসব প্রশংসা আন্তরিক নয়, শুধু মুখের তাহলে সেটা হবে আপনার ভূল।
০০ ‘ভূল’ যারই হোক সেটা কিছুতেই কাম্য নয়, কী বলো!
০ যখনই লিখতে বসি, মন উদাসীন হয়ে যায়, কোন ভাষা খুঁজে পাই না।
০০ মন উদাসীন হওয়া তো ভালো, কবি হওয়ার লক্ষণ। আর ভাষা খুঁজে পাও না! নো প্রবেস্নম! হয় তুমি নিজে খুঁজতে থাকো, না হয় পত্রিকায় নিখোঁজ সংবাদের বিজ্ঞাপন দাও।
নিজে খোঁজার অবশ্য একটা নিয়ম আছে, দিনে খোঁজবে বাতি জ্বেলে, আর রাতে বাতি নিভিয়ে। বিজ্ঞাপনের কথাগুলো হতে পারে এরকম-
‘কিছু দিন যাবৎ আমি অধমের ভাষা নিখোঁজ। ভাষাটির নাম বাংলা। সে অশুদ্ধভাবে কথা বলে, তাহার গায়ে ছিলো ভুল বানানের লেবাস। যদি কেহ ... তবে তাহাকে কোন ভাষায় কৃতজ্ঞতা জানাইব তাহা খুঁজে পাইতেছি না।’
০ ... নির্জন রাতে যখন পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকি। কে যেন এসে আমাকে বলে, একটা গান শোনাও না। এই চাঁদনি রাতে তোমার গান শুনতে আমার...
০০ তোমার আববুকে, নিজে যদি না পারো, আমার নাম করে বলো, ‘সম্পাদক ভাইয়া বলেছেন, আমাকে ভালো দেখে একটা ...!
তানভীর বিন আলতাফ
০ ... রসগোল্লার পাতায় যা সব লেখা হয় তা কি অর্থহীন কথা নয়? সাহিত্যচর্চা উদ্দেশ্য হলে ভালো ভালো উপদেশমূলক কথা নয় কেন?
০০ দরবেশজী! গোল্লার রস আপনার জন্য নয়। আপনি অন্য পাতায় থাকুন।
আবু তাহের বিন সালীম
বাইতুস্সালাম, উত্তরা, ঢাকা
০ সম্পাদক ভাইয়া! আমি পুষ্পের নতুন বন্ধু। আমি ছোট্ট মানুষ, কিন্তু আমি অনেক বড় হতে চাই। আমার লেখাটি দয়া করে পুষ্পে ছাপিয়ে দিন। ...
০০ তুমি অনেক বড় হতে চাও, আমি চাই অনেক ছোট হতে। তোমার সঙ্গে আমার তাহলে ‘মিতালি’ হবে কীভাবে?
লিখতে লিখতে পুরোনো বন্ধু হও, তখন ছাপার বিষয়টি বিবেচনা করা যায় কি না তা চিন্তা করার জন্য কবে বসা যায় সেটা ভেবে দেখা যাবে বলে মনে করছি।
হাফিযুর রহমান সেলিম
মেখল মাদরাসা, চট্টগ্রাম
০ এই যে টাকপড়া, দাঁতপড়া নানাভাই! এদিকে তাকান তো একটু!
০০ তুমি যেন কোন্দিকে ভাই!
০ বড় ভাই রোয বলে লেখা পাঠাতে।
০০ লিখতে, না লেখা পাঠাতে?
০ এই লেখাটি যদি না ছাপান তাহলে কি লজ্জায় বন্ধুদের কাছে মুখ দেখাতে পারবো?
০০ আচ্ছা, এর মধ্যে বন্ধুও জুটিয়ে ফেলা হয়েছে! তাহলেই সেরেছে!
০ আপনি কি পারবেন আদরের নাতিটিকে লজ্জা দিতে?!
০০ শুধু লজ্জা! আমার তো ইচ্ছে করছে...
মুহম্মদ হোযায়ফা বিন ঈসা
বদরগঞ্জ রোড, রংপুর- ৫৪০১
(তিনটি মোবাইল নম্বর)
০ আমার প্রিয় মুরশিদ! মনের গহীনে আমার অনেক বড় আশা, আর তা হলো বড় সাহিত্যিক হবো, কিন্তু এ পথের রাহবার!
০০ কিন্তু এ পথের পথিক!
০ রাহবার ছাড়া যে পথ চলা অসম্ভব! তাতে পথহারা হওয়ার ‘সমুহ’ সম্ভাবনা! (সম্পাদক, আসলে লিখতে হবে ‘আশঙ্কা’)
০০ প্রিয় সাগরিদ! আপনার তিন তিনটি মোবাইল নম্বর দেখেই বুঝতে পেরেছি, আপনি কত দূর পথ ‘চলিবেন’!
কামরুয্যামান
ফরিদাবাদ, ঢাকা
০ ভাইয়া! তোমাকে কতজন কত নামে ডাকে, আমি একটি চমৎকার নাম ঠিক করেছি, দেখো তো পছন্দ হয় কি না! নামটি হলো ‘হায়ওয়ানে কাতিব’।
০০ আমি লেখক হায়ওয়ান, তুমি পাঠক হায়ওয়ান, মন্দ কী! তবে শর্ত একটা; লেজ থাকবে শুধু তোমার!
০ একটা প্রশ্ন আছে। শুনলে তুমি থ খেয়ে যাবে, উত্তর আর দিতে হবে না। প্রশ্নটি হলো, মানুষ দুঃখে কাঁদে, আর সুখে হাসে। দুঃখে হাসে না কেন এবং সুখে কেন কাঁদে না?
০০ এ তো সোজা কথা! দুঃখে হাসলে দুঃখটাই তো শেষ হয়ে যাবে, আর সুখে কাঁদলে সুখটা হয়ে যাবে মাটি।
হাবীবুল্লাহ আলমাহমূদ
বাইতুস্সালাম, উত্তরা, ঢাকা
০ ভাইয়া! আমার রোযনামচা- গুলো যদি পুষ্পের পাপড়িতে দেখতে পাই তাহলে কথা দিচ্ছি, প্রতিসপ্তায় একটি করে লেখা পাঠাবো, কী, রাজী?
০০ সুবহানাল্লাহ! শোনো, তুমি যদি প্রতিসপ্তাহে একটি করে লেখা পাঠাও, কথা দিচ্ছি, বছরে একটি করে লেখা পুষ্পের পাতায় ছাপা হবে। কী, রাজী?
মিসবাহুদ্দীন আলজামীল
জামিয়া রাহমানিয়া, ঢাকা
০ সম্পাদক ভাইয়া কেমন আছেন? ভালো? আল্লাহ আপনাকে আরো ভালো রাখুন। আচ্ছা ভাইয়া, দয়া করে সামান্য সময়ের জন্য আপনার চশমাটা খুলুন তো! না, না, এটা নয়; সমালোচনার চশমা!
খুলেছেন? একঝুড়ি ধন্যবাদ চশমা খোলার জন্য।
এবার এককাজ করুন। গত সপ্তাহে যে লেখাটি পাঠিয়েছি সেটি তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলুন, বেশী চিন্তা করবেন না। কেমন, খুব ভালো লাগছে তো! সুতরাং আপনার পাশে যে ঝুড়িটা, তাতে না ফেলে পুষ্পের পাতায় ছাপিয়ে দিন।
০০ চশমা তো খুলেছি, কিন্তু চিঠির খামটা যে খুলতে পারছি না! আর এত সুন্দর খাম, ছিঁড়তে মায়া হয়।
মার্জিনা বিনতে আরশাদ
রাবেয়া বছরী মহিলা মাদরাসা, জেলা সদর, টাঙ্গাইল
০ ...অনেক দিন হলো পুষ্পের দেখা নেই। বলি, হয়েছেটা কী পুষ্পের? লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছে, না গাল ফুলিয়ে বসে আছে? না আপনি নাসিকাধ্বনি- সহ নিদ্রাদেবীর সঙ্গে...। আসবো নাকি আপনার পুষ্প-উদ্যানে হানা দিতে!
০০ কী বলে যাচ্ছে তাই! পর্দা-শরমের বালাই নাই!
সুলতান মাহমূদ
জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া, তেজগাঁও, ঢাকা
০ সম্পাদক ভাইয়া! আশা করি, পুষ্পকে নিয়ে অনেক কষ্টে আছেন। থাকুন। আপনার কষ্টেই তো আমাদের আনন্দ! তবে যেন অসুস্থ না হয়ে ‘পরেন’!
আমি নিয়মিত বানান শিখছি।
০০ জ্বি, নমুনাটা তো সঙ্গেই আছে!
০ আপনি তো বলেছেন রসগোল্লার মত চিঠি পাঠাতে, তাহলে আপনি চমচমের মত উত্তর দেবেন। কিন্তু কথা হলো, চমচম তো বাতাসের তালব্যশ-এর জলসায় খাওয়া হয়ে গেছে!
০০ আরে বাবা, দেখে যাও না এসে, কত চমচম এখানে! কিন্তু চিঠিটা রসগোল্লার মত হতে হবে তো!
তুহীন আহমদ
আশরাফাবাদ, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা
০ সম্পাদক ভাইয়া! পুষ্পের পাতায় লেখা ছাপাতে আপনি কৃপণ কেন?
০০ তাহলে এত লেখা ছাপা হয় কীভাবে?
০ আপনার বুঝি কষ্ট হয়?
০০ হয়ই তো! এতগুলো লেখা সাজিয়ে গুছিয়ে, তারপর গুছিয়ে সাজিয়ে ঠিকঠাক এবং ঠাকঠিক করতে ঝক্কি-ঝামেলা এবং ঝামেলা-ঝক্কি কি কম!
০ সবাই তো চায়, তার কষ্টের ফলটা পুষ্পের পাতায় দেখতে!
০০ এটা বুঝি তোমাদের কষ্টের ফল হলো?! এত অল্প কেন হবে তোমাদের চাওয়া?! কষ্টের ফল তো আসবে সামনে ইনশাআল্লাহ!