‘জীবনসায়াহ্নে মানবতার রূপ’ বইটি পড়া আজ শেষ হলো। শাহাদাতে উছমান ও শাহাদাতে হোসায়ন (রা)-এর মর্মান্তিক কাহিনী আমার হৃদয়কে করেছে ক্ষতবিক্ষত, আর চোখ থেকে ঝরিয়েছে রক্তের অশ্রু।
শৈশবে একবার পড়েছিলাম ‘ছোটদের কারবালা’। সেদিনও কেঁদেছিলাম, হয়ত কিছুটা বুঝে এবং অনেকটা না বুঝে। আজ মনে হচ্ছে, লেখক অনেক চিন্তা করেই ‘ছোটদের’ কারবালা নামটি রেখেছেন। কারণ আজ যারা ছোট তাদেরই তো প্রস্ত্তত হতে হবে আগামী দিনের কারবালার জন্য। সুতরাং কারবালা শুধু বড়দের নয়, ছোটদেরও; ইমাম হোসায়ন শুধু বড়দের জন্য নন, ছোটদেরও জন্য। তাদেরও আজ শিক্ষা নিতে হবে ইমাম হোসায়নের জীবন থেকে, কারবালার শাহাদাত থেকে।
বইটিতে মজলুম খলীফা হযরত উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর ঘটনাও বড় মর্মস্পর্শী ভাষায় লেখা হয়েছে, তাতে কোন পাষাণ হৃদয়ও বিগলিত না হয়ে পারে না। হযরত ওমর ও হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুমার শাহাদাতের ঘটনাও কম মর্মান্তিক নয়।
আহ, দ্বীনের বুলন্দি এবং উম্মতের কামিয়াবি ছিলো যাদের সারা যিন্দেগির চিন্তা-ফিকির ও মেহনত মুজাহাদা, উম্মতের পক্ষ হতে এই বুঝি হলো তাঁদের ‘পুরস্কার’!
বইটি পড়া তো হয়ে গেলো এবং চোখের পানিও কিছু ফেলা হলো, কিন্তু এ সকল শুহাদায়ে ইসলামের যিন্দেগি থেকে কি আমি কোন শিক্ষা নিতে পেরেছি?! নতুন যুগের নতুন কারবালার জন্য নিজেদের কি আমরা প্রস্ত্তত করতে পেরেছি?! হে আল্লাহ আমাদের তুমি শুহাদায়ে উম্মতের পথে চলার তাওফীক দান করো, আমীন।
নূরুল হাসান বিন আব্দুল ওয়াদূদ রাণীর বাজার, কুমিল্লা