তুমি রসগোল্লার মত একটি চিঠি পাঠাও, আমি তোমাকে চমচমের মত একটি পত্র দেবো। পুষ্পের পাঠক বন্ধুরা সেই রসগোল্লা আর চমচম খেয়ে বলবে,আহা! কী মজা!
রুমাইয়া তাসফিয়া
রামগতি, লক্ষ্মীপুর
০ সম্পাদক ভাইয়া, বড়ই পরিতাপের বিষয়, আমাদের লেখাগুলিকে আপনি অতিশয় অবহেলা করিতেছেন এবং কোন প্রকার সম্পাদনা না করিয়াই ফেলিয়া দিতেছেন। লেখাগুলি এতই যদি অযোগ্য হইয়া থাকে তবে উহা দ্বারা বালিশ বানাইয়া ব্যবহার করিলেও তো পারেন! জানেন তো অপচয়কারী কার ভাই?
০০ আমি শুধু জানি, আমি তোমার ভাই। প্রস্তাবটি তোমার মস্তিষ্কের উর্বরতার অনুকূলে অতি উত্তম প্রমাণ, তবে উহাতে ছোট্ট একটি সমস্যা আছে। ঐ বালিশে, আশঙ্কা হয়, উত্তম নিদ্রা হইবে না। কারণ তোমার ভাষায় ‘অযোগ্য’ লেখাগুলি তখন মাথার ভিতরে গিজগিজ করিতে থাকিবে।তবে অপচয় বল কেন, ব্যবহার করিবার আরো কতিপয় উপায় আমার জানা আছে।
তাছাড়া তোমার রোযনামচা পড়িয়া জানিলাম, সম্প্রতি তুমি চা জ্বাল দিতে গিয়া সমস্যায় পড়িয়াছ। কিছু কাগজ তোমাকেও পাঠাইতে পারি। সংকোচ করিও না। কেহ জানিতে পারিবে না। (ফাযিল কোথাকার!) বন্ধনীর মন্তব্যটি শুধু তুমি পড়িও, কেমন!
হাসানাত মাহিয়্যাত
রেঙ্গ, সিলেট
০ সম্পাদক ভাইয়া, কেমন আছেন? পুষ্পের বন্ধুদের নিয়ে আশা করি ভালোই আছেন। জানেন, সেদিন রাতে স্বপ্নে দেখি, পড়তে বসেছি। আমাকে পড়তে দেখে বিদ্যুতের হিংসা হয়, তাই আমাকে আঁধারে ডুবিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। হিংসুটে বিদ্যুতের উপর প্রচন্ড রাগ হলো, কিন্তু সব রাগ পানি হয়ে গেলো আপনার নূরানি চেহারা দেখে। আমার কামরা আলোকিত হয়ে গেলো। কিন্তু আপনিও যদি বিদ্যুতের মত পালিয়ে যান, তাই আপনাকে বেঁধে রেখে আপনার আলোতে বাকি পড়া পড়লাম।
০০ দারুণ! তবে জানতে ইচ্ছে করছে, পড়া শেষ করার তুমি আমাকে ‘অফ’ করেছিলে কি না?
আর এ বিষয়টি একটু বুঝিয়ে বলো দেখি, আমার আগমনে তুমি তো পানি হয়ে গেলে, মানে বিলকুল ওয়াটার! তারপর পানিটা জমাট বেঁধে তুমি আবার মানুষের আকৃতি ধারণ করলে কীভাবে? ভেরি ইন্টারেস্টিং!
মুফাজ্জল
মকছূদপুর, দোহার, ঢাকা
০ সম্পাদক ভাইয়া, আমার নাম মুফাজ্জল, আমার সহপাঠীরা বলে, আমার নামের মধ্যে নাকি ফাজলামি-এর গন্ধ আছে। আপনি কি কোন গন্ধ পাচ্ছেন?
০০ আমার আবার কয়েকদিন থেকে সর্দিতে নাকটা বন্ধ হয়ে আছে!
০ নাম নিয়ে বিদ্রূপ করলে না, আমার খুব খারাপ লাগে।
০০ লাগবেই তো! কারো নাম নিয়ে বিদ্রূপ করা খুব খারাপ কথা। ভালো ছেলেরা এটা করতে পারে না।
আবুল হাশিম
মধুর চর, দোহার, ঢাকা
০ আপনি তো বলেন চমচমের মত চিঠি পাঠাতে, তাহলে রসগোল্লার মত পত্র দেবেন, কিন্তু আমার কলম থেকে আসে শুধু জিলিপি! তাই জিলিপিটাই পাঠিয়ে দিলাম। দেখি, আপনি কী দেন!
০০ এখন তো মনে হয় ‘আমৃত্তি’ আর পাওয়া যায় না। দেখি ঘরে তৈরী করে পাঠাতে পারি কি না!
মুহম্মদ জিহাদ
জামিয়া ফারুকিয়া, শেরপুর, নরসিংদী
০ ... আমি এখন কচি। আমি ভালো করে লিখতে পরি না, কিন্তু লিখতে চাই। আমার লেখাটা যদি পুষ্পের মধ্যে স্থান দেন তাহলে আমার লেখার আগ্রহ বাড়বে এবং একদিন লেখক হিসাবে খ্যাতি লাভ করতে পারবো।
০০ কে বলে, তুমি কচি! কথা তো তোমার যথেষ্ট ‘বাত্তি’! খ্যাতি লাভ করার জন্য লেখক হতে চাও! কী হবে খ্যাতি দিয়ে। খ্যাতি থেকে যাবে উপরে, তুমি চলে যাবে নীচে!
মুহম্মদ যাকারিয়া
জামেয়া রামনগর, জয়নগর বাজার, সুনামগঞ্জ
০ ... আপনার পুষ্প পড়ে যত মজা পেয়েছি অন্য কোন পত্রিকায় তত মজা পাইনি।
০০ ভাই রে, কোন পত্রিকাই মজা পাওয়ার জন্য কেউ প্রকাশ করে না।
০০ লেখা শেখার জন্য আপনার পরামর্শগুলো আমার খুবই পসন্দ হয়েছে।
০ শুকরিয়া জানাব কা!
০ কী লিখতে বসলে যে ভাষা খুঁজে পাই না! আপনি বলে দিন না, কোথায় খুঁজে পাবো মনের মত ভাষা!
০০ লুকিয়ে আছে তোমার ভাষা তোমারই অন্তরে!
০ অনেকের লেখা পড়ি, আর মুগ্ধ হয়ে ভাবি, আহা, আমি যদি তার মত লিখতে পারতাম! তখন আমি কী করবো?
০০ যাদের লেখা পসন্দ হয় না, তাদেরগুলো দেখে বলবে, আহা, আমি যদি তাদের মত লিখতে না পারতাম!
০ আপনি হয়ত রাগ করছেন।
০০ কিছুটা তো বটেই! কিন্তু বুঝলে কীভাবে?!
০ পিস্নজ, রাগ করবেন না; বরং দয়া করে বলে দিন, আমি কীভাবে লিখবো।
০০ তুমি হয়ত রাগ করবে; প্লিজ, রাগ করো না। এই চিঠি যেভাবে লিখেছো, ঠিক সেভাবেই লিখবে।
রাকীকা তানজীম
রামগতি রোড, লক্ষ্মপুর
০ সম্পাদক ভাইয়া, আপনি তো আজব মানুষ! আকীকা ছাড়াই আমার নতুন নাম রেখে দিলেন! গত সংখ্যায় দেখি, আমার নাম লিখেছেন, ‘রাকীকা তানাউম’!
০০ না মানে, বুড়ীদের নাম রাখতে আকীকা লাগে না। মাসআলাটা অবশ্য চার মাযহাবে তুমি খুঁজে পাবে না।
তোমার রোযনামচা ভালো লেগেছে। মদীনা শরীফের খেজুর দিয়ে ইফতার করেছো, সত্যি বড় সৌভাগ্যের কথা!
তাহিয়া নাছীবা কি তোমার বোন? ওর চিঠিটা পড়েছি, তারপর ঘুমিয়ে পড়েছি। সঙ্গে যে জিনিসটা পাঠিয়েছে সেটা খুলতে সাহস হচ্ছে না, শেষে যদি বোকা সাজতে হয়!
(আচ্ছা, বিসমিল্লাহ বলে খুলি! সুবহানাল্লাহ! আমার পক্ষ হতে ওকে ‘জাযাকিল্লাহ’ পৌঁছে দিয়ো তো! এমন সুন্দর উপহারটা আমার মেয়ে সাফফানার কাছে রেখে দিলাম।)
হিদায়াতুল্লাহ বিন যিয়াউল হক
ইসলামপুর, জামালপুর
০ ... মাঝে মধ্যে পুষ্প কিনি, কিন্তু পড়া হয় না। এক দু’টি লেখা পড়ার পর আর পড়তে ইচ্ছা করে না।
০০ পুষ্পের দুর্ভাগ্য!
০ তুমি তো বলো যে, ভালো লেখক হতে হলে ভালো লেখকের বই পড়তে হবে!
০০ বলেছি নাকি! হবে হয়ত। কোন ভালো ছেলের জন্য বলে থাকতেও পারি।
০ তুমি ভালো ভালো লেখকের কিছু বই-এর নাম বলে দাও না!
০০ তারপর হয়ত বলবে, বইগুলো পড়ে দাও না!
না বাবা, না! তুমি নিজেই তালাশ করে নাও গে!
উমামা বিনতে উবায়দ
সরাইল, শহীদবাড়িয়া
০ প্রিয় পুষ্প! কেউ যদি উপকারী বন্ধু পেতে চায় সে যেন তোমাকেই বন্ধুরূপে গ্রহণ করে। কারণ তুমি আলো! তুমি ভালো! সবাইকে তুমি কল্যাণের পথ বলো!
জানো পুষ্প! আমি একবার নয়, বারবার তোমাকে পড়ি; আর প্রতিবার তোমার প্রতিটি কথা মনে হয় নতুন। যত বার তোমাকে ‘পান করি’ পিপাসা শুধু তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। তোমার জন্য আল্লাহর কাছে আমার এই কামনা, হে আল্লাহ! ...
০০ তোমার আগে যে ভাইটির নাম দেখতে পাচ্ছো, ওর জন্যও একটা কিছু কামনা করো তো!
মুহম্মদ ইলফী (?)
বাইতুস-সালাম, উত্তরা, ঢাকা
০ ... আমার এ ‘সমশ্যা’র কি কোন সমাধান নেই? প্রিয় পুষ্প! অতীতে তুমি অনেক বার আমাকে সঠিক পথ দেখিয়েছো, এবারও তোমাকেই দেখাতে হবে, এটা আমার আকুল হৃদয়ের ব্যাকুল আবেদন।
০০ মিয়াঁ ছাহেব! তোমার রোগ বুঝতে পেরেছি এবং দাওয়াইও আছে আমার কাছে। তবে তোমার হৃদয়টা যে আকুল, আর তাতে যে কিঞ্চিৎ ব্যাকুলতা আছে, আগে তা প্রমাণ করো।