আমি লিখতে পারি বাগানে ফোটা ফুলের কথা, ডালে ডালে ঝুলে থাকা ফলের কথা, সবুজ পাতার কথা, গাছের শীতল ছায়ার কথা, রঙ্গীন বসন্তের কথা, তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হে আল্লাহ!
আমি লিখতে পারি আকাশে ভাসমান মেঘের কথা, রিমঝিম বৃষ্টি ও বয়ে চলা কুলকুল ঝর্ণার কথা, নদীর স্রোত ও সাগরের তরঙ্গমালার কথা এবং সাগরের তলদেশের কথা, তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হে আল্লাহ!
আমি লিখতে পারি জীবনের সকল সৌন্দর্যের কথা, যৌবনের সকল আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কথা, শৈশব থেকে বার্ধক্যের প্রান্তসীমা পর্যন্ত অনেক প্রাপ্তি ও তৃপ্তির কথা, আমি লিখতে পারি ঘরে ঘরে জন্ম-মৃত্যুর হাসি-কান্নার কথা, তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হে আল্লাহ!
আমি আঁকতে পারি সুন্দর ছবি ভোরের রাঙ্গা সূর্যের, বিষণ্ণ সন্ধ্যার রক্তিম দিগন্তের এবং মেঘের ফাঁকে উঁকি দেয়া জোসনামাখা চাঁদের, তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হে আল্লাহ!
আমি আঁকতে পারি সুন্দর ছবি সবুজ বনের, মাঠভরা সোনালী ফসলের, গায়ে হলুদমাখা সর্ষে ফুলের এবং দীঘির জলে ফুটে থাকা শাপলা ও পদ্মফুলের, তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হে আল্লাহ!
এবং তোমার অনুমতি হলে আমি আঁকতে পারতাম সুন্দর ছবি সুন্দর চোখের, সুন্দর মুখের কোন তন্বীতরুণীর, তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে হে আল্লাহ! কিন্তু না, আমার লেখার কলম, আমার রেখার তুলি শুধু তোমার সন্তুষ্টি অনুসরণ করে হে আল্লাহ! তুমি যাতে খুশী, আমি শুধু তাই লিখি, তুমি যাতে তুষ্ট, আমি শুধু তাই আঁকি এবং তুমি যাতে সন্তুষ্ট আমি শুধু তাই দেখি হে আল্লাহ!
(সম্পাদক- নূরুল ইসলাম বিন মুফীয, মাটিয়া কুড়া সাহিত্যসংসদ, শেরপুর, তোমার লেখা অবলম্বনে, তোমাকে ধন্যবাদ, তুমি যে প্রশ্ন করেছো তার কারণ আমার জানা নেই।)